Better Life with Steem||The Diary Game|| 02 April 2025||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
বন্ধুরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: "ঈদের ৩য় দিনটি যেভাবে কাটিয়েছিলাম"।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। বসে থাকার এক পর্যায়ে আমার ওয়াইফ আমাকে সকালের নাস্তা খেতে বলল।
আমি তখন সকালের নাস্তা দিতে বললে, সে আমাকে সকালের নাস্তা দিল। আমি সকালের নাস্তা সম্পন্ন করলাম। আর আজকের সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে মিষ্টিও খেয়েছি।
যাইহোক, সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে ৩০ মিনিট পর আবার ভাত খেয়েছি। ভাত খেয়ে কিছুক্ষণ রুমে বসে থেকে সময় কাটাই। এমন সময় আমার শুশুর বাড়ির পাশে শহীদুল্লাহ নামের ছেলেটা বাড়িতে এসে জানাল, সে নাকি মুরগির ছোটখাটো একটা খামার দিয়েছে। সেই খামারের গল্প করতে লাগল যে, তার খামারের মুরগিগুলো অনেক বড় হয়েছে—প্রায় ১ কেজির ওপরে ওজন হবে! গত ১ মাস আগে মুরগিগুলো অনেক ছোট ছিল।
তার খামারের মুরগির গল্প শুনে আমি তার সাথে তাদের বাড়িতে গিয়ে মুরগিগুলো দেখে আসলাম। তখন আমি দেখে অবাক হলাম—আসলে মুরগিগুলো অনেক বড় হয়েছে। যাইহোক, মুরগিগুলোর একটা ছবি তুলে রাখি, যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। এরপর ছবিগুলো আমার শুশুর বাড়ির লোকজনকে দেখাই। তারা বলল, “বাহ, ভালোই তো! এভাবে আমাদেরও মুরগী পালন করতে হবে।”
এই বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতে থাকি আমরা। কথা বলার এক পর্যায়ে আমার নানা শুশুর আমাদেরকে দাওয়াত দেয়। তাই তিনি আমাদের শুশুর বাড়িতে এসে আমাদের নিয়ে যান। কিছু সময় পরেই আমরা নানা শুশুর বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে ঘড়িতে খেয়াল করলাম—১২:৩০ মিনিট বাজে। ঘড়ি দেখে রুমে গিয়ে ফ্যান চালিয়ে দেই। আর সেই ফ্যানের বাতাস সবাই মিলে উপভোগ করি।
এক পর্যায়ে আমার নানি শাশুড়ী এসে বললেন, “তোমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে আসো, দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ হয়েছে।” তার কথা শুনে আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পর দুপুরের খাবার খেতে বসি।
আজকের দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল গরুর মাংস, সালাদ, মুরগির রোস্ট ও আরো বিভিন্ন আইটেম। আলহামদুলিল্লাহ, আজকের দুপুরের খাবারটা অনেক ভালো ছিল।
দুপুরের খাবার শেষে আমরা আসর পর্যন্ত নানা শুশুরের বাড়িতে ছিলাম। আসরের পর আমরা সবাই বাইকে করে শুশুর বাড়ি ফিরে আসি। বাইকে ৫ মিনিট যাওয়ার পর আমার ওয়াইফ স্পিড খেতে চাইলে পাশের দোকান থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটা স্পিড কিনে দিলাম। তখন সে সেটা খেয়েছিল।
স্পিড খাওয়া শেষ হলে আমার সুমুন্দি বাইক চালিয়ে আমাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়িতে পৌঁছে আমরা সবাই ফ্রেশ হলাম। এরপর কিছু সময় সবাই মিলে গল্প-আড্ডা করি। গল্পের এক পর্যায়ে আমার ওয়াইফ বললো, “যেহেতু এখন বসেই আছি, তাই তার নানিদের বাড়ি থেকে আনা থ্রি-পিসটা কেটে সুন্দর করে জামা তৈরি করবে।” কারণ, আমার ওয়াইফ তার নিজের কাপড়গুলো নিজেই তৈরি করে।
যাইহোক, ওয়াইফ থ্রি-পিস তৈরি করতে লাগলো। আর আমরা কয়েকজন মিলে মোবাইলে লুডু খেলে সময় কাটাই। কারণ, আমার শুশুর বাড়িতে গেলে প্রতিবারই মোবাইলে লুডু খেলা হয়। আর খেলা শুরুর আগে বলা হয়—যে হারবে তাকে ২ লিটার প্রান আপ খাওয়াতে হবে।
এই কারণে লুডু খেলায় অনেক মজা হয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে খেলা হয়। আর এই খেলায় হেরে যাই আমি। অনেক চেষ্টার পরও আমাকে হারিয়ে দেয়। কারণ, আমার গুটি প্রায় ৪ মিনিট আগেই ঘরে উঠে গিয়েছিল। কিন্তু আমার সুমুন্দির ২টা গুটি রয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যের পরিহাস—শেষমেষ আমার গুটি পুটের কোটে আটকে যায়। পরে আমি সেই খেলায় হেরে যাই।
এই থেকে বোঝা গেল—আগে গেলেই জেতা যায় না, যদি কপালে না থাকে। এই বলে নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম।
এভাবেই ঈদের ৩য় দিন কেটে যায়। তাই পরিশেষে বলা যায়, আলহামদুলিল্লাহ ঈদের ৩য় দিনটাও ভালোভাবে কাটিয়েছি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আজকে আর লিখছি না। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে মন্তব্য করে জানাবেন।
সকলেই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
শ্বশুরবাড়িতে জামাই আদর পাওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে আপনি শ্বশুর বাড়ির সবাইকে মিলে আনন্দে মেতে উঠেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। সেই সাথে আবার আপনার এক ভাইয়ের মুরগির খামার দিয়েছে সেটা আপনি দেখতে গিয়েছেন। নানী শাশুড়ি আপনাদের জন্য খাবার রেডি করেছে যেটা দেখে আরও বেশি ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।