আমি যেখানে কাজ করি সেখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন এর কিছু মুহূর্ত।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমি যেখানে কাজ করেছিলাম সেখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়েছে তার কিছু মুহূর্ত।
আসলে বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিয়ের মতো অনুষ্ঠান পেয়ে সত্যিই আনন্দিত লাগছে। তবে এটা সবার ভাগ্যেই থাকে না যেমন এর আগেও দুই এক। বার খেতে দিয়েছে আমার ভাগ্যে ছিলো না।
কালকে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিলো অবশ্যই হয়তো বা আজকে যদি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন থাকতো তাহলে আমি কিন্তু পেতাম না।
কারণ আমি কালকে যেখানে কাজ করেছি আজকে সেখান থেকে চলে এসেছি শুধু এবার ভাগ্য ভালো ছিলো বলে কালকে খেতে দিয়েছিল বলে আমি খেতে পেরে ছিলাম।
দীর্ঘদিন ধরে আমি এবং আমার সাথে থাকা একটি ভাই এক সাথে আমরা অন্য কোথাও চলে আসি কিন্তু গতো পরশু দিন সেই ভাইটি চলে আসে এবং আমার আজকে আসার কথা ছিলো।
আগের বার এখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিলো আমি সেই সময় এই আজকের জায়গায় চলে এসেছিলাম তাই খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি। তবে কালকে সেখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন দেখে অনেকটা ভালো লাগছে।
সেখানে খাওয়া-দাওয়া আয়োজন ছিলো সাদা ভাত বিরানি মুরগির মাংস গরুর মাংস গরুর মাংস দিয়ে কাঁঠাল রান্না সালাত আনারস দিয়ে তৈরি কমলা লেবু তরমুজ পাপড় ভাজা ঠান্ডা পানির শরবত এবং আরো অনেক কিছু ছিলো যে গুলোর নাম আমি সঠিক জানি না।
আমি কালকে পাঁচটা পর্যন্ত ডিউটি করেছিলাম কারণ সেখানে আমাদের কাজের চাপ নেই কারণ কাজ অনেকটা কম আছে এবং কালকে সবাই পাঁচটার সময় চলে আসে কারণ সেখানে যে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিলো।
আমি রুমের মধ্য শুয়ে ছিলাম তখন আমার ভাইরা ডাক দিয়েছিল আমাকে খাওয়া দাওয়ার জন্য। আমি সেখানে ধীরে ধীরে খাওয়া-দাওয়া ওখানে চলে যাই গিয়ে সেখানে দেখতে পেলাম হুজুর ডেকে মোনাজাত শুরু করল।
মোনাজাত শেষ করে সবাইকে বলল নিজেদের মতো করে লাইন দিতে কারণ এটা বিদেশ এখানে কেউ বেড়ে দেয়ার মতো মানুষ নেই নিজেদের মতো করে খাওয়া-দাওয়ার জন্য খাদ্য গুলো নিতে হবে।
অবশ্যই এটা বাংলাদেশে হলে একটু লজ্জা লাগতো তবে আমার কালকে লজ্জা লাগে না আমার লাইফে আমি প্রথম লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্য নেওয়ার জন্য ছিলাম সাথে আমার ভাইয়েরাও ছিলো যার জন্য আর কোনো সমস্যাই হয় নাই।
লাইনে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম আমাদের ওখানে যে ক্যান্টিনের মহিলা ছিলো সে ভাত বেড়ে দিচ্ছে। সে আমাকে দেখে ভাত একটু বেশিই দিয়েছিল আমি তাকে ভাত কম দিতে বললাম। সে আবার আমার থালা থেকে ভাত নামিয়ে নিলো কারণ সে হয়তো বা প্রথমে ভেবেছিলো হয়তো অনেক বেশি ভাত খেতে পারি আমি ।
এবং আমার ভাত নেওয়া দেখে সে বলছিল এতো কম ভাত খেলে হবে আসলে আমি খুব বেশি খাওয়া-দাওয়া করতে পারি না আবার যখন অতিরিক্ত খিদে লাগে তখন ভাত অনেকটা বেশি খেতে পারি এটা সমস্যা নেই।
লাইন ধরে ধরে নিজেদের মতো করে তরকারি নিতে লাগলাম আমি মুরগির মাংস নিয়ে ছিলাম দুই পিস এবং আমার এটা দিয়েই খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে হবে কারণ আমি আবার বাহিরের খাবার সব ধরনের খাদ্য খেতে পারি না।
এদিকে ভাইদের কাছে বলে গিয়ে ছিলাম তোরা যদি সব ধরনের খাবার খেতে পারিস তাহলে আমি নিয়ে আসবো না হলে আমি যেটা খেতে পারি শুধু সেটাই নিয়ে আসবো তারা বলেছিল সমস্যা নেই নিয়ে আসবে আমরা খেতে পারি।
তাই তাদের জন্য আমি আমার থালাতে সব রকমের খাদ্য কম বেশি করে নিয়ে এসেছিলাম। তবে নিয়ে এসে তো আর একটা বিপদে পড়ে গিয়েছি। তাদের থালাতে যা আছে তারা তাই খেয়েও শেষ করতে পারছে না। তাহলে আমার থালাতে কখন খাবে আবার আমি তো সব ধরনের তা খেতে পারি না।
আমার সাথে আরও একটি ভাই ছিলো সে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বসে আছে তাকে বললাম ভাই আমার এখান থেকে কিছু নিয়ে একটু শেয়ার করো। আমি কিন্তু পারছি না আমি শুধু মুরগির মাংস দিয়ে অল্প একটু খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে যাবো।
আসলে সত্যি কথা বলতে আমার লাইফে আমি প্রথম এই বিদেশে এসে এতো আয়োজন দেখলাম হয়তো বা এটা কপালে ছিলো বলে হয়েছে ।এবং সেখানে যে আইটেম গুলো রাখা হয়েছে যে সুন্দর করে সেটা দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগছিল।
যাই হোক বন্ধুরা কিছুটা মজা করেও আপনাদের মাঝে আজকে পোস্টটা শেয়ার করলাম তার পাশাপাশি এই আনন্দের মুহূর্তটা সত্যি আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিন্তু আজকের দিনটা অনেক খারাপ কেটেছে কারণ আজকে কাজ আর কাজ করতে হয়েছে শুধু । সারাদিন একটু বসে থাকার ও সময় পাই নাই অবশ্যই কালকে শেয়ার করব সব কিছু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.