বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। অবশ্যই আমি খুব ভালো রান্না করতে পারি না তবে চেষ্টা করি। বাহিরের রান্না ভালো এবং খারাপ এটা কোনো বিষয় না খাওয়া গেলে হলো। তবুও চেষ্টা তো কম করি না ভালো করে রান্নার জন্য।
আজকের রান্নাটা ছিলো মেটি আলু ও রুই মাছ দিয়ে। অবশ্যই এই আলুর অন্য কোন নাম আছে কি না এটা আমার সঠিক জানা নেই। তবে আমাদের এলাকাতে মেটে আলু নামে পরিচিত তাই আমিও সেটা উল্লেখ করলাম। রুই মাছ তো আমরা সবাই চিনি বাঙালি বলে কথা বাঙালি হয়ে মাছ চিনবো না এটা কোনো কথা।তাহলে শুরু করা যাক আজকের রেসিপি।

সর্ব প্রথম আমরা জেনে রাখি এখানে আমি কি কি ব্যবহার করেছিলাম যে গুলো আমার প্রয়োজনীয় জিনিস ছিলো তার একটি তালিকা।
মেটি আলু ছোট ছোট টুকরো করা দুই কেজি। |  |
একটি রুই মাছ যা পরিষ্কার করার পরে ছয় পিস করা। |  |
এবং অল্প কিছু কাঁচা মরিচ যা মাঝ থেকে কাঁটা। |  |
একটি বড় সাইজের রসুন কুচি কুচি করা। |  |
তিনটে পেঁয়াজ কুচি কুচি করা। |  |
জিরার গুঁড়া চা চামচ এক চামচ। | হলুদের গুঁড়া হাফ চামচ। | পরিমাণ মতো তেল। | এবং স্বাদমতো লবণ। |

আমি এই প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো রান্নার জন্য ব্যবহার করেছিলাম। এবং মেটি আলু বাংলাদেশে থাকতে আমি অনেক খেয়েছি। তবে তার রং ছিলো সাদা কিন্তু আজকে এখানে মেটি আলু কাটার পরে দেখতে পেলাম লাল টপটপ করছে। এখানে এসে আজকে সর্ব প্রথম মেটি আলু খাওয়া হচ্ছে এটা প্রায় তিন বছর পরে খাচ্ছি। | সর্ব প্রথম আমাদের তো একটি কাজ সব জিনিস গুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে পানি দিয়ে। এবং আমরা রান্নার জন্য আমাদের সকল জিনিস গুলো পরিষ্কার করে এক জায়গায় রেখে রান্না করতে চলে যায়। |

প্রথম ধাপ। |  |
আমি যেটা ব্যবহার করেছিলাম সেটা মাছ লবণ ও অল্প একটু হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে ছিলাম। কারণ মাছ গুলো আমি সর্ব প্রথম ভাজি করে নিবো। আমরা বেশির ভাগ মাছ ভাজি করে তরকারিতে দিয়ে থাকি। তাই ভাজির জন্য আমি একটি পাতিলে তেল দিয়ে এবং মাছ গুলো লবণ হলুদ দিয়ে মাখিয়ে তেল গরম হয়ে যাওয়ার পরে সেখানে দিয়ে দিলাম।
যতো সময় না পর্যন্ত আমার মাছ ভাজি করা পছন্দ হয়েছে নিজের মতো করে। ততো সময় আমি মাছ ভাজি করতে থাকি। এবং একটি সময় চলে আসে মাছ ভাজি শেষের পথে। তাই আমি একটি পাতিলে আমার মাছ ভাজি গুলো রেখে দিয়েছিলাম।

দ্বিতীয় ধাপ। |  |
আমি প্রতি দিন যে পাতিলে রান্না করি সেটা চুলার ওপরে বসিয়ে দিয়ে ছিলাম। সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেলটা গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলাম। এবং যখন বুঝতে পারলাম তেল গরম হয়ে গিয়েছে। তখন আমার যে ঝাল পেঁয়াজ মরিচ কাটা ছিলো সে গুলো তার উপরে দিয়েছিলাম। এবং যতো সময় ঝাল পেঁয়াজ গুলো হালকা লাল লাল না হয়ে এসেছে তত সময় জ্বালাতে লেগে ছিলাম।

তৃতীয় ধাপ। |  |
যখন আমি বুঝতে পারলাম ঝাল পেঁয়াজ গুলো লাল লাল হয়ে এসেছে। তখন তার উপরে আলু গুলো দিয়ে ছিলাম এবং অল্প একটু লবণ দিয়ে একটু চামচ দিয়ে নাড়াতে লাগলাম। এবং অল্প কিছু সময় একটি সর্পস দিয়ে ঢেকে রাখলাম। তার একটু পরে আবার চামচ দিয়ে নাড়াতে লেগেছিলাম। এবং হলুদের গুঁড়া এবং জিরার গুঁড়া দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে থাকলাম।

চতুর্থ ধাপ। |  |
প্রায় ১০ মিনিটের মতো আমি এভাবে চামচ দিয়ে নাড়াতে লেগে ছিলাম কষাতে। এবং যখন বুঝতে পারলাম এখন আমার পানি দেওয়ার সময় এসেছে। তাই আমি সেখানে ছোট মগের তিন মগ পানি দিয়েছিলাম। এবং এই আলু টি আমার জীবনে আজকে প্রথম রান্না ছিলো ।এবং আমার ভাই বলেছিল আলু সিদ্ধ হতে সময় লাগে। তাই আমি সেখানে পানির পরিমাণটা একটু বেশি দিয়ে ছিলাম।

পঞ্চম ধাপ। |  |
কিছু সময় পরে পানিটা গরম হয়ে ফুটতে শুরু করে তখন গিয়ে আমি আমার মাছ গুলো তার উপরে দিয়ে একটি সর্পস দিয়ে ঢেকে রাখলাম। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট লেগে যায় তার মধ্য মাঝে মধ্য গিয়ে একটি চামচ দিয়ে একটু একটু করে নাড়াতে লেগে ছিলাম। না হলে তলায় লেগে যেতে পারে। এবং পানি একে বারে শুকিয়ে আসার মতো হয়ে যায় তখন আমি রান্না শেষ করে দিয়ে ছিলাম।

বন্ধুরা আমি আগেও বলেছি রান্না আমি খুব ভালো পারি না তবে চেষ্টা করি। এবং আজকের রান্নাটা খেয়ে তো আমাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং সত্যি কথা বলতে খারাপ লাগলেও আমাদের খেতে হবে ভালো লাগলেও আমাদের খেতে হবে। তাই যদি খারাপ হয়ে যাই কেউ কোনো কথা বলে না। মাঝে মধ্যে আমি নিজে নিজের রান্না খেতে পারি না এতটাই বাজে হয়ে যাই।
তবে আজকের রান্নাটা অনেক ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আসলে কথায় আছে নিজের জিনিস নিজের কাছে ভালো না লাগলে অন্য কারো কাছে ভালো লাগে না। হয়তোবা আপনারা অন্য কোন পদ্ধতিতে রান্না করতে পারেন আমি পারি না। যেটা সহজ ভাবে পারি সেটাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
@baizid123
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে আপনি শেয়ার করেছেন মেটি আলু দিয়ে রুই মাছের রেসিপি। মেটি আলু মানে হয়তো মাটির আলু। আমি জানিনা কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে মাটির আলু। এই আলু আমাদের দেশে মাটির আলু বলে। তবে আমাদের এখানে সাদা রংয়ের হয় আপনাদের ওখানে দেখছি হালকা গোলাপি রঙের। রুই মাছ বাঙ্গালীদের প্রধান খাবার। রুই মাছের সাথে যে কোন সবজি বা মাটির আলু সবকিছুই খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আজকে খুব সুন্দর একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সমস্ত ছবি উপকরণ সহ। সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমাদের এলাকাতে মেটি আলু বলা হয়ে থাকে তবে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করে ছিলাম এক একটি জায়গায় এক এক ধরনের নাম অবশ্যই আছে এবং মাটির আলু এটা হতে পারে কারণ এটা তো মাটিতেই হয়ে থাকেন। যাইহোক আমার রেসিপিটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমে অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য যখন গ্রামের বাড়িতে থাকতাম তখন প্রতিবছর আমার শাশুড়ি এই মাটি আলুর গাছ লাগাতেন এবং অনেক বড় বড় আলু হতো এগুলো রান্না করে খেতে খুব মজার হয়,, আপনার পোস্টটা পড়ে এবং দেখে সে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল ভালো লাগলো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো যে আপনার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ল আমার আজকের রেসিপিটা দেখে। আসলে গ্রামের বাড়িতে এটা প্রত্যেকটি মানুষের বাড়ি দেখা যায় তারা রোপন করে থাকে এবং বাজার ঘাটেও দেখা যায় তবে খুবই কম পাওয়া যায় এটা এখানে দেখে আমি নিয়েছিলাম যেটা রান্না করেছি যাইহোক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে।