Better Life With Steem || The Diary game || 26/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে তাই আজকে মেয়ে মাদ্রাসায় যায়নি,যখন সকাল ৮ঃ০০ বাজে তখন ও বিছানায় শুয়ে আছি। আজকে সকাল বেলা শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছিল না। হাত মুখ ধুয়ে যে, রান্না ঘরে গিয়ে সকালের নাস্তা বানাবো সেটাও ইচ্ছা করছিল না।
আমি বাসায় একা থাকলে আমার জন্য ,, কিছুই বানাতাম না কিন্তু ছেলে মেয়ে এবং স্বামী তাদের জন্য তো কিছু বানাতে হবে । তাই শত কষ্টের মাঝেও এই গরমের ভিতর তাদের জন্য রুটি এবং ডিম ভাজি করলাম।
আমার নাস্তা বানানো হয়ে গেল", তারপর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম। এদিকে দেখি সাহেবও আজকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে গেল। সাহেব ওঠে হাত মুখ ধুয়ে গোসল করে প্যান্ট শার্ট পরে রেডি হল তাকে নাস্তা খেতে দিলাম।
নাস্তা সামনে দেওয়ার পর বলে। এগুলো খাবার ছাড়া অন্য কিছু খাবার নেই আমি বলি অন্য কিছু কি? বলে পানি ভাত। রুটির চেয়ে যদি আমি পানি ভাতটা খেয়ে যাই তাহলে সারা দিনের ক্লান্ত টা দূর হয়ে যায় এবং শরীরটা খুব ভালো লাগে।
একটা বাটিতে করে পানি ভাত দিলাম আর একটা ডিম ভাজিও করে দিলাম খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।সাহেব যাওয়ার পর আমি সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দেওয়ার পর পানি দিয়ে মুছে ফেলেছি । তারপর রান্না করতে চলে যাই।
রান্নাবান্নার কাজগুলো তাড়াতাড়ি করা হয়ে গেল। তখন বাজে সাড়ে বারোটা। বাহিরে বৃষ্টি নামা শুরু করলো খুব ভালই লাগছিল বৃষ্টির জমজম শব্দ শুনতে। ভাবছিলাম বৃষ্টি অনেকক্ষণ ধরে পড়বে কিন্তু পড়েনি। মনে, হয় দশ মিনিটের মতন বৃষ্টি পড়েছে । বৃষ্টি থামার পর আবার একদম পুরো রোদে ভরে গেছে।
![]() |
---|
তারপর গোসল করে জোহরে নামাজ পরে নিলাম। নামাজ পড়ে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া টা সেরে নিয়েছি। তারপর মা ছেলে একটু শুয়েছি। আমি কিছুটা সময় ঘুমিয়েছি ছেলে আর ঘুমায়নি,, সেই সারাক্ষণ বল নিয়ে খেলা করছিল বাসার ভিতরে একা একা।
কারেন্ট যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর ঘুম থেকে উঠে আসরের নামাজ পড়ে নিয়েছি। যখন আসরের নামাজ পড়েছি তখন আকাশটা হালকা লালচে লালচে ভাবছিল। কিন্তু মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে আকাশটা দেখতে এমন লাল ছিল যে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল।
![]() |
---|
সন্ধ্যা হয়ে গেল মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম তারপর ছেলেকে ডিম পোছ করে দি, আর আমার জন্য কিছুটা পপন ভেজে নিলাম। সেগুলো খেয়েদেয়ে ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসায়।
পড়ানো শেষ করে আমি এশার নামাজ পড়ি এরপর ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া করিয়ে ওকে নিয়ে সাড়ে নয়টার ভিতরে শুয়ে পড়ি। এরকম করে আমার আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এবং সবকিছু পরিপূর্ণভাবে আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম ।।