Better Life With Steem || The Diary game || 24/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর মেয়েকে নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যাই। মাদ্রাসায় যাওয়ার পরে ওর ম্যাডামের সাথে মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলি কি রকম ক্লাসে পড়ালেখা করে এবং দুষ্টুমি করে কিনা। প্রায় ১০ মিনিটের মতন কথা বলে তারপর চলে আসি।
তারপর সবজি বাজারে চলে যাই, সবজি বাজার থেকে কচুর ছড়া আর মিষ্টি কুমড়া কিনে নিলাম। এরপর মুদি বাজারে টুকিটাকি কিছু নিলাম। টুকিটাকি বলতো আটা, পেঁয়াজ, আলু, রসুন, আরো কিছু সব মিলিয়ে হাতে আট কেজির ওজনের একটা ব্যাগ । এই ৮ কেজি ব্যাগ নিয়ে আমাকে ছয় তলা সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়েছে।
একতলা সিড়ি বেয়ে আবার কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি, এরকম ধাপে ধাপে করতে করতে বাসায় পৌঁছে গেলাম। বাসায় এসে মনে হচ্ছে এই বুঝি আমার দেহ থেকে পরান টা বের হয়ে যাবে। খুব খারাপ একটা অবস্থা হয়েছে আজকে সকালে।
![]() |
---|
এতকিছু হওয়ার পরও সংসারের কাছ থেকে কি লুকিয়ে থাকা যায়। ঠিক ১৫ মিনিটের মতো ফ্যানের নিচে শুয়ে থাকলাম এরপর আবার রান্নাঘরে চলে যাই সকালের জন্য নাস্তা বানাতে। আলু ভাজি, ডিম ভাজা,আর রুটি বানালাম।
বানানো হয়ে গেলে খেয়ে নিলাম যতক্ষণ খেলাম ততক্ষণ আবার বিশ্রাম নিলাম। তারপর যখন দেখি সাড়ে দশটা বেজে গেল,, আবার রান্না ঘরে চলে যাই দুপুরের জন্য রান্নাবান্না করতে। রান্না করা সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম এদিকে সাহেব ঘুম থেকে উঠে গেল তারপর তাকেও সকালের নাস্তা খেতে দিলাম।
সাহেব খেয়ে-দেয়ে গোসল করে দোকানে চলে গেল। আর আমি এই সময় রান্না ঘরে সমস্ত কাজগুলো গুছিয়ে নিলাম। দুপুরে সব কাজগুলো গুছিয়ে রেখে তারপর মা ছেলে গোসল করে আসি।
গোসল শেষে জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিয়ে এবং আমিও খেলাম। খাবার খেয়ে দেয়ে আমি কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম " আর ছেলে তখন তার গাড়ি নিয়ে খেলতেছিল। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর চোখে ঘুমটা লেগে আসলো এর মধ্য আসরের আযান দিলে তারপর নামাজ পড়ি।
![]() |
---|
আসরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমাবার চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আসছিল না। আসরের আযান দেওয়ার পরও অনেকক্ষণ সময় থাকে তা শুয়ে বসে সময় গুলো কাটাতে পারছি না । তাই একটু ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। ঘুম আর হলো না এপাশ ওপাশ করতে করতে মাগরিবের আজান হলো।
মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেকে নুডুলস রান্না করে দিলাম। আর আমি চানাচুর মাখা খেলাম। সন্ধ্যার নাস্তা করে ছেলেকে নিয়ে একটু পড়তে বসাই। ওকে পড়ানো শেষ করে তারপর পোস্টা লিখে এশার নামাজটাও পড়ে নিয়েছি। এরপর ছেলেকে রাতের খাওয়া দাওয়া করিয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এরকম করে আমার আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এবং সবকিছু পরিপূর্ণভাবে আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম ।।