Better Life With Steem || The Diary game || 19/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আমার ডাইরি গেম নিয়ে এসে বললাম। চলুন আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো কিভাবে কাটালাম সেগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করি।
আলহামদুলিল্লাহ আজকেও খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম। আজকের সকালটা বেশ মিষ্টি ছিল খুব নিজম শীতল ঠান্ডা বাতাস। পাখির কিচি মিচি সুর তার সঙ্গে গাড়ির হরেনের শব্দ। সব মিলিয়ে আজকের সকালটা খুব ভালোই কাটলো।
সকালের কিছুক্ষণ মুহূর্ত পার করে, এরপর গেলাম রান্নাঘরে সকালের নাস্তা বানাতে। আমার নাস্তা বানানোর শেষ হলো এদিকে ভাইয়া আমার ফোনে ফোন দিল সাহেবকে ঘুম থেকে তোলার জন্য,
এরপর সাহেবকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম। সে ফ্রেশ হয়ে হাত মুখ ধুয়ে গোসল করে সকালে নাস্তা খেল। নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে পড়ল।
আমি আর বসে থাকেনি, সাহেবকে বিদায় জানিয়ে তারপর রান্নাঘরে চলে গেলাম। দুপুরে যা যা রান্না করবো তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নার কাজ শুরু করে দিলাম। রান্না করার ফাঁকে ফাকে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর পানি দিয়ে মুছে নিলাম।
এরপর দেখি কারেন্ট চলে গেল, মানে কারেন্টের কার্ড শেষ হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি করে বাড়িওয়ালার আংকেলের কাছে গেলাম তার কাছে কারেন্টের কথা বললাম। সে বলে আমাদের কাছে কার্ড নেই তোমাকে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে কারেন্টের টাকা লোড করে নিতে হবে ।
আমি তো পল্লী বিদ্যুৎ আর চিনিনা কিভাবে যাব, তারপর বাড়িওয়ালা আঙ্কেলের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে অফিসে গিয়ে টাকা লোড করে নিয়ে আসলাম। তবে আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। আজকে কারেন্ট না গিয়ে যদি আগমী কালকে যেত তাহলে দুদিন কারেন্ট ছাড়া আমাকে থাকতে হতো কারন শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকে।
ঝামেলাটুকু শেষ করে তারপর আমি নিচিন্তায় বাসায় আসি। তারপরে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে আমিও করি। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি ঘুমোতে চেয়েছিলাম ছেলের কারণে আর পারিনি, সে বলে আমার সঙ্গে দুষ্টুমি করো খেলা করো ও অত্যাচারে আর ঘুমাতে পারিনি। এরপর কিছুক্ষণ ছেলের সাথে সময় কাটাই এবং আসরের আযান দিলো নামাজ পড়ে নিলাম।।
![]() |
---|
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো, মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম । তারপর ছেলেকে সন্ধ্যার নাস্তার জন্য নুডুলস রান্না করে দিই। সন্ধ্যার নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে তারপর বলে আম্মু আমি একটু নিচে যাব বাবুর সাথে খেলা করবো। আমি সহজে ছেলেকে কোথাও যেতে দিই না , সারাক্ষণ বাসার ভিতরে রাখি। আজকে অনেক জোড়াজোড়ি করলো তাই আমাদের নিজের ফ্ল্যাট একটা বাবু সঙ্গে খেলতে দিয়ে আসি। আর বলে আসি তোমাকে আমি এক ঘন্টা পর নিতে আসবো।
ছেলে বলল ঠিক আছে আম্মু। তারপর আমি বাসায় এসে পোস্ট লিখতে বসে পরি। ভাবছি পোস্টটা লেখা শেষ হলে ছেলেকে নিয়ে আসবো ওকে ছাড়া ভালো লাগেনা বাসায় একদম নিঝুম হয়ে যায়। বাচ্চারা বাসার ভিতরে হইচই ও খেলাধুলা করলে খুব ভালো লাগে।