Better Life With Steem || The Diary game || 18/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে আমার ডাইরি গেম নিয়ে এসে বললাম। চলুন আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো কিভাবে কাটালাম সেগুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করি।
ঘুমঘুম চোখে উঠে বসে পরি, তখন দেখি সকাল সাতটা। সকাল সাতটার সময় উঠেছি তারপরও চোখে প্রচুর ঘুম মেলতে পারছি না। কারণ কালকে রাত্রে অনেক লেট করে ঘুমানো হয়েছে,, যার কারণে ঘুম হয়নি। এরপর ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বিছানায় বসে উঠে পড়ি।।
উঠে দেখি বাহিরে অনেক বৃষ্টি পড়ছে, তাই জানালাটা আটকে দিলাম বৃষ্টির সিটা গায়ে লাগছে।। এরপর হাতমুখ ধুয়ে এসে এক গ্লাস পানি খেয়ে সকালের নাস্তা বানাতে লেগে পড়ি। আমার নাস্তা বানানো হয়ে গেল তখনও দেখি কোন সাহেব ঘুম থেকে উঠে নি। এরপর ফোন নিয়ে বসে থাকি ১০ মিনিটের মতন ফোন ব্যবহার করি। তারপর দেখি আমার ছোট সাহেব উঠে গেছে মানে আমার ছেলে।
তারপর সাহেবকে হাতমুখ ধুয়ে এনে বসে রাখি আর নাস্তা খেতে দি।। এরপরে একে একে করে বাপ বেটিও ঘুম থেকে উঠে গেল। সবার সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ হলো সাহেব বেরিয়ে পড়ল এরপর আমি রান্না ঘরের দিকে চলে যাই।।
![]() |
---|
দুপুরে যা রান্না করব তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর আস্তে আস্তে করে রান্নাটা শুরু করে দি। রান্না বসিয়ে দিয়ে আমার স্বামীর এবং ছেলের কিছু কাপড়চোপড় ধুয়ে নিলাম।
ধোয়ার পর ওগুলো বারান্দায় রোদ দিয়ে তারপর আবার রান্না ঘরে যাই, তারপর বাকি রান্নাটুকু শেষ করে নিলাম। সবগুলো রুম ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ কালাম পরে আগে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি,, তারপর আস্তে আস্তে করে আমার খাবারটাও খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম মানে শুয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণ বাদেই আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে আবারো একটু রান্নাবাড়ের কাজে গেলাম।
আর সেটা হল আমের আচার বানানো। কালকে দেড় কেজি মতন আম এনে রেখেছি সময়ের কারণে বানাতে পারেনি তাই ভাবছি আসতে বানিয়ে নিই।
![]() |
---|
আম কাটতে গিয়ে দেখি আম পেকে গেছে এবং খেতেও মিষ্টি লাগছে। তারপরও সেই আমগুলো দিয়ে আচার বানিয়ে নিলাম। আমের আচারে কালার টা বেশ ভালোই হয়েছে কিন্তু খেতে কেমন স্বাদ হয়েছে সেটা চেকে দেখেনি।।
![]() |
---|
এরপর রান্নাঘরে কাজটুকু শেষ করে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে থাকি। আর ছেলে এদিকে আমার পাশে খেলা করছে। বেশ কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান দিল, আর বসে না থেকে মাগরিবের নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে ছেলেকে একটা কলা দিলাম। সেটা ছেলে মোবাইল দেখে খেতে লাগলো আর আমি এদিকে আমের আচার ঠান্ডা হওয়ার পরে সেগুলো গুছিয়ে রেখে দিই।
যাইহোক বন্ধুরা, এরকম করে আজকে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি মুহূর্তগুলো পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
আপনার আজকের দিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ মাঝেমধ্যে আমাদের রাতের ঘুম খুব একটা ভালো হয় না তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা কষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা তৈরি করলেন রুটি এবং আপনি দেখলেন আপনার ছেলে এবং হাসবেন্ড ঘুম থেকে এখনো উঠে নাই কিছু সময় মোবাইল দেখতে দেখতে খেয়াল করলেন আপনার ছোট ছেলে ঘুম থেকে উঠেছেন।
যাই হোক আপনার এই একটি দিনের কার্যক্রম দেখা অনেকটা ভালো লাগলো শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আমরা যারা হাউজওয়াইফ ,তাদের বেশির ভাগেরই ঘুম ভেঙে বাকি সবার ঘুম ভাঙার আগে। বিশেষ করে যাদের ছোট বাচ্চা আছে তাদের অবস্থাতো আরো খারাপ। তারপর আপনি ও ব্যাস্ততার মাঝেও আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
Thank you