Better Life With Steem || The Diary game || 15/6/2025
হ্যালো বন্ধুরা,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারণে ভালো থাকতে পারছি না। যেদিন দেখি আবহাওয়া টা শীতল এবং বৃষ্টি পড়বে সেদিনটা আমার খুব ভালো কাটে । যাইহোক, কিছু করার নেই, এবার আসি আসল কথায় আজকে আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের ব্যস্তময় সময় গুলো শেয়ার করব।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি, গাড়ির হরেনের শব্দ পেয়ে। শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে বসে পড়ি তারপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি সকাল সাড়ে সাতটা বেজেছে। তারপরা হাত মুখ ধুয়ে এক মগ পানি খেয়ে মেয়েকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাই।
![]() |
---|
মেয়েকে মাদ্রাসার দিকে পৌঁছে দিয়ে তারপর বাজারের দিকে যাই। তবে মেয়ের মাদ্রাসা এবং বাজারে যেতে বেশি সময় লাগে না ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় লাগে। তারপর কিছু খুঁটিনাটি বাজার কিনে নিলাম। যা কিনা সেগুলো নিয়ে আসলাম। আসার পর বাসায় উঠতে আর মন চাইছে না ছয়তলার তার উপরে লিফট নাই।
কোন রকম করে হাপাতে হাপাতে উঠে গেলাম, বাসায় ঢুকে না ঢুকতেই কারেন্টটা চলে গেল কি একটা মুশকিল। সে সময় গরমের কারণে শরীরটা এতটা ছটফট করছে যে মনে হয়, জীবন বুজি এই শেষ।
![]() |
---|
৪-৫ মিনিট পর কারেন্ট আসলো তারপর ১০-১৫ মিনিটের মতন ফ্যানের নিচে বসে থেকে তারপর রান্নাঘরে চলে গেলাম, সকালে নাস্তা বানাতে।
সকালে নাস্তা বানিয়ে আগে সাহেবকে খেতে দিলাম। সেই গা গোসল করে সকালে নাস্তা খেয়ে সাড়ে নয়টায় বেরিয়ে পড়ল। ছেলে আমার তখনও ঘুমোচ্ছে ওকে না উঠিয়ে আমি আমার কাজে চলে গেলাম।
![]() |
---|
দুপুরে যা যা রান্না করব তা সবকিছু কেটেকুটে গুছিয়ে নিয়ে সবকিছু রেখে দিলাম। এরপরে ছেলে ঘুম থেকে উঠলো ওকে সকালে নাস্তা খাইয়ে দিই, ওকে খাইয়ে দেওয়ার পর আবার আমি রান্না ঘরে গেলাম। এরপরে দুপুরে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম।
রান্না করার ফাঁকে ফাঁকে বাসার কিছু খুঁটিনাটি কাজ করি। আর এইদিকে দেখি আমার ছেলে ঝরনা ছেড়ে একা একা বাথরুমে গোসল করছে, আমি ওর কাছে গেলাম। তারপর সুন্দর করে গোসল করিয়ে নিয়ে আসি। আমার রান্নাও শেষ হয়ে গেল।
![]() |
---|
রান্না শেষ হওয়ার পর কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে শরীরটা ঠান্ডা করে তারপর গোসল করে আসি। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দেই।এরপরে আমিও দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম ঘুম আসছে না। তারপর ভাবি একটু পেয়ারা ভর্তা খায় তারপর কাসুন্দি দিয়ে কিছুটা পেয়ারা ভর্তা খেলাম।
খেতে খেতে আসরের আযান দিলো এরপর হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠতে না উঠতে মেয়ে বলে আম্মু চলে নিচ থেকে একটু হেঁটে আসি। আমি আর যাইনি বললাম তোরা দুই ভাই বোনে যা।
![]() |
---|
ওরা নিজে হাঁটাহাঁটি করলো আর আমি উপর থেকে ওদেরকে দেখছি কোথায় যাচ্ছে কি করছে। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর সন্ধ্যা হল তারপর বাসায় এসে পড়ল। আমি আবার আজকের সন্ধ্যার একটা ফটোগ্রাফি তুলে নিলাম আকাশটা খুব দেখতে ভাল লাগছিল।
সন্ধ্যার নামাজ-কালাম পরে ছেলে মেয়েকে নুডুলস রান্না করে দিলাম ওরা খেতে লাগলো আর আমি এদিকে অন্য রুমে এসে পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। যাইহোক বন্ধুরা, আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
লিফট না থাকলে বাইরে থেকে এসে ওপরে উঠাটা যে কতটা ককষ্টকর জানি আমি ।আগে আমি পাচতলার ওপরে থাকতাম।প্রায় ২৫ মিনিটে ছেলের ভারী স্টেস্কুল ব্যাগ কাধে করে ,হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে পাচতলার ওপরে উঠতে জান বেরিয়ে যেত ।
তাই আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে ।ভালো থাকবেন সবসময় ।
Hi @amekhan!
Heat waves are going on everywhere. Here in my area severe heat waves are going on and it is very difficult to walk around or drive bike.
Good to know that you pick and drop your daughter to Madrassah by yourself. It is good to provide her a comfort zone and security.
You made a delicious recipe to eat. Even if is simple but looks delicious.
Want to grow faster on Steemit? Try www.pussteem.com – the first platform that lets you use $PUSS tokens to power up your posts. For just $0.50, you can receive $10 worth of upvotes through our curated support system.
➤ Learn more: Unlock the Power of Your Steemit Journey
➤ Step-by-step guide: How to Get Started -Video Tutorial
Join the movement – boost your visibility, earn more, and grow with Pussteem!
:globe_with_meridians: https://pussteem.com
Join with us on Discord: https://discord.gg/g4KWCtFJbk
অনেক দিন বাদে আপনি আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করি, আপনি ভালো আছেন। যাই হোক, প্রতিদিনের মতো আপনি আপনার সংসারের দায়িত্বগুলো পালন করেছেন। রান্না বান্না থেকে শুরু করে ছেলে মেয়ের যত্ন নেওয়া। শেষ বেলার আকাশের ফটোগ্রাফিটা কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।