আমার জীবনে নতুন এবং পুরাতন কিছু ব্যক্তিগত কথ।।
হ্যালো বন্ধুরা,
প্রথমে আমার পক্ষ থেকে আমার সকল বন্ধুদের সালাম জানাই, আসসালামু আলাইকুম। দীর্ঘ চার মাসের অধিক এই প্লাটফর্মে কাজ করিনি, একটু ব্যস্ততা ছিল কিছু সমস্যা ছিল সব মিলিয়েই একই রকম চলছিল। তবে চলতি কাজে অনেক দিন গ্যাপ পরেছে। তাই কাজ করা শুরু করবো বলে অনেকদিন পেরিয়ে গেল।
![]() |
---|
আর সাহেব তো আমাকে প্রতিনিয়তই বলে যে, তুমি কাজ করা শুরু করে দাও। কিন্তু আমার তেমন একটা মন মানসিকতা এবং সবকিছু নিয়ে ভালো লাগছিল না এবং তার ভিতরে এতদিন কাজ করিনি। ইনশাল্লাহ তবে এখন থেকে প্রতিনিয়ত প্ল্যাটফর্মে একটিব থাকার চেষ্টা করব থাকার।
তবে আজ আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আমার এতদিনে দিনগুলো কি রকম পার করলাম এবং পিছনে ফেলে রাখা কিছু ব্যক্তিগত কথা। এইতো কয়েক মাস আগে আমাদের অনেক বড় একটা সমস্যা হয়েছে । সেই সমস্যার মাশুল টা এখনো বুকছি জানিনা, আল্লাহ সেই সমস্যা থেকে কবে খালাস করবে। এই নানান ধরনের সবকিছু মিলিয়ে টেনশনে ভুগছি ।
![]() |
---|
তবে বিপদে পরলে কিছু কিছু ভালো মানুষের রূপটা চেনা যায়। আমার বিয়ের বয়স সাত বছর। আমার বিয়ে হওয়ার এক মাস পর সাহেব বিদেশে চলে যায়। সেখানে সে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই রানিংই ছিল। আমার স্বামী যখন বিদেশ আসছিলো। তখন আমাদের প্রতি আপন মানুষের ভালবাসার অভাব ছিল না।
যেহেতু আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দেব ওর ননদ কিছুই নেই আমার স্বামী একাই। আমার বিয়ের দুই মাস পর আমার শাশুড়ি মারা গেল। আমার স্বামী আবার বিদেশ চলে যাবে যাওয়ার আগে। আমাকে তার খালার বাড়িতে রেখে গেল। তারপর আবার সাহেব বিদেশে গেল ভালো দিনকাল কাটলো। বিদেশ যাওয়ার দুই থেকে তিন বছর পর সাহেবের অফিসে কিসের যেন একটা সমস্যা হয়েছিল যে, সমস্যার কারণে বাড়িতে আসতে হয়েছিল।
![]() |
---|
যতদিন সাহেবের হাতে টাকা ছিল ততদিন তার আপন মানুষের তার উপরে, আস্তিক আদরের অভাব ছিল না ভালোবাসার অভাব ছিল না। জমানো টাকা আস্তে আস্তে শেষ হওয়ার পর তারপর মানুষের চোখে খারাপ হতে লাগলো তোদের রাখতে পারব না তোদের পথ তোরা দেখ। তখন সাহেব বলে হায় আফসোস যতদিন আমার টাকা ছিল ততদিন আমাদের আদরের অভাব ছিল না। এখন আমার কাছে টাকা নাই সবাই লাকি উস্টা দিচ্ছে ।
তারপরে ঢাকায় আসলাম নিজেদের মতো নিজেরা থাকার চেষ্টা করলাম। তবে আমার সাহেবের বেশি আফসোস লাগছে, আর নিজের বাড়ি তো তার ঠাই হলো না। তার চাচা ধরতে গেলে এক প্রকারের ঘার ধরে বের করে দিল।।
![]() |
---|
এরপর ঢাকায় আসার পর আস্তে আস্তে ভালো দিনকাল কাটছিল। কিছু মাস পরে এমন একটা বড় এমাউন্ট লস খেলো যা মোটা অংকের সংখ্যাগুলো মুখেও ধরে না । সেই টাকার চিন্তায় আজও ভুগছি। সাহেব যখন দিদেশ ছিল তার আত্মীয়র কাছে তার অনেক টাকা রাখা রাখছিল । এখন আমাদের এই খারাপ সময়ের তার পাওনা টাকা গুলো পাচ্ছেনা। এমনকি আমরা ঢাকায় আসার পর আমরা কিরকম আছি, কি অবস্থায় চলছি,কিরকম খাচ্ছি, কারো কোন খোঁজ খবর নাই আমাদের উপরে।
এসব কিছু কিছু ব্যক্তিগত কারণে সাহেব বাড়ি যেতে চায় না এবং আমাকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। সাহেব বলে আমার কেউ নেই, তার মানে তোমারও কেউ নেই। আমি বলি তোমার কেউ না থাকলে তো আমার বাবা-মা আছে আমার তো যেতে ইচ্ছে করে। তবে আমার তো মন মানছে না বাবা-মা কে এবং বাড়ির চারপাশ এলাকা দেখতে খুব ইচ্ছা করে ।
বাড়িতে যদি একটু যেতে পারতাম তাহলে কিছুটা মনের দিক থেকে হালকা হতাম। বিয়ের সাত বছরের ভিতরে আপন মানুষের কাছ থেকে যতটা না শান্তি পেয়েছি। তার চেয়ে অশান্তি ভোগটাই বেশি করেছি। তবে আমি আমাকে নিয়ে একটু গর্ববোধ করি। আল্লাহ আমাকে অনেক ধৈর্য দিয়েছে এবং সেই ধৈর্য সহকারে আমি সবকিছু সামলে নিতে পারি। আর এখনো সেই ধৈর্য নিয়ে আছি। আর ধৈর্যের ফল নাকি খুব মিষ্টি হয় সেই অপেক্ষায় আছি।
তবে আজ এখানেই শেষ করতে চাই জীবনের কথা বলতে গেলে, দিন ফুরাবে কিন্তু কথা ফুরাবে না। কিছু কিছু আপনাদের সামনে উল্লেখ করলাম। তবে মনের ভিতরে কিছু কথা কারো সঙ্গে শেয়ার করলে মনটা ভীষণ হালকা লাগে।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। ইনশাল্লাহ এখন থেকে নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করব। অনেকদিন পর পোস্ট লেখলাম জানিনা লেখা কতটুকু ভুল হয়েছে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের পোস্টে কিছু পুরাতন এবং নতুন ছবি দেওয়া হয়েছে। (আল্লাহ হাফেজ )