The June contest #2 by sduttaskitchen| Most inventions exploited for destruction- your views!

in Incredible India3 days ago

সর্বপ্রথম আমি এই কমিউনিটির এডমিন দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে আর এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি।

1000388374.jpgPexels:

আবিষ্কার বিজ্ঞান বাদ দিয়ে কোন কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব না বিজ্ঞান আমাদেরকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য অনেক কিছু করছে আমাদের দিনকে সহজ করার জন্য বিজ্ঞানের এই নতুন নতুন প্রযুক্তি বা যত কিছুই আবিষ্কার হচ্ছে সবকিছু মানবজাতির কল্যাণের জন্য কিন্তু কিছু কিছু জিনিস অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে।

যে কোন জিনিসের দুইটা দিক থাকে একটা ভালো দিক একটা খারাপ দি ক ঠিক তেমনি আপনি যদি আবিষ্কার ভালো দিকগুলো দেখেন তখনই বুঝতে পারবেন যে কতটা সহজ করে তুলছে আমাদেরকে আর যদি খারাপ দিকগুলো দেখেন তাহলে সেটা শুধু ভয়াবহ আর ভয়াবহ দেখতে পাবেন এজন্য সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য চলে আসলাম আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

✅আবিষ্কার দ্বন্দ্ব ক্ষমতা ও সচেতনতা একটি অন্তর্দৃষ্টি সমাজের পথনির্দেশনায়

1000388375.jpg
Pexels:

আবিষ্কার কি ধ্বংস আনতে পারে

আবিষ্কার বা উদ্ভাবন মানুষের অগ্রগতির প্রধান হাতিয়ার এটি মানবজাতিকে সভ্যতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তবে এর বিপরীত দিকও রয়েছে যখন আবিষ্কার মানবতার কল্যাণে না গিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তখন সেটি হয় ধ্বংসের হাতিয়ার উদাহরণস্বরূপ পরমাণু শক্তির আবিষ্কার বিজ্ঞানের অন্যতম মাইলফলক হলেও হিরোশিমা ও নাগাসাকির ধ্বংস দেখিয়ে দিয়েছে যে জ্ঞানও হতে পারে মৃত্যুর দূত।

আবিষ্কারের উপর নির্ভর করে না ধ্বংস আসবে কি না বরং যারা এই আবিষ্কার ব্যবহার করে তাদের উদ্দেশ্যই মূল নিয়ামক ইন্টারনেট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছুই মানুষের সেবায় ব্যবহৃত হতে পারে আবার নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্যবহৃত হলে সমাজে বৈষম্য গোপনীয়তা লঙ্ঘন বা এমনকি সামাজিক বিচ্ছিন্নতাও ডেকে আনতে পারে।

ন্যায্যতা সুতরাং আবিষ্কার নিজে ধ্বংস আনতে পারে না মানুষের অভিপ্রায় ও ব্যবহারই এটি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে এই কারণেই প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি বা আবিষ্কারের সাথে থাকা উচিত কঠোর নৈতিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ।

1000388381.jpgPexels:

✅কোন দ্বন্দ্বের পিছনে প্রধান কারণ কী?

দ্বন্দ্ব মানব সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ কিন্তু তা কেবল বিভাজনের উৎস না বিবর্তনেরও চালিকা শক্তি অধিকাংশ দ্বন্দ্বের মূলে থাকে ক্ষমতা সম্পদ ও মতবাদের সংঘর্ষ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব রাজনীতি শাসন বা সামাজিক নেতৃত্বে কে থাকবে তা নিয়ে অসংখ্য সংঘাত বিশ্বজুড়ে চলছে ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রায় সব বড় যুদ্ধই হয়েছিল ক্ষমতার দখল নিয়ে সম্পদের দ্বন্দ্ব পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত হলেও মানুষের লোভ অসীম পানির উৎস খনিজ সম্পদ বা কৃষিজমি নিয়ে জাতি বা গোষ্ঠীগত সংঘর্ষ বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান।

মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব ধর্ম সংস্কৃতি ভাষা বা বিশ্বাসভিত্তিক পার্থক্য মানুষকে বিভক্ত করে একে অন্যকে শ্রদ্ধা না করলে সেই পার্থক্য সংঘাতে রূপ নেয় অজ্ঞতা ও ভুল বোঝাবুঝি অনেক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় ভুল তথ্য গুজব বা নেতিবাচক প্রভাবের কারণে মিডিয়ার অপব্যবহার বা প্রপাগান্ডা দ্বন্দ্বকে আরও জটিল করে তোলে।

আমার দৃষ্টিভঙ্গি দ্বন্দ্বকে একেবারে দূর করা সম্ভব নয় তবে ন্যায্যতা সংলাপ ও শিক্ষার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যখন মানুষ বিজয়ের জন্য সংঘর্ষ' এর চেয়ে সহাবস্থানের জন্য সমঝোতা কে বেশি গুরুত্ব দিবে তখন দ্বন্দ্ব অনেকটাই কমে যাবে।

✅ক্ষমতা পরিচালনার সময় কী কী বিষয় মনে রাখা উচিত?

ক্ষমতা একটি ভারসাম্যপূর্ণ দায়িত্ব এটি যখন কারো হাতে আসে তখন তার চরিত্র মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিই নির্ধারণ করে সমাজে সে কী প্রভাব ফেলবে ইতিহাস দেখায় অনৈতিক ও স্বৈরাচারী ক্ষমতা মানুষকে ধ্বংস করেছে অন্যদিকে ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব সমাজকে আলোকিত করেছে।

দায়িত্ববোধ ক্ষমতা কোনও পুরস্কার নয় এটি দায়িত্ব জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য নম্রতা ও শোনার মানসিকতা একজন প্রকৃত নেতা নিজের মত চাপিয়ে না দিয়ে জনগণের মত শোনেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দুর্নীতি রোধ করতে হলে নেতৃত্বে থাকতে হবে স্বচ্ছতা ও সততার মানদণ্ড সীমাবদ্ধতা বোঝা ক্ষমতার অপব্যবহার তখনই হয় যখন কেউ নিজেকে সবার ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করে নৈতিকতা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ জরুরি একতরফা লাভের দিকে না তাকিয়ে বৃহৎ কল্যাণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে ক্ষমতা যেমন বড় বড় পরিবর্তনের জন্ম দিতে পারে তেমনই তা একটি জাতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে পারে যদি তা সদ্ব্যবহার না হয়।

✅যত্ন সহকারে পরিচালনা করুন এই শব্দের মাধ্যমে কীভাবে সমাজকে শিক্ষিত করা যায়?

যত্ন সহকারে পরিচালনা করুন এই বাক্যটি শুধু একটি নির্দেশ নয় এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গি এটি বোঝায় সবকিছুকে দায়িত্ব সংবেদনশীলতা ও মানবিকতার সাথে পরিচালনা করতে হবে সমাজে এই ভাবনার প্রসার ঘটানো গেলে অনেক অসুবিধা দূর হতে পারে।

সমাজকে শিক্ষিত করার উপায়

শিশু শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের শেখানো উচিত দায়িত্ব নেওয়া মানে নিজের কাজ যত্ন করে করা অন্যকে সম্মান করা এবং ভুলের জন্য দায় নেওয়া নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ রাজনৈতিক বা সামাজিক নেতাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যাতে তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমাজের সব স্তরের প্রভাব বিবেচনা করেন মিডিয়া ও সাহিত্য নাটক চলচ্চিত্র কবিতা বা উপন্যাসের মাধ্যমে এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় যত্ন সহকারে যেকোনো কাজ করলেই তা সুন্দর ফল দেয় প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বা তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রেও মানুষকে শেখাতে হবে যত্ন সহকারে পরিচালনা করুন নাগরিক দায়িত্ব নাগরিকদের শেখাতে হবে নির্বাচন কর প্রদান পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও যত্নশীল আচরণ জরুরি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি যত্ন শব্দটি প্রাধান্য পায় পরিবার থেকে অফিস রাস্তাঘাট থেকে সংসদ পর্যন্ত তাহলে একটি সুস্থ সহনশীল ও উন্নত জাতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ আমি একটা কথাই বলবো আবিষ্কার দ্বন্দ্ব ক্ষমতা ও যত্ন এই চারটি বিষয় আধুনিক সমাজের ভবিষ্যত নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে একটি সচেতন সমাজের জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার মতভেদে সহনশীলতা দায়িত্বপূর্ণ নেতৃত্ব এবং প্রতিটি কাজে যত্নশীল মনোভাব এই চেতনাগুলো যদি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পরিবার ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে একটি সুন্দর ও মানবিক সমাজ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@nhriyad @bonp @nhriyad

আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন লেখার ভিতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে নিজ গুণে ক্ষমাসুন্দর্য দৃষ্টিতে দেখবেন।

1000351974.gif

Posted using SteemPro

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...