সামান্য বিষয়েও যাদের মাথা খারাপ!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা অদ্ভুত ব্যাপার শেয়ার করতে এসেছি। তা এটা খুব সামান্য একটি ব্যাপার, কিন্তু তাও ভাবলাম যে যেহেতু লেখালেখি করছি, সে ক্ষেত্রে আজকে যেটা ঘটেছে, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। অর্থাৎ, একদিন আগে ঘটেছে, সেটা আমি আজকে পোস্ট করছি।

যাই হোক, ব্যাপার যেটা, সেটা হলো—আমার গতকাল এক্সাম ছিল। তো, প্রথম এক্সাম ছিল এই সেমিস্টারের। মিনিটারের। তো, সে ক্ষেত্রে আসলে অনেক বেশি চাপের মধ্যে ছিলাম, কারণ পরীক্ষার শুরু হওয়া মানে কিন্তু অনেক বেশি পড়াশোনা শুরু হওয়া। আর অনেক বেশি পড়াশোনা মানেই হলো—অনেক বেশি কষ্ট করা। আর আমি মোটেও কষ্ট করতে ভালোবাসি না। অর্থাৎ, অলস ব্যক্তি। সে ক্ষেত্রে, একটু শুয়ে, বসে, খেয়ে দিন পার করতে অনেক বেশি পছন্দ করি—হাহাহা!

যাই হোক, এখন মূল কথায় আসি। তো, আমাদের যেখানে আসলে হল পড়ে, অর্থাৎ আমাদের ক্যাম্পাসের মধ্যেই আমাদের এক্সাম হল হয়। কিন্তু আসলে এক-এক সময় এক-এক রুমে পড়ে, আবার মাঝেমধ্যে আলাদা বিল্ডিংয়েও হল পড়ে। তো, সে কারণেই আসলে প্রথমেই একটা দুশ্চিন্তা থাকে যে আমাদের সিট কোথায় পড়বে, কিংবা রুম কোথায় হবে। কারণ এটা একটু ঝক্কির ব্যাপার। অর্থাৎ, কোন এক রুমে গেলাম, কিন্তু অন্য রুমে সিট পড়ল—আর সেখানে গিয়ে দেখলাম যে সবাই বসে গিয়েছে! তো, ব্যাপারগুলো একটু কষ্টের।

যাই হোক, সে কারণে আসলে রীতিমতো যুদ্ধ করেই বলা চলে যে কোন রুম, সেটা খুঁজে বের করি। যাই হোক, তো গতকাল বের করার পরে আমার এক বান্ধবী এসে বললো যে তার জন্য যেন জায়গা রাখি। তো, আমিও বললাম যে রাখবো। কিন্তু পরের মুহূর্তেই, আসলে ঢোকার সাথে সাথে সকলে এমন হুড়মুড়িয়ে ঢুকলো, যে আমি আর শেষ পর্যন্ত জায়গা রাখতে পারিনি। তো, ব্যাপারটি আসলে খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। কিন্তু হুট করে আমার ওই বান্ধবী খুব বেশি গরম হয়ে গেল, এবং বলা চলে যে আমার সাথে ঝগড়া-ই করতে শুরু করলো। কিন্তু আমি কিছু বলিনি, কারণ তখন অলরেডি ক্লাসে ইনভিজিলেটর চলে এসেছিল।

আসলে কিছু কিছু মানুষের মস্তিষ্কের অবস্থা দেখলে হাসি পায়। কারণ এত সামান্য সামান্য ব্যাপারেও যদি আসলে এত বেশি মাথা গরম করতে হয়, তাহলে বড় বড় বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কি হবে—আমি মাঝেমধ্যে সেটাই ভাবি। কারণ, এই সামান্য সামান্য ব্যাপারগুলো যদি হ্যান্ডেল করতে না পারে এবং সবকিছুতেই যদি এত ডিরেক্ট করে ফেলে, তাহলে কিন্তু বড় ব্যাপারগুলো হ্যান্ডেল করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ সামান্য বিষয়েই যদি আমরা সব সময় মাথা খারাপ করে ফেলি, মাথা গরম করে ফেলি, এরপরে কিন্তু আসলে সেটা নিয়ে কথা বলা বা কাজ করাটা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যায়।

তাই সব সময় মাথায় একটু ঠান্ডা রাখা উচিত—যদিও আমি নিজেও সেটা খুব একটা মানতে পারি না, কিংবা মেনে চলতে পারি না। তবে একেবারেই এই অবস্থাও নয়। অর্থাৎ, তাকে দেখে আসলে মনে হয় যে আমাদের মাথা, কিংবা আমার নিজের মাথা, অনেকটাই ঠান্ডা থাকে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।