বিশ বছর পর স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তা...
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
২০০৫ সালে আমি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।বিয়ের কয়েক মাস পরেই স্বামীর সাথে সংসার করার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু করি।২০০৫ সালে আমার স্বামীর বেতন ছিল সর্বসাকুল্যে সাড়ে ছয় কি সাত হাজার টাকা হবে হয়তো আমার সঠিক টা মনে নেই তবে এরচেয়ে কম ছাড়া বেশি নয়!এক রুমের একটা ছোট্ট বাসায় উঠি ২৪০০ টাকা ভাড়ায় ৫০০ টাকা ডিপিএস দিয়ে যা থাকে তাই দিয়ে সারা মাসের বাজারঘাট আত্মীয় স্বজন সবকিছুই এই টাকার মধ্যে করতে হতো।ঢাকা শহরে বসবাস করার জন্য এই টাকা কিছুই না কিন্তু তখন জিনিসপত্রের দাম অনেক কম ছিলো বিধায় খেয়েপড়ে চলা যেতো।
বিয়ের পর মেয়েরা স্বামীর সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় ভালো সময় অতিবাহিত করে এখন আমরা নিজেরদের মধ্যে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পাই।আমার বিয়ের পর বছরে একবার দূর্গা পূজায় বাড়িতে আসা হতো আর ছয় মাসে একদিন হয়তো একবেলার জন্য ঢাকায় আমার কাকার বাসায় একবেলার জন্য যেতাম এই ছিলো আমার জীবন।স্বামীর সাথে ঘোরাঘুরি করার মতো কোনো ভালো স্মৃতি আমার নেই তবে এখন আমি চাইলেই অনেক জায়গায় যেতে পারি বা যাই।কিন্তু ঐ সময় গুলো খুব মিস করি এখন চাইলেও আর নতুন জীবনের অনুভূতি গুলো ফিল করকে পারবো না।তারপরও কোনো আক্ষেপ নাই সবমিলিয়ে বেশ সুখে-শান্তিতেই ছিলাম।
আমি বরাবরই অসুস্থ তা আপনারা সকলেই জানেন আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছি।কিন্তু আমার বিয়ের পর থেকে আমার স্বামীর তেমন কোনো শারীরিক অসুস্থতা দেখিনি।হয়তো বছরে একবার সিজন্যালী জ্বর সর্দি হতো এতটুকুই এর বেশিকিছু না।তার সুস্থতার একমাত্র কারণ হলো সে খাবার দাবার সবসময়ই পরিমাণ মতো এবং সময় অনুযায়ী খাওয়ার চেষ্টা করে এবং সাথে সময় মতো ঘুম সবকিছুই তার নিয়মের মধ্যে।আর এজন্য সবসময়ই সুস্থ ছিলো।কিন্তু হঠাৎ করেই তার শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে কিন্তু বিষয় টি কোনোভাবেই গায়ে লাগায় না।সেদিন আমি জানতে পারি জানার পর থেকেই আমি খুবই চিন্তিত এবং তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন রকম চেষ্টা করছি কিন্তু সে বিষয় গুলো খুবই স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে আমার কথা মানতেই নারাজ।সবমিলিয়ে বেশকিছুদিন ধরে মানসিকভাবে খুবই অশান্তির মধ্যে আছি তাই নিজের কাজকর্ম কোনোকিছুতেই মন বসাতে পারছি না।স্বামীর সেবাযত্ন তার সাথে ভালো সময় কাটানো তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।পনেরো দিনের ছুটিতে আসছে আমি আমার সকল কিছু বাদ দিয়ে তার মঙ্গলের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি তার সুস্থতার জন্য বাকিটা ঈশ্বরের কৃপা।🙏
আপনারা সকলে আমার স্বামীর জন্য আশীর্বাদ দোয়া করবেন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার জীবনযাত্রা, সংগ্রাম ও প্রেমের গল্প সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। ছোট সংসারে সীমিত আর্থিক অবস্থায়ও যে সুখী থাকতে পারা যায়, তা আপনি দেখিয়েছেন। স্বামীর সুস্থতার জন্য আপনার যত্ন, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগ সত্যিই প্রশংসনীয়। জীবন কখনো সোজা পথেই চলে না, কিন্তু আপনি যে ধৈর্য ও ভালোবাসার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটি অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনার পরিবারে সুখ, শান্তি ও সুস্থতা কামনা করছি, ঈশ্বরের কৃপায় সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।🙏
যারা নিয়ম মেনে জীবন যাপন করে তাদের সুস্থতার হার অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবে ভাইয়ার হঠাৎ করে অসুস্থতার খবর শুনে খুবই খারাপ লাগছে। তার অসুস্থতার ক্ষেত্রে তাকে ডাক্তার দেখানো এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। না হলে পরবর্তীতে জটিলতার সৃষ্টি হলে হয়তো কোন কিছুই আর কাজ হবে না। যাইহোক ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল। যাতে করে তিনি সুস্থ থাকেন এবং আপনাদের হাসিখুশি পরিবারটাও সুন্দর ভাবে চলে।