রমজানের পবিত্র মাসে ইফতারের সময়টা সবচেয়ে বেশি আনন্দময় হয়ে ওঠে যখন তা বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেওয়া যায়। ইফতার পার্টি শুধু খাওয়া-দাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি হয়ে ওঠে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার, একসাথে ভালো সময় কাটানোর এবং রোজার পবিত্রতা উপভোগ করার একটি সুযোগ।যখন সবাই একসাথে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করে, তখন প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ। আজানের সাথে সাথে সবার সাথে ইফতার খোলা, একসাথে দোয়া করা এবং গল্পগুজব করতে করতে খাওয়া—এই মুহূর্তগুলোই স্মৃতিতে গেঁথে থাকে। ইফতার পার্টির সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো এটি শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, বরং হৃদয় ভরানোরও একটি মাধ্যম। বন্ধুদের সাথে হাসি-ঠাট্টা, নতুন স্মৃতি তৈরি করা এবং একে অপরের খোঁজখবর নেওয়ার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

ইফতার পার্টি শুধু একটি সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি আবেগ, একটি ভালোবাসার প্রকাশ। যদিও আমরা আগে থেকে কোন প্ল্যান করিনি। হঠাৎ করে আজকে দুপুর দুইটার দিকে আমার দুই কাছের বন্ধু আমাদের বাসায় আসে। এরপর আমাকে তাঁরা বললো যে আজকে আমরা ইফতার পার্টি করতে চাচ্ছি তুই কি বলিস।আমি বললাম যে এগুলো তো বললেই হুটহাট করে করে যায় না। আমাদের আরো যে গুলো বন্ধু আছে ওদের কে ও তো বলা লাগবে। এরপর আমরা তিনজন মিলে সবাইকে ফোন দিয়ে এক জায়গায় ডাকলাম। সবাই একত্রিত হয়ে একটা লিস্ট তৈরি করা হলো। এরপর আমরা সবাই কম বেশি টাকা দিয়ে বাজারে চলে গেলাম বাজার করার জন্য। বাজার করে আসতে আসতে প্রায় আছর পেরিয়ে গেলো।

তখন আমরা সবাই মিলে প্লান করলাম যে যেহেতু আমাদের হাতে এখন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় আছে। তাহলে আমরা নদীর পাড়ে গিয়ে ইফতার করি। কিছুদিন ধরে স্যোশাল মিডিয়ায় শুধু সবাই দেখাদেখি করতেছি। তাঁরপর সবাই বললো যে ঠিক আছে তাহলে চলো। তখন আমি বললাম যে বড় নদী তো অনেক দূরে সেখানে যেতে অনেক সময় লাগবে।তাই আমি বলি কি আমাদের বাড়ির পাশের যে ছোট আখিরার নদী আছে ঐ নদীর পাড়ে যাই। সেখানে খুব সুন্দর মসজিদ ও সেখানে গেলে আমরা সেখানে মাগরিবের নামাজ ও পড়তে পারবো। এরপর তাঁরা সবাই আমার সাথে সম্মতি জানালো এরপর আমরা সেখান চলে গেলাম।সেখানে গিয়ে সব কিছু রেডি করা হলো। আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে দোয়া করলাম এরপর আজান দিয়ে দিলো আমরা খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া শেষ করে সেই মসজিদে নামায আদায় করলাম। এরপর সবাই মিলে বেশ অনেকক্ষণ ধরে গল্পগুজব করলাম বেশ ভালোই সময় অতিবাহিত করলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ভোলার মতো নয়।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।