এই আইসক্রিম গুলো কতটা স্বাস্থ্যকর।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি সচেতনতামূলক ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি জানিনা আজকের ব্লগটির ব্যাপারে কার কি অভিমত হবে। তারপরও আমি আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজকে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হয়েছি। এমন সময় দেখি মসজিদের সামনে বেশকিছু মানুষ জমাট বেঁদে আছে। সাধারণত জুমার দিন অনেক মসজিদের সামনে ভ্যান গাড়িতে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বসে বিক্রি করার জন্য। বিভিন্ন ফল মূল সহ, কাপড়, টুপি আতর এসব জিনিস বেশি দেখা যায়। মানুষ মসজিদ থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় পছন্দ হলে বিভিন্ন জিনিস কিনে নিয়ে যায়।
আজকে মসজিদ থেকে বের হয়ে ভিন্ন একটি জিনিস দেখলাম। সাধারণত শুক্রবারে জুমার নামাজের সময় বড়দের সাথে বাচ্চারাও নামাজ পড়তে আসে। তো নামাজ শেষ হওয়ার পরে বাচ্চা যুবক বৃদ্ধ অনেক মানুষ একটি জায়গার মধ্যে জটলা বেঁধে আছে। আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে সেদিকে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম। গিয়ে দেখি এক লোক ভিন্ন ধরনের একটি আইসক্রিম বিক্রয় করছে। এটাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় আইস গোলা। এগুলো আমি কখনো খাইনি। বা কখনো খাওয়ার চিন্তাও করি নাই। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ আইস গোলা বানানোর প্রক্রিয়া দেখলাম।
গাড়িরের নিচে একটি বক্সের মধ্যে বরফের টুকরা রাখা আছে। সেখান থেকে আইস বের করে উপরে একটি কাটারের মাধ্যমে আইস গুলোকে কুচি কুচি করা হয়। তারপর সেগুলো ছোট একটি স্টিলের গ্লাসের মধ্যে রেখে মাঝখানে একটি আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে শক্ত করা হয়। আমি দেখলাম বরফগুলো চাপ দিলেই শক্ত হয়ে যাচ্ছে। স্টিলের গ্লাস থেকে শক্ত আইসের টুকরো ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের গ্লাসে রাখছে।
তারপর দেখতে পেলাম একটি বোতল থেকে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের ক্রিম বের করে সেই আইস গলার মধ্যে দিচ্ছে। তার কাছে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ফ্লেভার এর ক্রিম রয়েছে। অল্প একটু ক্রিম দিয়ে সাথে কনডেন্স মিল্ক অল্প একটু মিশিয়ে দিচ্ছে। আর এগুলো মানুষ ১০ টাকা ২০ টাকা করে নিয়ে খাচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখলাম লোকটি একা বানিয়ে দিয়ে পারছে না।চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেছে। মোটামুটি অনেক বাচ্চারা এগুলো খাচ্ছে।
যে যেই ফ্লেভারের ক্রিম চাচ্ছে তাকে সেটাই দিচ্ছে। এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম বাচ্চাদেরকে একরকম দিচ্ছে আবার বড়দেরকে আর একরকম দিচ্ছে। এখানে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হলো লোকটির গাড়িতে দুইটি ব্লেন্ডার মেশিন রয়েছে। সেগুলোতে বিভিন্ন ফলের জুস দেখতে পেলাম। লোকটি বলছে বিভিন্ন ধরনের ফল ব্লেন্ডার করে, সে এই ফ্লেভারের ক্রিম গুলো বানাচ্ছে। কিন্তু আমি যতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম ততক্ষণ আমি ব্লেন্ডার থেকে কোন ফলের জুস নামাতে দেখি নাই। তার বোতলের মধ্যে যেগুলো ছিল সেগুলো দিয়ে মানুষকে বিদায় করছে।
এখন আমি জানিনা যে, লোকটি বিভিন্ন ধরনের ফলের ফ্লেভার এর কথা বলে আসলে কি দিচ্ছে। আর ফল ফ্রুট দিলেও ঠিক কতটুকু দিচ্ছে সেটাও আমার প্রশ্ন রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমার কোন বিশ্বাস নেই। বাংলাদেশে ৯৮% পার্সেন্ট ব্যবসায়ীরা নিজেরর স্বার্থের জন্য মানুষের ক্ষতি করতে দ্বিধা বোধ করে না। খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ভেজাল মিশিয়ে তারা রাতারাতি বড়লোক হতে চাই। মাঝে মাঝে দেখি বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্টে গিয়েও ভোক্তা অধিদপ্তরের অফিসারগণ জরিমানা করে থাকে।
তারা খাবারের মধ্যে এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার করে যেগুলো মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যুর সন্নিকটে নিয়ে যাই। যারা খাবারের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষকে ধোকা দেয় তারা দেশের শত্রু তারা জাতির শত্রু। সুতরাং বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় যে কোন খাবার খাওয়ার সময় আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এখানে আমি যে আইস গোলা দেখলাম এখানে আমি কোন ভুল দেখতে পাইনি। তবে আমার মনে প্রশ্ন জাগে তিনি বিভিন্ন ফ্লেভারের যে ক্রিমগুলো দিচ্ছেন সেগুলো কিসের তৈরি। আসলেই কি এগুলোতে ফলের রস আছে.... কোন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো নেই তো। এমন হাজারো প্রশ্ন আমার মনের মধ্যে জেগে উঠে। সে কারণে আমি কোন বিপদে না পারলে রাস্তাঘাটের কোন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি না।
বন্ধুরা যেখানেই যাবেন সতর্ক থাকবেন। সর্তকতা আমাদেরকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করে। আজকে আর কথা বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিবো।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আগামীকাল আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৮-০৪-২০২৫ |
সময় | দুপুর-২.০০ টা |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
এই গোলাগুলো আমাদের এখানেও বিক্রি হয়। তবে আমি কোনদিন খাইনি কারণ এটা দেখেই আমার সব সময় মনে হয় জীবাণুতে ভর্তি। কোনভাবেই মানুষের শরীরের কোন উপকার তো দূরের কথা ক্ষতিহীনভাবে থাকবে না। তাই এগুলো এড়িয়ে চলি। তবে মানুষজনের মধ্যে খুবই বিখ্যাত অনেকেই বেশ লাভ করে খায় দেখি। আপনি ঠিকই বলেছেন যে রং গুলো ব্যবহার করে সেই কেমিক্যাল গুলো আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। সুস্বাস্থ্যসম্মত একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এগুলো যে ক্ষতিকর নিউজপেপারে সহ সোশ্যাল মিডিয়া তে দেখাচ্ছে। তারপরেও মানুষ খাচ্ছে। কি একটা অবস্থা।
বাস্তবতা হলো, খারাপ জিনিষের প্রতি আমাদের আকর্ষণটা বরাবরের মতোই একটু বেশী থাকে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পত্রিকায় অনেক লেখালেখিও হয়েছে, এগুলো আদতে ভীষণ ক্ষতিকর ক্যামিকেল।
কিন্তু মানুষ তো সেটা বুঝে না। সামনে ব্লেন্ডারের মধ্যে কিছু ফল রেখে দিয়েছে, সে গুলো দেখিয়ে সারাদিন ক্যামিকেল বিক্রি করে। যা মারাত্মক ক্ষতিকর।
https://x.com/RamimHa74448648/status/1913219937046352178?t=nGcD5RvapRHz1wTS28vL7A&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1913220493160628539?t=Moyzi2RN-4KhivyIkd9IOw&s=19
কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা চোখের সামনে এরকম কেমিক্যাল এর ব্যবহারের পরেও তারা এগুলোকে অনেক তৃপ্তি করে খেয়ে থাকে৷ তাদের চোখের সামনে এর ব্যবহার দেখেও যেন কোন ধরনের সচেতনতার কোন কিছুই তাদের মনের মধ্যে আসে না৷ এগুলো কখনোই স্বাস্থকর নয় । এগুলো যেভাবে শুধুমাত্র বরফের মধ্যে কেমিক্যাল ব্যবহার করে এর স্বাদ এবং রঙ আনা হচ্ছে এগুলো কখনো শরীরের ভালো কিছু করবে না৷ উল্টো শরীরকে আরো খারাপ করে দিবে৷ ধন্যবাদ আজকে আপনাকে এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
জী ভাই মানুষ বুঝার চেষ্টা করে না।
সাধারণত উনারা ফ্লেভারযুক্ত ফুড কালার ব্যবহার করে। সত্যি বলতে এই বরফ গোলা আমার অনেক পছন্দের। তবে এটাও ঠিক এটা স্বাস্থ্যকর একেবারেই বলা যায় না। কিন্তু অনেক সময় অতিরিক্ত গরম পড়লে আমি এটা খেতাম আগে।
ছোট সময়ই সবাই খেয়েছে ভাই।