হাসির কিছু মুহূর্ত…[১৭]

জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

গ্রামের হোমিও ডাক্তার আর রোগী

গ্রামের এক প্রান্তে একজন হোমিও ডাক্তার বসেন। নাম তাঁর ডাক্তার গফুর। গ্রামের মানুষ তাঁকে খুব মানেন, কিন্তু সবাই জানে উনি আসলে একটু ‘ভিন্ন মেজাজের’।

একদিন এক রোগী তাঁর চেম্বারে এল। গায়ে জ্বর, মাথায় ব্যথা, গলায়ও একটু কাশির সুর। রোগী ঢুকেই কাশতে কাশতে বলল,
“ডাক্তার সাহেব, আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। জ্বর আসছে, মাথাও ঘুরছে।”

ডাক্তার গফুর চশমাটা চোখে দিয়ে রোগীকে একবার ভালো করে দেখলেন। তারপর বললেন,
“হুম, বুঝেছি। তুমি খুব বিপদে আছো।”

রোগী ভয় পেয়ে গেল, বলল,
“তাহলে কি অবস্থা খুব খারাপ?”

ডাক্তার রহস্যময় ভঙ্গিতে বললেন,
“খারাপ তো বটেই। তবে চিন্তা করো না। আমার কাছে এক অসাধারণ ওষুধ আছে। এটা খেলেই এক ঘণ্টার মধ্যে তোমার জ্বর, ব্যথা সব উধাও।”

রোগী খুশি হয়ে বলল,
“তাহলে তাড়াতাড়ি দেন ডাক্তার সাহেব!”

ডাক্তার টেবিলের ড্রয়ার খুলে এক ছোট্ট শিশি বের করলেন। তাতে পানি ছাড়া আর কিছুই নেই। রোগী অবাক হয়ে বলল,
“এটা কী?”

ডাক্তার গম্ভীর মুখে বললেন,
“এটা আমার বিশেষ ওষুধ। এর নাম ‘ধৈর্য ধরা’। দিনে তিনবার খাবে, আর প্রতিবার খাওয়ার আগে জোরে হেসে নেবে।”

রোগী হতভম্ব হয়ে বলল,
“হেসে খেতে হবে মানে?”

ডাক্তার বললেন,
“হ্যাঁ, কারণ হাসিই হলো সবচেয়ে বড় ওষুধ। হাসলে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে, রোগ সারে। তাই আমার ওষুধের আসল শক্তি হাসিতে।”

রোগী বিরক্ত হয়ে বলল,
“ডাক্তার সাহেব, তাহলে তো এই পানি খেয়ে কাজ হবে না।”

ডাক্তার হেসে উত্তর দিলেন,
“হবে, অবশ্যই হবে। কারণ যখনই তুমি এই পানি খাবে, তখনই হাসবে। আর হাসতেই তো শরীর ভালো হয়ে যাবে। বুঝলে?”

রোগী কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হেসে ফেলল। পাশে বসা আরও দু’জন রোগীও হেসে উঠল। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার গফুরও হেসে দিলেন।

অবশেষে সবাই বুঝল, কৌতুকটা ডাক্তারই তৈরি করেছেন রোগ সারানোর জন্য নয়, বরং হাসানোর জন্য। আর সত্যি বলতে কী, হাসতে হাসতেই রোগীর জ্বরের কথা যেন ভুলে গেল।

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}