হাসির কিছু মুহূর্ত…[১৭]

জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

চালাক রিকশাওয়ালা আর যাত্রী

ঢাকার এক ব্যস্ত রাস্তায় একদিন সকালে এক ভদ্রলোক খুব তাড়াহুড়ো করে অফিসে যাচ্ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে একটা রিকশা ডাকলেন।

ভদ্রলোক: “ভাই, ফার্মগেট যাবেন?”
রিকশাওয়ালা একটু ভেবে বলল: “হ্যাঁ, যাব। তবে ভাড়া লাগবে ১৫০ টাকা।”

ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন: “কি বললেন! ফার্মগেট তো একেবারেই কাছে, ১৫০ টাকা কেন?”

রিকশাওয়ালা গম্ভীর মুখে বলল: “ভাই, রাস্তার জ্যাম তো দেখছেন। জ্যামে বসে আমারও সময় নষ্ট হবে। তাই ভাড়া একটু বেশি।”

ভদ্রলোক রাগে গজগজ করতে করতে বললেন: “আচ্ছা ঠিক আছে, সময় কম আছে, উঠলাম।”

রিকশা চলতে শুরু করল। খানিকটা যাওয়ার পর হঠাৎই ভদ্রলোক খেয়াল করলেন, রিকশাওয়ালা শর্টকাট রাস্তা দিয়ে খুব দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় কোনো জ্যামই নেই।

ভদ্রলোক হাসতে হাসতে বললেন: “আরে ভাই, এখানে তো কোনো জ্যামই নেই। তাহলে ভাড়া এত বেশি নিলেন কেন?”

রিকশাওয়ালা চোখ টিপে বলল: “এই তো, ভাই। এখন জ্যাম নেই, মানে আমি আপনাকে শর্টকাট দিয়ে সময় বাঁচিয়ে দিলাম। সময়ই তো টাকা। তাই ভাড়াও বেশি।”

ভদ্রলোক একটু চুপ করে থেকে বললেন: “বেশ তো, তবে এভাবে যদি ভাড়া বাড়ান, তাহলে নামার সময় আমারও একটু চালাকি করতে হবে।”

রিকশাওয়ালা অবাক হয়ে বলল: মানে?

ভদ্রলোক বললেন: “মানে, আমি যদি ১৫০ টাকা দেওয়ার কথা ভাবি, তার মধ্যে ৫০ টাকা আপনার শর্টকাটের পুরস্কার হিসেবে কেটে নেব। কারণ আমি তো শর্টকাটে সময় বাঁচিয়েছি।”

রিকশাওয়ালা প্রথমে অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর হেসে ফেলল: “বাহ ভাই! দেখি আপনি-ও চালাকি জানেন।”

অবশেষে ভদ্রলোক তাকে ১০০ টাকা দিলেন, আর রিকশাওয়ালা হাসিমুখে রাজি হয়ে বলল: “আজকের যাত্রী মজার ছিল। আবার কখনো আমার রিকশায় উঠবেন।”

ফার্মগেট পৌঁছে দুজনেই হেসে বিদায় নিল। চারপাশের লোকজনও এ দৃশ্য দেখে হাসি চেপে রাখতে পারল না।

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}