হাসির কিছু মুহূর্ত…[৫]

জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

বুদ্ধিমান রোগী আর বেকুব ডাক্তার

একদিন এক বেকুব ডাক্তার নতুন করে তার চেম্বার খুললেন। নামের আগে বড় বড় ডিগ্রি লিখে পোস্টার লাগালেন “ডাক্তার হুমায়ুন কবির (পিএইচডি, এমবিবিএস, এমডি, বিএসসি, এমএ, ডিপ্লোমা ইন থাইল্যান্ড)”।

চেম্বারের সামনে বড় সাইনবোর্ডে লিখে রাখলেন
“যে রোগ আমি সারাতে পারব না, তাকে ১০০০ টাকা দেব। আর যদি সারিয়ে ফেলি, তবে রোগী আমাকে ৫০০ টাকা দেবে।”

গ্রামে একজন বুদ্ধিমান ভদ্রলোক ছিলেন, নাম জব্বার চাচা। খুবই চালাক আর দুষ্টু ধরণের মানুষ। পোস্টারটা দেখে ভাবলেন
“এই ডাক্তারকে তো ঠকানোই যায়! ১০০০ টাকা ফ্রি খাবো।”

পরদিন সকালে জব্বার চাচা হাজির।

ডাক্তার: কি সমস্যা আপনার?
জব্বার চাচা: ডাক্তার সাহেব, আমার স্মৃতিশক্তি চলে গেছে। কিছুই মনে রাখতে পারি না।

ডাক্তার: ঠিক আছে। এই বোতলে যে ওষুধ আছে, তা নাকের কাছে নিয়ে শুঁকে দেখুন।

জব্বার চাচা শুঁকতেই চিৎকার, “উফ! এটা তো কেরোসিন!”

ডাক্তার (হেসে): দেখলেন তো? স্মৃতিশক্তি ঠিক হয়ে গেছে। এখন চিনে ফেললেন!

জব্বার চাচা হতভম্ব! ৫০০ টাকা গুনে দিলেন।

পরের দিন আবার গেলেন।

ডাক্তার: আজ কি সমস্যা?

জব্বার চাচা: ডাক্তার সাহেব, এবার তো আমার দৃষ্টি শক্তি চলে গেছে। কিছুই দেখতে পাই না।

ডাক্তার ভেবে বললেন, ঠিক আছে। সেই পুরোনো বোতলটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন “এটা আবার শুঁকুন।”

জব্বার চাচা: (শুঁকে) উফ! আবার কেরোসিন!

ডাক্তার (হেসে): চোখও ঠিক হয়ে গেছে।

আবার ৫০০ টাকা গেল।

তৃতীয় দিন জব্বার চাচা রেগেমেগে আবার হাজির।

ডাক্তার: এবার কি সমস্যা?

জব্বার চাচা: ডাক্তার সাহেব, আমি কথা বলতেই পারছি না। গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হয় না।

ডাক্তার এবার বোতল খুঁজলেন। বোতল শেষ। ভেবে এক ব্যাগ টাকা এগিয়ে দিয়ে বললেন “এই নেন আপনার ১০০০ টাকা।”

জব্বার চাচা: (খুশিতে চেঁচিয়ে) ইয়েস্‌! এবার তো পেয়েছি!

ডাক্তার: দেখলেন তো? কথা বলাও ঠিক হয়ে গেছে!

আবার ৫০০ টাকা দিতে হলো।

মোরাল: সব সময় চালাকি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে নিজেই বোকা বানতে হয়! 😜

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}