নতুন ভাইরাসের প্রকোপে লকডাউনের মুখে যেতে পারে বিশ্বের কয়েকটি দেশ।
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️ |
---|
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
সোর্স
HMPV (human metapneumovirus)। ২০২০ এর করনা মহামারীর পর পুনরায় চীন জাপান ভারতের কয়েকটি রাজ্য সহ দেখা মিলছে প্রাণঘাতী ভাইরাস হিউমান মেটানিউমো ভাইরাসের। ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানান দেশে। আজকে আপনাদের মাঝে এই ভাইরাস সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরবো।চলুন....
প্রথমেই বলে রাখি এই ভাইরাস সংক্রামক ভাইরাস। বাংলাদেশের চিকিৎসাবিদগণ বলছেন এই ভাইরাস নিয়ে অতটাও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই কেননা এই ভাইরাস আমাদের দেশে এর আগেও ছিল এখনো আছে। তবে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা যাবে প্রবীণ এবং শিশুদের শরীরের মধ্যে। চিকিৎসাবিদগনের মতে, কিছু কিছু ভাইরাস রয়েছে যেগুলোর ডিরেক্ট কোন ঔষধ নেই তবে কিছু কিছু স্বাস্থ্য বিধি এবং নিয়ম মেনে চললে সে সকল ভাইরাস এবং রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। যেমন আমরা করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলেছিলাম ঠিক সেভাবেই যদি আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেইনটেইন করে চলি তাহলে আশা রাখা যায় আমাদের দেশে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের তেমন কোন প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাবে না।
এই ভাইরাসকে সাধারণত এর আগেও ২০১৩ সালের দিকে লক্ষ্য করে গিয়েছিল। যা পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে এই ভাইরাস আগের থেকে এইবার একটু হলেও বেশি শক্তিশালী। যার ফলে কঠিনভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। এই ভাইরাসের মূল লক্ষ্ন হচ্ছে শ্বাসকষ্টের প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা। যদিও বা কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে এই ভাইরাস অতটাও শক্তিশালী নয় আবার কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে জানা যাচ্ছে চীনের চিকিৎসকগণ বলছেন এই ভাইরাস করণার মতই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তাই আমি মনে করি আমাদের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
⏩তাছাড়াও আমি আপনাদের মাঝে এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরলাম আশা করি আপনাদের উপকারে লাগবে:
- জ্বর,সর্দি,কাশি হওয়া।
- তীব্রমাত্রায় শ্বাসকষ্ট হওয়া।
- নিউমোনিয়া এবং এজমার মত তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
- ঠান্ডা জনিত নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি।
সাধারণত চিকিৎসাবিদগণ এগুলোই এই ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ বলে অবহিত করেছেন।
⏩এই ভাইরাস এর প্রাথমিক চিকিৎসা বা ঘরোয়া চিকিৎসা:
- সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত হাত ধোয়া।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা।
- সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা।
- অপরিষ্কার হাতে নাক এবং মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
- আতঙ্কিত না হয়ে যথাযথ ট্রিটমেন্ট নিলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে রোগী।
সর্বোপরি আমাদের সকলের নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার মধ্য দিয়েই মিলবে এ সকল ভাইরাসের প্রতিকার এবং এ সকল ভাইরাস থেকে বাঁচবে প্রত্যেকেই। সোচ্চার হোন নিজেরাই।
........................................................................
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 12 |
---|---|
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/mdetshahidislam/status/1877681754711925108?t=tkO-g1HWRwMYDjIOgVDQmQ&s=19
ডেইলি টাস্ক প্রুফ
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করেছেন আপনি। এই সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে জানানোর দরকার রয়েছে। অনেকেই সাবধান হতে পারবে। কারণ আমরা করোনা ভাইরাসের মুহূর্তগুলো বেশ কষ্টে পার করেছি এবং ইতিহাসের পাতায় স্মৃতি হয়ে রয়েছে। তাই যে কোন ভাইরাস এর সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন রয়েছে। এতে করে আমাদের জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং অনেক মানুষের দুর্যোগ কম হবে। বিষয়টা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই আমাদের যে কোনো ভাইরাস আক্রমণের পূর্বেই তার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকা উচিত তবেই সেই জিনিসকে প্রতিহত করা যাবে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার মধ্যে অনেক সুন্দর সজাগ দৃষ্টিভঙ্গি। আপনি মারাত্মক এ বিষয়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করে অবগত করেছেন। হয়তো অনেকেই উপকৃত হবে এই পোস্ট পড়ে।
চেষ্টা করেছি সেই সময় সাপেক্ষ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু আপনার মন্তব্য আমাকে এরকম বিষয়গুলি নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করলো, ধন্যবাদ।
ভাই এক করোনা ভাইরাসের আতংক এখনো মানুষের মন থেকে যায় নি। আবার HMPV ভাইরাসের কথা শুনতেছি। আমরা আর লকডাউনে যেতে চাই না। HMPV ভাইরাস সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সাথে আমিও সহমত ভাই কোনভাবেই আমরা আর লকডাউনে যেতে চাই না। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া খুব মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন। নতুন ভাইরাস সম্বন্ধে অনেকের অনেক অনেক কিছু জানা নেই।ভাইরাসের সম্বন্ধে আপনি অনেক কিছু লিখেছেন। যদি ডাক্তার বলে থাকে এটা নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি নিজে মনে করি ডাক্তারি পরামর্শ এবং একটু সচেতন হয় চললে সবার জন্য ভালো হবে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টে দেখে।
এটা অবশ্যই ঠিক যে ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক আমরা চলতে পারলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না আমাদের। আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া বর্তমান সময়ে এই ভাইরাস নিয়ে মানুষ অনেক ভয়ে আছে। এবং এই ভাইরাস সম্বন্ধে সঠিক তথ্য ও অনেকে জানেনা। যেকোনো ভাইরাস আসলে ডাক্তারি পরামর্শ মতে চলা সবার জন্য ভালো। আর সঠিক তথ্য জেনে সঠিকভাবে চালায় উত্তম। ভাইয়া আপনি খুব মূল্যবান একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এই পোস্ট থেকে অনেকে অনেক কিছু জানতে পারবে।
আসলেই আমরা এমন মানুষ যারা খারাপ জিনিস কে নিয়েও তেমন একটা সচেতনতা বোধ করি না যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা আমাদের উপর আক্রমণ না করে। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
করোনা ভাইরাসের কথা মনে পড়লে এখনও শরীর শিউরে উঠে। বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিলো বিশ্ববাসী। যাইহোক হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের কথা বেশ কিছুদিন ধরে শুনছি। সবার উচিত সাবধানে থাকা। যাইহোক এমন সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই একটা সময় করোনার আতঙ্কে পুরো বিশ্ববাসী খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে সময় অতিবাহিত করেছে। আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।