দুধের মাছি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাংলা ব্যাকারণ আমার কখনোই খুব একটা পছন্দের জিনিস ছিল না। শুধু বাংলা না ইংলিশ গ্রামার টাও বেশ বাজে লাগত আমার। তবে বাংলা টা একটু বেশিই ঝামেলা করতো। কিন্তু বাংলা ব্যাকারণের একটা অংশ বাগধারা আমার বেশ পছন্দের ছিল। কেন জানি বাগধারা গুলো আমি একবার দেখলেই মনে রাখতে পারতাম। নবম শ্রেণির কথা হবে সম্ভবত। বাংলা ব্যাকারণ পরীক্ষায় একটা বাগধারা চলে আসে। কিন্তু ঐ বাগধারা টা বইয়ে ছিল না। বাগধারা টা ছিল "দুধের মাছি"। ক্লাসের অন্যরাও বেশ ঝামেলায় পড়ে যে এটা তো পড়া হয়নি। ক্লাসেও স্যার পড়ায়নি। তবে যেহেতু
অপশন ছিল হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। দুধের মাছি বাগধারা টার অর্থ হলো সুসময়ের বন্ধু। ঐদিন থেকেই এটা আমার বেশ পছন্দের একটা বাগধারা।
অনেক ক্ষেত্রেই আমি এটা ব্যবধার করি। এইজন্যই আজকের টাইটেল এটাই। আমাদের জীবনে ভালো খারাপ দুইটা সময়ে আসে যায়। তবে আমরা কেউই খারাপ সময় চাই না। আমরা চাই সবসময় আমাদের সাথে ভালো কিছু হোক। কিন্তু আপনার জীবনে যদি খারাপ সময় না আসে আপনি কখনোই মানুষ চিনতে পারবেন না। অর্থাৎ কোন মানুষ গুলো শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য আপনার পাশে রয়েছে এটা আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না। ভালো সময়ে সবাই ভালো। আপনার সাথে সবার ভালো ব্যবহার করবে। তবে যখন আপনার জীবনে খারাপ সময় আসবে তখন আপনি মানুষ চিনতে পারবেন। এইজন্যই জীবনে খারাপ সময় আসা প্রয়োজন। এতে করে আপনি মানুষ চিনতে পারেন।
যখন আপনার ভালো সময়। আপনার সাথে অন্যদের স্বার্থ জড়িত। অর্থাৎ সুবিধাবাদী লোকগুলো দেখবে আপনার সাথে থাকলে তার লাভ হচ্ছে। তখন সে আপনার সাথেই থাকবে। আপনার কথার সাথে এমনভাবে হ্যা হ্যা করবে আপনি মনে করবেন কত ভালো মানুষ টা। আমাদের সবার জীবনেই এমন মানুষ আসে। কিন্তু সমস্যা হয় পরবর্তীতে। যখন ঐ মানুষ টা দেখবে না আপনার আর আগের অবস্থা নেই। অথবা আপনি আপনার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছেন। ঐ মানুষ গুলো আপনার থেকে আর আগের মতো সুযোগ সুবিধা নিতে পারছে না। তাদের স্বার্থে যখন টান পড়বে। তারা ধীরে ধীরে আপনার পাশ থেকে কেটে পড়বে। অর্থাৎ দুধ ফুরিয়ে গেলে মাছিও আর ভন ভন করবে না।
এই অবস্থা টা আপনি আমাদের চারপাশে খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন। এই ব্যাপার টা বেশ অন্যরকম লাগে আমার কাছে। যদি কোন মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ না থাকে তবে সে কখনোই মানুষের মধ্যে পড়ে না। জীবনে সবসময় স্বার্থ দেখলে হয় না। অনেক সময় বিবেক দিয়েও চিন্তা করা প্রয়োজন। স্বার্থের জন্য তো আমরা সবাই পাগল। কিন্তু সেটা এমন না হোক স্বার্থ ফুরিয়ে গেল এবং আমরা আর তাকে স্মরণই করলাম না। এগুলো নিয়ে আমাদের খুব একটা চিন্তা করাও ঠিক না। ঐ যে বলে না যে থাকার শত বাঁধা শত সমস্যার পরেও সে থেকে যায়। আর যাইহোক সে কোন অজুহাত দেয় না। আপনার জীবনে আবার যখন সুসময় আসবে ঐ মানুষ গুলো আপনার কাছে আবার ফিরে আসবে?? চিন্তা করে রাখুন তখন কী আবার তাদের আপনার জীবনে আসতে দেবেন??
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1933447623501070465?t=jvU7MQYVK6rj8fRYhDSwAg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933447909724598351?t=_Xc4NKlNG6d_Zjqt1YhP6A&s=19
https://x.com/Emon423/status/1933448097944007012?t=sHOsoDZ5KaLiJ4uR3lJjeg&s=19
আপনার লেখাটি খুব ভালো লেগেছে! 'দুধের মাছি' বাগধারাটি বাস্তব জীবনের সাথে মিলিয়ে বুঝতে পারলাম। আমার নিজের অভিজ্ঞতায়ও দেখেছি, যখন ব্যবসায় লোকসান হচ্ছিল, তখন অনেক 'বন্ধু' দূরে সরে গিয়েছিল। আপনি যদি এমন কিছু ব্যক্তিগত উদাহরণ দিতেন, তাহলে পাঠকদের আরও বেশি সংযোগ হতো।
ভাইয়া বর্তমান পৃথিবীতে বেশির ভাগ মানুষই স্বার্থ পর। স্বার্থ না থাকলে এরা সেদিকে আগাবে না এটাই স্বাভাবিক আর এদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা নেই বলেই চলে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
জীবনের খারাপ সময় গুলোতে আমরা মানুষ চিনতে পারি। আসলে মানুষের আসল রূপ তখন প্রকাশ পায়। এসব মানুষদের থেকে দূরে থাকা খুবই দরকার ভাই।