জেনারেল রাইটিং : সততা জ্ঞানের বইয়ের প্রথম অধ্যায়
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ৩০ ই এপ্রিল ২০২৫ ইং
সততা একটি মৌলিক নৈতিক গুণ, যা শুধু ব্যক্তিজীবনেই নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এটি এমন এক গুণ যা মানুষকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং অন্যদের চোখে সম্মানীয় স্থান প্রদান করে। সত্যবাদী লোক কে সকলেই পছন্দ করে থাকেন। সমাজে সত্যবাদী লোকের স্থান সকলের উর্ধ্বে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সত্যবাদী লোকের পরিমাণ খুবই কম। বর্তমান সময়ে সত্যবাদী লোক কে খুব একটা বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে সময়ের পরিবর্তনের কারণে এমনটি হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
প্রাচীনকাল থেকেই সততার গুরুত্ব বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র—পারিবারিক, সামাজিক, শিক্ষাগত কিংবা পেশাগত—সততা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। একজন সৎ ব্যক্তি কখনোই অন্যায়ের সাথে আপস করে না এবং সত্যের পথেই অটল থাকে, যত বাধাই আসুক না কেন।যে ব্যক্তি সব সময় সত্যের সাথে অটল থাকেন, সে ব্যক্তি তার ব্যক্তি জীবনে তত বেশি এগিয়ে যেতে পারেন। এমনকি সত্যবাদী লোকের পিছনে সৃষ্টিকর্তার ও অনেক ভালোবাসা রয়েছে। একজন মানুষ সব সময় সত্যের সাথে অটল থাকতে পারলে তার জীবনে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না।
ছাত্রজীবনে সততার চর্চা ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি তৈরি করে। পরীক্ষায় নকল না করা, দায়িত্বশীল আচরণ, এবং নিজের ভুল স্বীকার করার মতো আচরণ একজন ছাত্রকে সৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। কর্মজীবনেও সততার চাহিদা অপরিসীম। একজন সৎ কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে এবং কখনোই লোভে পড়ে অন্যায় করে না। সততার ধারা টি যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করা যায়, তাহলে এই ধারা জীবনের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে। একজন মানুষ যখন তার পড়াশোনা শেষ করে কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজ করবেন, তখন সে যদি সততার সাথে কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারেন।
তাহলে তাকে সেই অবশ্যই তাকে সম্মান করার চেষ্টা করবে।সৎ মানুষ হয়তো কখনো কখনো তাৎক্ষণিকভাবে লাভবান না ও হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সে সম্মান, আস্থা ও আত্মশান্তি অর্জন করে। সমাজও সৎ মানুষকে গ্রহণ করে হৃদয়ের উষ্ণতায়। যারা সব সময় সত্যের সাথে চলতে থাকে সে ব্যক্তি কে কখনো আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। সততার পুরস্কার পেতে হলে একটু দেরি করতে হয়।আর সততার পুরস্কার গুলো হয় অনেক বেশি দামি।যে গুলো কখনো স্বাভাবিক ভাবে পাওয়া সম্ভব নয়।
জ্ঞান অর্জনের শুরু সততা থেকে। যদি আমরা সত্যকে গ্রহণ করি ও মিথ্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিই, তাহলে আমরা শুধু একজন ভালো মানুষই হব না, বরং একটি সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখব। তাই, জীবনের প্রথম পাঠ হিসেবে সততাকে গ্রহণ করা উচিত—এটাই জ্ঞানের প্রথম অধ্যায়। আমাদের সমাজ গুলোর মধ্যে যারা বড় কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন তারা যদি সব সময় সত্যের সাথে অটল থাকে, তাহলে আমাদের সমাজ গুলো অনেক দূরে এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশের সমাজ গুলো এগিয়ে যাওয়া মানেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাওয়া।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Daily task
Link
https://x.com/Riyadx2P/status/1917485574883270981?t=gGGG4qanKkH0lSZZu3LYew&s=19
Screenshot
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই অধ্যায়ে সততার মৌলিক ধারণাগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে সততা কী এবং এটি কেন আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি খুবই সহজবোধ্য ও চিন্তার খোরাক জোগায়।সততার ব্যবহারিক দিকগুলো বোঝাতে বাস্তব জীবনের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। তবে আরও কিছু ঐতিহাসিক বা সামাজিক উদাহরণ যোগ করলে বিষয়টি আরও সমৃদ্ধ হতো।