সমকামিতা(সমাজের অবক্ষয়)

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজটা যেনো একেবারে গোল্লায় যাচ্ছে। আর আজকে কি নিয়ে লেখালেখি করবো তা আশা করি টাইটেল দেখে আপনারা বুঝতে পারছেন। কারণ আমাদের বর্তমান সমাজে ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার হলো সমকামিতা। যেটা আসলে আমাদের সমাজকে একটা সময় ধ্বংস করে দিতে পারে।

প্রতিটি ধর্মে কিন্তু বর্ণিত রয়েছে যে, সৃষ্টিকর্তা পুরুষ সৃষ্টি করেছেন নারীর জন্য এবং নারীদের সৃষ্টি করেছেন পুরুষদের জন্য। পুরুষের জন্য যেমন পুরুষ সৃষ্টি করেননি। ঠিক তেমনটাই, নারীর জন্য নারীর সৃষ্টি করেননি। আর এতে যদি আমি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা আনতে যাই। তাহলে সাইন্টিফিকালিও সমকামিতা একটা অবক্ষয়।

আসলে এই সমকামিতা টি আমাদের মানুষের সমাজের মধ্যে অনেক বেশি চলে আসার মূল একটা কারণ হলো, আমাদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার অভাবের কারণে। কারণ, প্রতিটি ধর্মেই কিন্তু এটা বর্ণিত আছে যে এটা অন্যায়। একেবারে প্রতিটি ধর্মে এটা ক্ষতি সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু আমরা বর্তমানে কেউই ধর্মীয় বিষয়গুলো চর্চার দিকে একেবারেই মনোযোগ দেই না। বিশেষ করে, বর্তমান জেনারেশন এর বাবা-মায়েরা তো একেবারেই দেখেনা সন্তানেরা কি শিখছে। তারা শুধুমাত্র কি করে পড়াশোনা করে অনেক বড়লোক হওয়া যায়, সেদিকে চিন্তা করে। কিন্তু একটা মানুষের ধর্মীয় জ্ঞান থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন।

মূলত আমরা যখন থেকেই এই প্রয়োজন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছি। তখন থেকেই এই সমকামীতা ব্যাপারটি পৃথিবীতে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। আর আরো একটি ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, পৃথিবীর যতো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান ই ব্যাপারটিকে প্রমোট করছে। তাই আমি বলবো যে, আমাদের সকলেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমকামিতাটাকে বর্জন করা উচিত এবং যেই মানুষগুলো এসবের সাথে জড়িত। তাদেরকে খুব ভালোভাবে বুঝানো উচিত যে, এই ব্যাপারটি কতোটা খারাপ আমাদের নিজেদের জীবনের জন্য, আমাদের নিজেদের সমাজের জন্য। আর এদের এখন ই না রুখলে সমাজে আসতে চলেছে ভয়ংকর বিপদ।যে ইতিমধ্যে অনেকটাই দেখা দিচ্ছে।