নৈমিত্তিক ব্যাপার!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এবারে ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম ৪ তারিখে। ৫ তারিখ থেকে ছুটি শুরু হয়েছিল। সত্যি বলতে ঈদের মধ্যে বাড়ি গিয়ে আমি সেরকম কোন কাজ করি না। এই দশ দিনের পোস্ট আমি আগে থেকেই রেডি করে রেখেছিলাম। কারণ বাড়ি গিয়ে ঐরকম সময় করে উঠা ঠিক হয় না। যাওয়ার পথে সেরকম জ্যামে পড়িনি আমি। কারণ ততক্ষণে অধিকাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। মোটামুটি রাত দেড়টার দিকে বাড়ি চলে যায়। বাড়ি গিয়ে দেখি ইলেকট্রিসিটি নেই। ব্যাপার টা আমার কাছে একেবারে নতুন লাগে। কারণ আমি যেখানে থাকি সেখানে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকে। এইজন্যই এটা আমি ঐভাবে নিতে পারিনি। পরেরদিন আর বাড়ি থেকে সেরকম কোথাও যায় হয়নি সকালের দিকে।
ঘুম থেকে উঠে এলাকার বন্ধুদের সাথে দেখা করেই চলে গিয়েছিলাম শরিফ ভাইয়ের দোকানে। ওখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা মেরে বাড়িতে ফিরি। বাকিটা সময় বাড়িতেই ছিলাম। বিকেলের দিকে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমার সাথে আমার এলাকার এক ছোটভাই সাবিত ছিল। আমার গন্তব্য কোথায় সেটা জানা ছিল। হ্যা চলে গেলাম আমার সেই চিরচেনা পছন্দের জায়গাই। কুমারখালী এম এন স্কুলের সামনে গড়াই নদীর পাড়ে। জায়গাটাই গিয়ে বসলে যেন আমার সব বেদনা সব বিষাদ সব দুঃখ কষ্ট কমে যেতে শুরু করে। নতুন একটা উন্মাদনা উপভোগ করি ভেতর থেকে। যথারীতি একটা কফি নিয়ে খাওয়া শুরু করি। এবং বিকেলের ঐ সুন্দর পরিবেশ টা আমি উপভোগ করছিলাম। আবার অনেক দিন পরে ফিরে গিয়ে বেশ দারুণ লাগছিল।
তক্ষণাৎ মনে হয় এমন একটা অবস্থান ইস যদি পুরোপুরিভাবে নিজের শহরে থেকে যেতে পারতাম। হ্যা সম্ভব কিন্তু সেটা এখন না। এর জন্য আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। আমার কাছে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর জায়গা আমাদের কুষ্টিয়া। এখানকার মানুষের জন্য প্রাণশক্তিতে ভরপুর। দেড় ঘন্টা মতো ঐখানেই ছিলাম। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরে চলে যায় অন্যদিকে আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে। ঐটাও ঘোরার মতো জায়গা। তবে ওখানে কম যাওয়া হয় আমার। ওখানে গিয়ে দেখি ইকরা এবং রাসেল একসঙ্গে রয়েছে। ওদের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল আড়াই মাস আগে গত ঈদে। আবার দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছিল। সবমিলিয়ে তখন আমরা প্রায় ৫-৬ জন হয়ে গেলাম।
বেশ কয়েকজন বন্ধু একসঙ্গে হলে কী হয় সেটা তো আপনাদের জানাই আছে নিশ্চয়ই। শুরু হলো আড্ডা। নানান বিষয় নিয়ে কথাবার্তা চলল আমাদের মাঝে। কথাবার্তা যখন শেষ হলো তখন প্রায় ৯ টা। আর দেরি করিনি। কারণ আমার কিছু কেনাকাটা করার দরকার ছিল। আর বেশি দেরি করলে হয়তো কেনাকাটা করা হয়েই উঠবে না। চলে গেলাম কুমারখালী বাজারের মধ্যে। আমি একটা দোকান থেকেই কেনাকাটা করি। ওদের সাথে আমার সম্পর্ক টা অনেক দিনের। আমার বেশ ভালো পরিচিত। যথারীতি বেশ ভীড় ছিল এবং তার উপর ছিল গরম। এইজন্যই একটা বাজে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কেনাকাটা করতে আমার কখনোই বেশি সময় লাগে না। তারপরও সব যখন শেষ হলো ঘড়িতে তখন দশটার বেশি বেজে গেছে। প্রথম দিনটা যে কীভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারিনি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1934535639644647838?t=0BljeaGsNWW937MK-WycHQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.