বাবা ছাড়া বাবার বাড়ি
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
আজ খুবই কষ্টের একটি দিন। যদিও অনেক আনন্দের দিনটি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু না, কারণ আমি এখন বাবার বাড়িতে।আর বাবার বাড়িতে মা, ভাই বোন সহ সকলেই আছে শুধু বাবা ছাড়া😭😭।এই কষ্ট কি সহ্য করা যায়? প্রতিবার যখন বাসায় আসতাম বাবা কত খুশি হত দেখে।শরীর ভালো যখন ছিল তখন নিজে গিয়ে আমাদেরকে বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়ে আসতেন।লাস্ট দুই বার শরীর বেশি খারাপ ছিল তাই আর যেতে পারেনি আমাদেরকে আনতে। কিন্তু আমরা যখন আসতাম তার চোখে মুখে যে আনন্দ ছিল তা দেখলেই প্রাণটা জুড়িয়ে যেত। কিন্তু আজ সেই হাসিমাখা মুখ খানি নেই।সব কিছুই রয়েছে কিন্তু তারপরও শূন্য মনে হয় সবকিছু।
সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছে বাবার বয়সী লোকজন যারা আমাদের এলাকায় রয়েছেন তাদেরকে দেখে।তাদের সাথে বেশ ভালো একটি সম্পর্ক ছিল বাবার, তারা বেশ ভালোই রয়েছেন।ঘরের প্রতিটি জায়গায় শুধু রয়েছে বাবার স্মৃতি।ঘরে ঢুকে মাকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পরি।মায়ের কান্নাও থামছিল না।কি আর করা, এটিই দুনিয়ার নিয়ম।ধীরে ধীরে এই পৃথিবী থেকে সকলেই বিদায় নিব কিন্তু এই বাস্তব সত্য মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর।যাইহোক দেখতে দেখতে একটি সপ্তাহ চলে গিয়েছে।সিলেটে কাটিয়েছি একটি সপ্তাহ, আর পাঁচটি সপ্তাহ রয়েছে।আমাদের এখানে ১০-১২ দিনের মত থাকব।থেকে চলে যাব দাদুবাড়ি, এরপর নানু বাড়ি। দাদু বাড়ি গেলেও শুধু রয়েছে বাবার স্মৃতি।ইংল্যান্ড থেকে যাওয়ার পর যতবার দাদু বাড়ি গিয়েছি ততবার বাবাকে সাথে নিয়ে গিয়েছি।এবার যার বাড়ি যাবো সেই বাড়ির মালিক আমাদের সাথে নেই, শুধু রয়েছে স্মৃতি আর স্মৃতি।
যাইহোক দাদু বাড়ি ও নানু বাড়ি সহ আত্মীয়-স্বজনের সকলের সাথে দেখা করে চলে যাব ঢাকা।ঢাকায় দুই বোনের বাসায় কিছুদিন বেরিয়ে, কিছু শপিং শেষ করে চলে যাব কক্সবাজার।এরপর কক্সবাজার ২-৩ দিন ঘোরাফেরা করে আবার ঢাকায় এসে চলে যাব সিলেটে। বাকি সময়টুকু সিলেটে কাটিয়ে ইংল্যান্ডে চলে যাব।সিলেটেও বেশ কিছু জায়গায় প্ল্যান রয়েছে ঘোরাফেরা করার।বাচ্চারাও খুব ইনজয় করছে বাংলাদেশে এসে।সবসময় তো তারা ঘরের মধ্যে বন্দি থাকে।এখন মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করছে।যাইহোক বাবা থাকলে বাবাকে নিয়ে আজ সব জায়গায় ঘুরতে যেতাম।কি আর করা এখন শুধু মাকে নিয়ে প্ল্যান করেছি সব জায়গায় ঘুরতে যাব।আর কবে আসব তা আর ঠিক নেই।ইতি মধ্যেই বাবা সহ অনেক আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়ে ফেলেছি। এভাবেই একে একে সবাই চলে যাব একদিন দুদিনের এই দুনিয়া থেকে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

@tangera, আসসালামুআলাইকুম।
আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বাবার স্মৃতিচারণ করে লেখা আপনার আবেগঘন অনুভূতিগুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। বাবার প্রতি আপনার ভালোবাসা এবং তাকে হারানোর কষ্ট প্রতিটি লাইনে অনুভব করা যায়। বিশেষ করে বাবার হাসিমাখা মুখের কথাগুলো মনে করিয়ে দেয়, যা সত্যিই বেদনাদায়ক।
তবে আপনার পরিবারের প্রতি যে দায়িত্ববোধ দেখিয়েছেন, সেটি প্রশংসার যোগ্য। এই কঠিন সময়েও মা এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের সাথে সময় কাটানোর যে পরিকল্পনা করেছেন, তা নিঃসন্দেহে তাদের জন্য আনন্দের হবে। আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনাগুলোও বেশ গোছানো মনে হচ্ছে। আশা করি, এই ভ্রমণ আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য কিছুটা হলেও শান্তি বয়ে আনবে।
আপনার লেখাটি এতটাই বাস্তব যে, যে কেউ নিজেকে সংযোগ করতে পারবে। এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ। আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই চোখে পানি চলে এসেছে। আসলে বাবা ছাড়া বাবার বাড়ি সত্যিই অসম্পূর্ণ। তিনি যদি অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়েও থাকেন তবুও শান্তি পাওয়া যেত। আসলে মানুষ যে কিভাবে জীবন থেকে হারিয়ে যায় এটা ভাবতেও খারাপ লাগে।
আসলে বাবা ছাড়া বাবার বাড়ি একদম শূন্য শূন্য লাগে। আপনার লেখাগুলো পড়ে বেশ খারাপ লাগলো আমার কাছে। আসলে বাবা এমন একজন মানুষ যাকে চাই পৃথিবীটা একদম অসহায় লাগে। আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আপু।
এই লেখাটি পড়ে খুব আবেগ নাড়িয়ে দিয়েছে। বাবা হারানোর ব্যথা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, কিন্তু আপনি খুব সুন্দরভাবে তা ফুটিয়ে তুলেছেন।আপনার লেখায় বাবার প্রতি ভালোবাসা স্পষ্ট। তাঁর আত্মা যেন শান্তি পায়, আর আপনি যেন এই স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখার শক্তি পান—সেই কামনা করি।
প্রত্যেকটা সন্তানের কাছেই মা-বাবা হল এক নরম আবেগের জায়গা। কিন্তু অনেক সন্তান মা বাবার মূল্য বোঝেনা। তবে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। বাবার সাথে কাটানো স্মৃতিগুলো আপনার বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে। তাই কষ্ট পাচ্ছেন। সেটা সত্যিই বেদনাদায়ক। নামাজে বসে আপনার বাবার জন্য দোয়া করুন। প্রার্থনা করি আপনার বাবা যেন জান্নাতুল ফেরদৌসে সমাসীন হন, আমিন।
লেখাগুলো পড়ে আমার চোখ ছলছল করে উঠলো আপু।আমার বাবার কথা মনে পরে গেলো।আমিও আপনার মতো বাবার বয়সী সব বাবাদের দিকে তাকিয়ে থাকি।তখনই কষ্টটা আরো বেশী লাগে। এই অনুভূতি গুলো লিখে বুঝানোর মতো নয়।দোয়া করি আপনার আম্মাকে আল্লাহ আপনাদেরকে ছায়া দিয়ে রাখতে নেক হায়াত দান করুন, আমিন।