ঘরে তৈরি চিকেন উইংসের এক অনন্য অভিজ্ঞতা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
প্রতিদিনের জীবনে আমরা অনেক সময় সন্ধ্যার পরে কিছু মুখরোচক খাবারের খোঁজ করি। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে যখন পরিবারের সঙ্গে একটু রিলাক্স করার মুহূর্ত আসে, তখন টেবিলে যদি থাকে কিছু স্পেশাল স্ন্যাকস তাহলে আনন্দ যেন আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। আমাদের বাড়িতেও প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে কিছু না কিছু তৈরি হয়। গতকাল সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল আমার জীবনের প্রথম চিকেন উইংস।
এটি সত্যিই আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ, আমি আগে কখনো চিকেন উইংস খাইনি। আর এই প্রথমবার যখন ঘরেই তৈরি হলো, তখন মনের ভেতর কৌতূহল ছিল, আসলেই কেমন স্বাদ হবে? রেস্টুরেন্টের মতো কি হবে, নাকি একেবারে আলাদা?
চিকেন উইংসের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়েছিল ঘরে বানানো টমেটো সস, সঙ্গে স্লাইস করা শসা আর এক টুকরো লেবু। এই কম্বিনেশনটা অসাধারণ ছিল। টমেটো সসের টক-ঝাল স্বাদ, শসার ফ্রেশ ফ্লেভার আর লেবুর হালকা টক, সব মিলে এক কথায় জমে গিয়েছিল।
প্রথম কামড়েই বুঝলাম, ঘরে বানানো জিনিসের আলাদা একটা মজা আছে। বাইরের রেস্টুরেন্টের মতো নিখুঁত না হলেও নিজের হাতে বানানো বা পরিবারের কারো বানানো খাবারের মধ্যে যে পরিমাণ ভালোবাসা আর যত্ন থাকে, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। চিকেন উইংসগুলো বাইরের দিকে ছিল ক্রিসপি, কিন্তু ভেতরের দিকে চিকেন কিছুটা কম সিদ্ধ ছিল। আবার কনফ্লাওয়ারও কিছুটা কম দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে রঙ আর ক্রিসপিনেসে সামান্য ঘাটতি ছিল।
যদি রেটিং দিতে হয়, আমি ১০ এর মধ্যে ৭.৫ দেব। কেন? কারণ স্বাদ ভালো ছিল, কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল ঘাটতি ছিল যেগুলো ঠিক হলে রেস্টুরেন্টকেও টেক্কা দিতে পারত।
একটা কথা আমি সবসময় মানি আমি ব্যক্তিগতভাবে রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে পছন্দ করি না। কারণ, বাইরের খাবারে যতই স্বাদ থাকুক না কেন, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি আর নিরাপত্তা নিয়ে আমার মনে সবসময় সন্দেহ থেকে যায়। তাছাড়া অতিরিক্ত তেল-মশলা, প্রিজারভেটিভ এসব তো আছেই। তাই ঘরে বসে নিজের মতো করে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রান্না করা খাবারের মজা আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি।
গতকালকের চিকেন উইংসও তার ব্যতিক্রম ছিল না। রেস্টুরেন্টে হয়তো আরও সুন্দর প্রেজেন্টেশন, বেশি ক্রিসপি ফিনিশিং পেতাম, কিন্তু তবুও ঘরে বানানো খাবারের যে স্বাদ এবং মানসিক প্রশান্তি, সেটি অমূল্য।
এই প্রথমবার তৈরি হওয়ায় কিছু ভুল হওয়া স্বাভাবিক। পরেরবার হয়তো কনফ্লাওয়ারের পরিমাণ বাড়ানো হবে, মেরিনেশনের সময় আরও বেশি রাখা হবে, আর চিকেন যেন ভেতর পর্যন্ত ভালোভাবে সেদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। আমি মনে করি, প্রতিটি কুকিং এক্সপেরিয়েন্সই শেখার সুযোগ তৈরি করে।
ঘরে তৈরি চিকেন উইংস আমার জন্য শুধু একটা খাবার ছিল না, বরং একটা অনুভূতি, একটা নতুন অভিজ্ঞতা। পরিবারের সঙ্গে বসে যখন সবাই মিলে হাসি-আনন্দের মধ্যে এই খাবার উপভোগ করি, তখন বুঝি, রেস্টুরেন্টের ফ্যান্সি ডিশের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ আছে ঘরে তৈরি খাবারে।
তাই আমার পরামর্শ আপনারাও চেষ্টা করুন। ঘরে বসে পরিবারের সঙ্গে এই ধরনের সহজ রেসিপি তৈরি করুন। দেখবেন, খাবারের স্বাদ যেমন ভালো লাগবে, তার চেয়েও বেশি ভালো লাগবে একসঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো। যা কখনো ভুলবার নয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1945446116469957065?t=eYjp8fPMhWAKH-oRwWovAA&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1945323626963853567?t=PfXzYKbCkbDtbPs36xOg5A&s=19