Incredible India monthly contest of April by @sampabiswas | Ways to stay healthy in hot weather!

আজকে কমিউনিটিতে কো-এডমিন কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হাজির হয়েছি,

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমি আহ্বান জানাতে চাই @rubina203, @baizid123 এবং @piya3 দের।

কারণ, উষ্ণ আবহাওয়া অঞ্চলে বসবাস করলেই বোধহয় নির্বাচিত বিষয়টি সম্পর্কে যথাযত উপলব্ধি তুলে ধরা সম্ভব বলে আমার ধারণা।

ঝলসে যাওয়া তাপমাত্রার মধ্যে প্রাত্যহিক যাদের কাজে বাইরে বেরোতে হয়, সেরকম পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা আমারও খানিক রয়েছে, সেগুলো থেকে সঞ্চিত সম্ভার নিয়ে আজকে নিজের উপস্থিতি।

• অতিরিক্ত তাপ সান স্ট্রোকের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়, কাজেই,
  যদি সম্ভব হয় তাহলে বেলা বৃদ্ধির পূর্বে কাজ সেরে ঘরে ফিরে আসার প্রয়াস করা উচিত।

• যারা নিরুপায়, তাদের ক্ষেত্রে জলের বোতল, ছাতা, ইলেকট্রোল এর পাতা সহ রোদ প্রতিরোধক চশমা ব্যাগে রাখবেন।

• বাইরে বেরোবার আগে ত্বকে সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

ছাতা এবং রোদ প্রতিরোধক চশমার পাশাপশি এই সময় সুতির বস্ত্র পরিধান করবেন।
চেষ্টা করবেন হালকা রং বেছে নিতে, কারণ গাঢ় রং সূর্যের আলো অধিক আকর্ষণ করে।

যাদের খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয় তাদের ক্ষেত্রে এই সময় টুপি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত।

এক নাগাড়ে রোদ্দুরে দাঁড়াবেন না! আশেপাশে গাছ থাকলে তার ছাওয়া বেছে নেবেন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য।

• রোদ্দুর থেকে ঘরে ঢুকেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সামনে অথবা পাখার নিচে যাবেন না!
  শরীরকে স্বাভাবিক হতে দিতে হবে অন্ততপক্ষে মিনিট পাঁচেক!

• বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজের জল পান করবেন না।

• বাইরের ঘামে ভেজা পোশাক তৎক্ষণাৎ পরিবর্তন করে ফেলবেন।
  বাইরে থেকে ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে স্নান করবেন না!

জেনে রাখুন:-
শরীরে তাপমাত্রা প্রবেশের পর সেটা স্বাভাবিক হতে তিরিশ মিনিট সময় প্রয়োজন, অর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি ধরুন শরীরচর্চা করে, এক্ ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে ঘরে ফিরেছেন, জানবেন তারপর থেকে আরো তিরিশ মিনিট শরীর থেকে ক্যালোরি একই ভাবে নির্গত হতে থাকে।

যেমন, কোনো চলমান যানবাহন থেকে নামতে গিয়ে শরীর গতি প্রাপ্তির কারণে এগিয়ে যায় এমনিতেই ঠিক তেমনি।

প্রথমত:-
অকারণে, কখনোই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শিশুদের বাইরে সঙ্গে নিয়ে বেরোনো উচিত নয়।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এমনিতেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে আর ঠিক সেই কারণে ঋতুর এই পরিবর্তন এর প্রভাব শিশুদের বিশেষ করে যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে তাদের উপর অধিক প্রভাব ফেলে।

দ্বিতীয়তঃ
পরিধানের দিকে নজর দেওয়া। হালকা সুতির পোশাক সহ খাদ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত।
বাইরের খাবার নয়, বয়স অনুযায়ী ঘরোয়া হালকা খাবার এই সময় শিশুদের জন্য উৎকৃষ্ট।

তৃতীয়তঃ
তরল পদার্থের সাথে মৌসুমী ফল শিশু থেকে বড়ো সকলের জন্য এই সময়ে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আমার বাবা ছোটো থেকেই একটা কথা বলতেন, সেটা হলো জিভের জন্য যে খাবার সুস্বাদু নয়, সেটি স্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য।

তাই এই গরমে, নিম বেগুন, উচ্ছে, ডাব, সহ নানান রকমের গরমের সবজি সহ ফল খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

বিশেষ করে পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন খাবার দৈনন্দিন তালিকায় থাকা উচিত।
মানবজাতি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বৃক্ষ ছেদন করে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখেনি বটে, তবে প্রকৃতি তার নিয়ম মেনে মানবজাতির সুস্বাস্থ্যের কথা আজও ভেবে চলেছে।

অর্থাৎ যে মরশুমে যে সকল শাক সবজি, ফল প্রকৃতিতে পাওয়া যায় সবটাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আমার সবসময়ের প্রিয় খাদ্য তালিকার শীর্ষে থাকে ফল।
সব ধরনের ফল আমার পছন্দের তালিকাভুক্ত।

আমার কোনো কালেই খাবার নিয়ে নাক উঁচু ছিল না, তাই বাঙালি রান্নাঘরের সব খাবার আমার পছন্দসই।
বিশেষ করে জ্যান্ত মাছের ঝোল।

এছাড়া অন্যান্য রাজ্যের খাবার পছন্দ করি, যার মধ্যে গুজরাটের চিলা, মহারাষ্ট্রের ডালিয়ার খিচুড়ি, চিড়ের পোলাও, দক্ষিণ ভারতের ধোসা ইত্যাদি সামিল।

তালিকা দীর্ঘ তবে দুটি জিনিষ আমি অধিক পরিমাণে এই গরমে পান করি।
একটি বিহারের মত করে তৈরি ছাতুর সরবত।
আরেকটি টক দই দিয়ে তৈরি লস্যি।

আহ্! প্রশান্তি। এই গরমে স্বাস্থ্যকর তথা সুস্বাদু।
আপনারা কি খেতে পছন্দ করেন জানার অপেক্ষায় রইলাম।