প্রকৃতির কাছে যে বড় অসহায়!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সকলেই কতো রকমের কতো ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকি বিভিন্ন দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য, তার কোনো হিসেব নেই। কারণ এক একটা দুর্যোগ মানে এক একটা দুর্গের মতোন। যাকে আসলে ভেদ করা, যাকে দমানো মানুষের পক্ষে অনেক বেশি কঠিন হয়ে পরে। এটা একটি নির্মম বাস্তবতা। অর্থাৎ আমরা আসলে যতো যা কিছুই করি না কেনো। আমরা প্রকৃতির কাছে একেবারে যেনো চুনোপুঁটি। আমাদের কাছে যেমন পিঁপড়া কোনো কিছুই না। ঠিক তেমনটাই প্রকৃতির কাছেও আমরা আসলে ওই পিঁপড়ের সমান। কিন্তু এটা আমরা বুঝতে পারি না, বুঝতে চাই না।
আমরা সব সময় চাই যে প্রকৃতিকে আমরা কন্ট্রোল করবো। প্রকৃতির উপরে আমরা আমাদের মর্জি মতো করবো। কিন্তু এটা কখনো হয় না। প্রকৃতির সাথে জোর খাটানো যেমন যায় না ঠিক তেমনটাই প্রকৃতির উপরে নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়াও যায় না। কারণ প্রকৃতি এতোটাই ভয়ঙ্কর এবং স্বেচ্ছাচার যে, তাকে তার মতো থাকতে দিলে, তাতেই মানুষের মঙ্গল।
প্রকৃতি কিন্তু অহেতুক মানুষকে বিরক্ত করে না, বিপর্যয়ে ফেলে না। এমনকি প্রকৃতির বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য, প্রকৃতিতে প্রকৃতি নিজেই অনেক রকমের উপায় হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যখন প্রকৃতির ওই উপায়গুলোকেই ধ্বংস করা শুরু করি। তখন প্রকৃতির ওই দুর্যোগকে দমানোর মতোন কোনো শক্তি আর কারো থাকে না। আমরা যেদিন এটা বুঝতে পারবো যে প্রকৃতির কাছে আমরা অনেক বড় অসহায়। প্রকৃতির সামনে দাঁড়াতে গেলে আমরা কিছুই নয়,ব্যাপারটি আমরা উপলব্ধি করতে পারবো।
যেদিন আমরা এ ব্যাপারটি অনুযায়ী আমাদের সমাজকে, আমাদের দেশকে চালাতে পারবো। সেদিন হয়তো আমাদের পৃথিবীতে কিছুটা হলেও শান্তি নেমে আসতে পারে। কারন আমরা একটি অসম প্রতিযোগিতায় নেমে গিয়েছি। যে প্রতিযোগিতা প্রকৃতির সাথে মানুষের, যেটা সব সময় অসম্ভ ছিলো, তা-ই থাকবে বরং প্রকৃতি আমাদের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে। তাই প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায় এটা আমাদের মেনে নিয়ে। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতোন করে বেঁচে থাকতে দেওয়া আমাদের উচিত।