আত্মসম্মান
পানির দরে বিকিয়ে দিতে পারি সব
সোনার দামেও আত্মসম্মান না,
যদিও কাটফাটা রোদে তামাম দিন দাড়িয়ে থাকতে হয়
যদিও ক্ষুধায় পেট করে খা খা।
আমি বাড়িয়া উঠিয়াছি এক সম্মানি শিক্ষকের ঘরে
যেথায় প্রত্যাহ সালাম ঠুকিতে দেখিয়াছি হাজার,
পিতা মাতাকে সদা ভক্তি করিয়াছি
ঘরকে ভাবিয়াছি মসজিদ, মন্দির, মাজার।
তিনবেলা মাংস ভাত নয়
খাইয়াছি শাক, ডাল
দামি পোশাক চোখে দেখিনি
অমৃত ভাবিয়াছি মোটা চাল।
আলিশান ভাবে বাঁচতে শিখিনি
শিখিয়াছি সম্মানের সাথে বাঁচতে,
শত কষ্টে থেকেও শিখিয়াছি
আত্মসম্মান ধরে রাখতে।
.
তোমার কথা তুমি বলিয়াছ
শুনিয়াছি মুখ বুজে,
সম্মানিত তুমি, সম্মান নিয়ে বাঁচ
আমার পথ ঠিক নিবো খুঁজে।
ভাবিয়াছি তোমায় পথ নির্দেশক
যে ভুল হলে শিখিয়ে দেয়,
ভুল সে ভাবনা তুমি তেমন না
না বুঝিয়া কার্যকারণ অপমানে চোখের পানি ঝরায়।
দিয়াছ কাজের মালিকানা
দাওনি সে কাজের অধিকার,
বুঝিয়া ভুল সিন্ধান্ত নিয়াছি
কথার হাতুড়ি দিয়া ভেঙ্গে করেছ চুরমার।