প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী ভেবে কাজ করি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো এবং সুস্থ আছি। আজ আমি কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেই সাথে কিছু নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি আপনাদের এই কথাগুলো ভালো লাগবে। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আমরা সবাই জীবিকা নির্বাহের জন্য কোন না কোন কাজ করে থাকি। কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, কেউ আবার চাকরি করেন। কিন্তু প্রত্যেকটা জায়গায় একটি অলিখিত প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাব সৃষ্টি হয়ে ওঠে আমাদের। যেটা আসলে আমাদের জাতিগত হিসেবে আমাদেরকে অনেকটাই পিছিয়ে রেখেছে। আমাদের বাঙ্গালীদের মনোভাব এমন আমরা সব সময় একে অপরকে টপকে দিয়ে উপরে উঠতে চাই। কিন্তু কখনোই একে অপরকে সহযোগী ভেবে কাজ করতে পারি না। আমি সবার কথা বলছি না কিছু লোকের কথা বলছি যারা এই ধরনের কাজ করে। এ ধরনের পলিটিক্সের শিকার আমি তখন হয়েছিলাম যখন আমি একটি টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরী করেছিলাম।
পৃথিবীর বুকে যত জাতি রয়েছে যেগুলো বর্তমানে আমরা উন্নত জাতি হিসেবে চিনে থাকি, তাদের মধ্যে এই বিষয়টি অনেকটাই কমন লক্ষ্য করা গেছে। তারা একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরঞ্চ তারা একে অপরকে সহযোগী হিসেবে কাজ করে। সেসব জায়গায় টিমওয়ার্ক অনেকটা বেশি হয়। যেটা বর্তমানে বাংলাদেশে খুব একটা বেশি দেখতে পাওয়া যায় না। একটি মানুষ যখন একটু ভালো কাজ করে তখন তার পিছে লাগার জন্য হাজারটা মানুষ পড়ে যায়। যার কারণে সেই মানুষ চাইলেও খুব বেশি উন্নতি করতে পারে না। কিন্তু সবাই মিলে যদি টিম ওয়ার্ক করা যায় তাহলে আমরা সবাই জিতে যাই।
জাতিগতভাবে যারা রাশিয়ায় বসবাস করে তারা অনেকটাই উন্নত একটি বিষয় জেনে আমি অনেকটা অবাক হয়েছি। রাশিয়াতে প্রায় ৭০% মানুষের বাসায় একটি ব্যক্তিগত লাইব্রেরী রয়েছে। তারা পড়াশোনা করতে অনেকটা বেশি ভালোবাসে। আপনি রাশিয়ার যে কোন জায়গায় যান, যে কোন ট্রেন কিংবা বাসে ভ্রমণ করেন। দেখবেন প্রত্যেকের হাতেই বই রয়েছে আর যারা মোবাইল টিপছে তারা একটু কাছে গিয়ে দেখলেই বুঝা যাবে তার মোবাইলের মধ্যে কোন না কোন বইয়ের পিডিএফ নিয়ে পড়ছে।
তারা যখন আড্ডা দেয় তাদের আড্ডা টপিক থাকে তারা যেগুলো বই পড়েছে কার কাছে কোনটা বেশি ভালো লেগেছে। সেই বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। কিন্তু অপর প্রান্তে আমাদের অবস্থা দেখুন! আমরা বই পড়া আস্তে আস্তে ভুলেই যাচ্ছি। কারণ সেই বিষয়টা আমাদের ভালো লাগে না আমাদের ভালো লাগে শুধুমাত্র তার পিছনে লাগলে কার ক্ষতি করা যাবে। এই বিষয়ে কথাগুলো একটু খারাপ লাগলেও এটাই একদম বাস্তববাদী কথা।
তাই নতুন একটি জাতি গড়ার লক্ষ্যে পরিবর্তনটা নিজের থেকেই শুরু হোক। নিজে থেকেই আমরা একে অপরকে সহযোগী ভেবে কাজ করা শুরু করি। তাহলে হয়তো কোন এক সময় এসে আমাদের এই বাঙালি জাতীয় পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে, এই বিষয়টা আমি ব্যক্তিগতভাবেই বিশ্বাস করি। তাই আসুন আজ থেকে আমরা একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরঞ্চ সহযোগী ভেবে কাজ করি এবং আমাদের জীবন পরিবর্তন করি। আজকের মত এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী ভেবে কাজ করি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......