সখের হেলমেট পরিষ্কার করে নিলাম নিজেই।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ শুক্রবার। তবে আমার অফিস খোলা আজ। খুবই ব্যস্ততায় দিন কেটেছে কয়েকটা দিন। স্টিমিটে আসতেই পারিনি কোনো ভাবে। আজ চাপ নাই কিছুটা। পোস্ট করার ও অনেক সময় পেয়েছি। আজ সুযোগ পেয়ে আমার হেলমেট এর ভাইজর খুলে পরিষ্কার করেছিলাম। সেটাই শেয়ার করবো আজ।
বরাবরই আমি আমার পছন্দের জিনিশ গুলোর প্রতি খুব যত্নশীল। আর সেটা যদি হয় সখের জিনিশ তাহলে তো কথাই নেই। যত্ন যেনো আরো বেড়ে যায়। তেমনি আমার এই হেলমেট। অনেক সখ করেই কিনেছিলাম হেলমেটটি। এতই সখ যে আমি বাইক নেওয়ার আগেই অফিস থেকে হেলমেট নিয়ে রেখেছিলাম। এই কয়দিন ভালোই ব্যবহার করা হয়েছিলো। আর বাংলাদেশের রাস্তায় যা ধুলা বালি। আমি প্রতিদিনই ভাইজর আর উপরের অংশ মুছে ফেলতাম একটা কাপড় দিয়ে। তবে কিছু যায়গা আছে সেখানে কাপড় পৌছানো মুশকিল। তাই ভাবলাম যে এবার ভাইজর টা খুলে একটু পরিষ্কার করে নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভাইজর কিভাবে খোলে এটা আমার একদমই জানা নেই। কি করা যায় ভাবতে ভাবতে ইউটিউব এ সার্চ মারলাম। অনেক গুলো ভিডিও দেখা হলো এই নিয়ে। সব বুঝলাম। কিন্তু আমার হেলমেট এর ভাইজর এর লকটা ছিলো একটু শক্ত। আর এক আঙ্গুল দিয়ে খুব ভালো প্রেশার এ টানতেও পারছিলাম না। ব্যাথা করছিলো। বেশি চাপ ও দিচ্ছিলাম না যদি লক ভেংগে যায় তখন আবার আরেক ভেজাল। যাই হোক অনেক কষ্টের পর এই সাইড খুলে আসলো। এবার অন্য সাইড ও খুললাম কষ্ট করে। দেখি কোনা গুলো তে ভালোই ধুলো ময়লা জমেছে। যেদিকে এতো দিন কাপড় পৌঁছাতে পারিনি।
ভাইজর খুলার পর প্রথমেই বাতাস মারতে নিয়ে গেলাম টেকনিশিয়ান দের বে এর কাছে। প্রথমেই উচ্চচাপে বাতাস মেরে আলগা যে ধুলা গুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর প্যাডিং এর ভিতরে বাতাস মেরে ভিতরের ধুলা গুলো ও পরিষ্কার করে নিলাম। এবার ভাইজর এর কোণা গুলো ভালো ভাবে বাতাস মেরে পরিষ্কার করে নিলাম। বেশ এবার গ্লাস ক্লিনার দিয়ে মুছে নেওয়ার পালা। তাই করলাম। প্রথমেই ভাইজর ক্লিন করলাম খুব ভালো ভাবে। একটু পাতলা কাপড় নিয়েছিলাম। সেটাতে গ্লাস ক্লিনার ছিটিয়ে খুব ভালো করে ভাইজর পরিষ্কার করে নিলাম। ভালোই ক্লিন হয়েছে দেখলাম। এবার ভাইজর একটা ভালো যায়গায় রেখে হেলমেট এ হাত দিলাম। আবার গ্লাস ক্লিনার নিয়ে হেলমেট পরিষ্কার করা শুরু করলাম। একবার মুছতেই দেখি কি সুন্দর চক চক করছিলো আমার সখের হেলমেটটা। দেখতেও বেশ দারুন লাগছিলো। যেটা আপনারা ছবি দেখেই বুঝতে পেরেছেন আশা করি। আসলে নিজের সখের জিনিশ গুলো হাতে ধরে পরিষ্কার করতে ভালোই লাগে। আমি হয়তো অতটা ভালো পরিষ্কার করতে পারিনি। তবে আমার সেরা টা দিয়ে পরিষ্কার করেছি।
পরিষ্কার করার পর সুন্দর ভাবে কিছুক্ষন রেখে দেই। এরপর শুকনো একটা কাপড় দিয়ে আবার মুছে নেই। এরপর আবার ভাইজরটা লাগিয়ে ফেলি। সত্যি দারুন লাগছিলো। আর ক্লিন করাও বেশ সোজা লাগলো। শুধু ভাইজরটা খুলতেই একটু প্যারা খেতে হয়েছিলো। এখন একদম চক চক করছে। খুবই সুন্দর মানিয়েছেও। এইতো হয়ে গেলো আমার হেলমেট পরিষ্কার করার কাজ। সব মিলিয়ে ২০ মিনিট এর মতন লেগেছে। চিন্তা করতেছি কিছু দিন পর পর এমন ক্লিন করবো। তাইলে সুন্দর থাকবে হেলমেটটা। তো আজ এ পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে আমার ব্লগ। মন্তব্য করতে ভুলবেন না।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কথায় আছে ভাই নিজের কাজ নিজে করা ভালো। আর নিজের কাজ নিজে করলে সে কাজে যত্ন ও ভক্তি থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট কিন্তু আপনি শেয়ার করেছেন। যেখানে অন্যান্য মানুষের জন্য বেশ উপকার হবে নিজের কাজের প্রতি ভক্তি বাড়ানোর জন্য।
জ্বি ভাই৷ আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজের কাজ গুলো নিজেই করার৷