"সারাদিনের ব্যস্ততা"
নমস্কার
সারাদিনের ব্যস্ততা:
কয়েকটি দিন ধরে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে।কারন হচ্ছে স্কলারশিপ,আসলে আমাদের hod ম্যামের সিগনেচার করানো রয়েছে এক সপ্তাহ হতে চললো।তাই নিজে থেকেই আর তোড়জোড় করা হয় না ওটার জন্য।যদিও ভেবেছিলাম সোমবার যাবো কিন্তু বান্ধবীদের চক্করে পড়ে যাওয়া হলো না।কি আর করা ক্লাসের সকলের জমা করা হয়ে গেছে, হাতে গনা আমরা কয়জন বাকি রয়েছি।গতদিন hod ম্যাম আসেননি তাই সিগনেচার নিতে পারিনি আমার বান্ধবীরা।আজ কোনো ক্লাস হচ্ছে না দেখে বের হলাম,ঝিল পাড়ে অনেকটা সময় অতিবাহিত করলাম তিনজনে।এরপর আমরা নিউ বিল্ডিং এর উদ্দেশ্যে বের হওয়ার জন্য পা বেরিয়ে গ্রূপে দেখলাম একজন ম্যাম ক্লাস নিচ্ছেন।অনেকটা লেট করেও আসেনি দেখে আমরা চলে গেলাম।
আমাদের ইউনিভার্সিটির মধ্যে এমন একটি মন্দিরের মাথায় বট বৃক্ষ জন্ম নিয়েছে সঙ্গে তেঁতুল গাছ।এতটা ভুতুড়ে দেখতে লাগছিলো কি বলবো,আমাদের ইউনিভার্সিটি প্রচুর পরিমানে বড় বড় গাছ রয়েছে।যেগুলো হয়তো আমাদের জন্মের অনেক আগের,বিরাট বড় বড় গুঁড়িসম্পন্ন।যাইহোক এরপর আমরা হেঁটে হেঁটেই নিউ বিল্ডিং পৌঁছে গেলাম কারন রাস্তার কাজ চলছিল মাঝেই।নিউ বিল্ডিং পৌঁছে নাম,ফোন নাম্বার ও কোন সময় ইত্যাদি লিখে ভিতরে চলে গেলাম।প্রথমে আমাদের নিচতলায় একজন সিগনেচার করে দিয়ে দোতলায় ও পাঁচতলায় পাঠিয়ে দিলেন।তারপর দোতলায় নদুলস অফিসারের কাছ থেকে সিগনেচার নিয়ে সোজা পাঁচতলায় গেলাম লিফটে করে।
সেখানে গেলেই একজন ম্যাম বললেন কাগজ জমা দিয়ে যেতে অর্থাৎ 1.30 টার পর ছাড়া হবে না।তো আমরা কাগজ জমা দিয়ে নিচতলায় এসে গুগল স্ক্যান করে নিয়ে একটি ফর্মফিলাপ করে নিয়ে সাবমিট করে নিলাম।যেটা বেশ সময়সাপেক্ষ ছিল,যেহেতু দুপুর হয়ে গিয়েছিল তাই আমরা একটি দোকান থেকে পরোটা ও ঘুঘনি খেয়ে নিলাম তিনজনে।তবে এটার ছবি তোলা হয়নি।যাইহোক এরপর আবারো ফিরে এসে জমা দেওয়া কাগজটি নিয়ে আসলাম। আসলে ওই গুগল ফর্ম সাবমিট করলে একটি করে টোকেন নাম্বার দেওয়া হয়েছিল যেটা সিগনেচার করা পেপারের উপর লিখে দিতে হবে।তাই লিখে দিলাম তারপর বাকি ডকুমেন্ট পরপর সাজিয়ে জমা দিয়ে দিলাম।এরপর আবারো আমরা দুই থেকে তিন জায়গায় সিগনেচার করে কাজ সম্পন্ন করলাম।কিন্তু এর মধ্যে একজনের টোকেন নাম্বার ভুল হয়েছিল সেটা নিয়েই বেশ কিছুটা সময় পার হয়ে গিয়েছিল।যাইহোক তারপর ওরা চায়ের দোকানে ঢুকলো,আমাকেও অবশ্য ডেকেছিল।কিন্তু ট্রেন ধরার ব্যস্ততায় আমি টোটো ধরে নিলাম।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
টুইটার লিংক
টাস্ক প্রুফ:
বেশি ব্যস্ততম মুহূর্তের কথা আমাদের মাঝে উল্লেখ করেছেন আপনি। কখন মানুষের কোন ব্যস্ততার মধ্যে চলতে হয় তারা নেই ঠিক। তবে সব কিছুর মাঝে সাবধানতার সাথে চলতে হবে। আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ পেলাম। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি দেখেও বেশ ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ব্যস্ততার কোনো নির্দিষ্ট সময় হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে।