হঠাৎ জন্মদিনের খুশি ,স্মৃতিতে সাইফ বাবুর জন্ম দিনের গল্প।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে " হঠাৎ জন্মদিনের খুশি ,স্মৃতিতে সাইফ বাবুর জন্ম দিনের গল্প শেয়ার করবো "।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

নানুবাড়ির দিনগুলো সবসময়ই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ব্যস্ত শহর জীবনের বাইরে এসে আপনজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর মধ্যে যে নির্ভেজাল আনন্দ থাকে, তার কোনো তুলনা হয় না। আমি এখন নানুবাড়িতে আছি। খালা, মামা, নানু, নানি সবাই মিলে চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটাচ্ছি। গল্প, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া আর ছোটদের চঞ্চলতা ,সব মিলিয়ে প্রতিটি দিন যেন এক একটা রঙিন স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন এক বিকেলের সময় আমরা সবাই যখন নিজেদের মতো করে ব্যস্ত। তখন হঠাৎ করেই আমার মেজো খালা মনির মনে পড়ে গেল, আজ আমাদের সবার প্রিয় সাইফ বাবুর জন্মদিন। সাইফ বাবু আমার মেজো খালার ছেলে।আমরা সবাই অবাক হলেও, তার চেয়েও বেশি খুশি হয়ে উঠলাম। এই হঠাৎ মনে পড়ার মধ্যেই যেন আরও একটি নতুন আনন্দের উপলক্ষ এসে গেল আমাদের মাঝে। কোনো বিলম্ব না করে ছোট মামাকে পাঠানো হলো কেক আনতে। মামা ছুটে গেলেন বদরগঞ্জের বিখ্যাত মামুন ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারি থেকে কেক নিয়ে আসতে। খুব দ্রুতই তিনি ফিরে এলেন একটি সুন্দর লাল-সবুজ কেক নিয়ে, যার গায়ে স্পষ্ট করে লেখা ছিল “শুভ জন্মদিন সাইফ বাবু ১৩/০৬/২০২৫”।

সন্ধ্যা তখন আসন্ন। আমরা সবাই মিলে একটি ছোট্ট টেবিলে কেকটি রাখলাম। চারপাশে ছোট ছোট বাচ্চারা জড়ো হয়ে গেল। মাঝখানে দাঁড়াল জন্মদিনের ছোট্ট নায়ক, সাইফ বাবু। সবাই তাকিয়ে আছে তার দিকে, কেউ উচ্ছ্বসিত, কেউ হাসছে, কেউ আবার চকলেট আর ক্রিমের দিকে নজর রাখছে। সাইফ বাবুর হাতে তুলে দেওয়া হলো কেক কাটার ছুরি। পাশে থাকা ভাই-বোনেরা তাকে সাহায্য করল। মুহূর্তটি যেন নিখাদ আনন্দে ভরা। ওদের চঞ্চলতা, নিষ্পাপ হাসি, খুশির শব্দ আমাদের বড়দের মনটা কেও শিশুর মতো করে তুলল। আমরা একটু দূরে দাঁড়িয়ে ওদের আনন্দ দেখছিলাম। সত্যি বলতে, ওদের মধ্যে এমন এক ভালোবাসার উচ্ছ্বাস ছিল, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ছোটদের এই আনন্দ যেন আমাদের শৈশবের দিনগুলোকে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিল।

সাইফ বাবুর জন্য এই দিনে আমাদের হৃদয় ভরে উঠেছে দোয়া আর শুভকামনায়। আজ তার জীবনের আরেকটি নতুন বছর শুরু হলো। আমরা চাই, সে যেন বড় হয়ে একজন সৎ, জ্ঞানী, বিনয়ী এবং মানবিক মানুষ হয়। তার শৈশব হোক এক রঙিন বাগানের মতো, যেখানে থাকবে আনন্দ, খেলা, জ্ঞান আর ভালোবাসার ছায়া। সে যেন জীবনে যা চায়, তা সাহসের সঙ্গে অর্জন করতে পারে। শিক্ষা, চরিত্র, সততা আর ভালোবাসা হোক তার জীবনের মূল ভিত। তার পায়ে পায়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ হোক আলোয় ভরা। আমরা বড়রা সবসময় তার পাশে থাকবো, তাকে আশীর্বাদ করে যাবো। তার ছোট ছোট পায়ে যে পথচলা শুরু হয়েছে, সেই পথ যেন একদিন তাকে তার স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যায়। শুভ জন্মদিন সাইফ বাবু, তুমি আকাশ ছুঁয়ে ফেলো, কিন্তু মাটিকে কখনো ভুলে যেও না।

প্রতিটি ফটোগ্রাফি গুলোতেও ধরা পড়েছে কালকের দিনের আনন্দঘন মুহূর্ত। ছোট ছোট মুখে লেগে থাকা হাসি, কেকের চারপাশে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুরা, আর সেই মধ্যমণি সাইফ বাবুর নিষ্পাপ দৃষ্টি।সব মিলিয়ে একটি অপূর্ব স্মৃতি। কখনো কখনো পরিকল্পনার চেয়েও হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া ছোট্ট আয়োজন গুলোই হয়ে ওঠে জীবনের সবচেয়ে বড় ও মধুর আনন্দ। সাইফ বাবুর জন্মদিনও তেমনই এক আনন্দময় অধ্যায় হয়ে থাকবে আমাদের মনে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।