হ্যাপি বার্থডে টিনটিন।
টিনটিন। আমাদের দাদা বৌদির একমাত্র সন্তান সুপ্রতিম, দাদা বৌদির আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যাকে ঘিরে ছিল আমাদের গতকালের ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি স্মরণ করতে চাই এক বছর আগের সেই দিনটির কথা। আমরা যখন প্রথম জানতে পেরেছিলাম ২৬ শে সেপ্টেম্বর টিনটিনের জন্মদিন তখন থেকেই টিনটিন কে খুশি করার জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল। দেশ ভিন্ন, আর কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় আমরা চাইলেও মনের মতো করে কিছু করতে পারিনি গতবার। আমি এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারি আরিফ ভাই, শুভ ভাই, হাফিজ ভাই আর আমি অত্যান্ত এক্সাইটেড ছিলাম। কিন্তু শেষমেশ আমাদের মনের মতো করে আমাদের ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারিনি। হাফিজ ভাই একটি পোস্ট ও করেছিলো । টিনটিনের জন্মদিন উৎসবের এই আনন্দটা আমি কিভাবে প্রকাশ করি। গত বছর ২৬শে সেপ্টেম্বর রাতে যখন আমরা স্পেশাল হাংআউট এর আয়োজন করেছিলাম তখন ডিস্কর্ডে হ্যাপি বার্থডে টিনটিন উইশের রেইনড্রপ দেখতে পেয়েছিলাম। দৃশ্যের পুনরাবৃতি কাল যখন দেখলাম আমার মধ্যে একটা ভিন্ন রকম ভালোলাগা কাজ করছিল। ভাবছিলাম জীবনকালের প্রতিটি বছরেই যেন এই দিনটি বার বার ফিরে আসে আমাদের সকলের মাঝে। দাদার পরিবারের আনন্দের প্রত্যেকটি মুহূর্ত যেন বাংলা ব্লগের আঙিনায় উৎসবের জোয়ার এনে দেয়। গতকাল দাদা অনেক ব্যস্ত ছিলেন। আমাদের সাথে তেমন কথাই বলতে পারেননি। তীব্র প্রতীক্ষায় ছিলাম দাদা কখন একটু আমাদের সাথে কথা বলবে। তবে দাদা যখন মাঝে মাঝে ফটো শেয়ার করছিল ওই মোমেন্ট গুলো খুব এনজয় করছিলাম। যাইহোক, গতকাল স্পেশাল হ্যাংআউটে আমাদের এডমিনদের পক্ষ থেকে কেক কেটেছি আমরা। কেক কেটেছি সবাইকে সাথে নিয়ে। দাদার ওখানে গিয়ে কেক কাটা তো আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না তবে আমরা বাংলাদেশের চার এডমিন যদি এক শহরে থাকতাম তাহলে একসাথে কেক কাটতাম অন্তত। কাল সকাল থেকেই আমরা চারজন খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। দুপুরবেলা প্ল্যান করলাম আমরা চারজন এডমিনের পক্ষ থেকে একটি কেক কাটবো যেটা ভার্চুয়ালি সবার সাথে শেয়ার করব। দুপুরবেলায় আমার পছন্দের মিঠাই বেকারিতে গিয়ে প্রথমেই খুজছিলাম আগের দিন পছন্দ করে রেখে যাওয়া লাল রংয়ের একটা কেক। বেকারিতে যাওয়ার পর অবশ্য আগের দিনের ওই কেকটা পাইনি। তবে অন্য একটি কেক নিয়েছি যেটা আগের দিনের ওই কেকটা থেকেও বেশি ভালো লাগছিল আমার। এরপর ওই কেকটা নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম। প্লান ছিল কেক কেটে ভিডিও ধারণ করব, আর সেটা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করব হ্যাংআউট মুহূর্তে। প্ল্যান মতই ফিজিক্যালি কেক কেটে ভার্চুয়ালি সবার সাথে শেয়ার করেছি যেটা আপনারা সবাই দেখেছেন। কেক কাটলাম আপনাদের সাথে নিয়ে, কিন্তু আপনাদেরকে কেক না খাওয়ালে কি চলে ?? আর এজন্যই এডমিন দের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রত্যেককেই ওয়ান পিস অফ কেক বিতরণ করা হয়েছে। সত্যিই ভীষণ মজা লাগছিল মুহূর্তটায়। আপনারা যারা ভার্চুয়ালি কেক পেয়েছেন তারা কিন্তু ওইটা দিয়ে কেক খেয়ে নিবেন। আর সবাই টিনটিনের জন্য মন খুলে দোয়া করবেন। কালকের হ্যাংআউট জুড়ে পুরোটা সময়ই অনেক আনন্দের সাথে কাটিয়েছি। হ্যাংআউট যখন শেষ হয়ে গেল তখন ভাবছিলাম আগামী বছরেও এই দিনটায় যেন আমরা সবাই একসাথে মিলিত হয়ে এরকম বা এর চেয়েও অনেক বেশি জমজমাট ভাবে এই দিনটি উদযাপন করতে পারি । টিনটিনের জন্য দোয়া করি টিনটিন বেড়ে উঠুক ওর বাবার আদর্শ বুকে ধারন করে। সুখে কাটুক ওর প্রতিটি দিন। VOTE @bangla.witness as witness
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলের কাছে অতি আদরের একটি নাম। ২০১৮ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর দাদা বৌদির ঘর আলো করে এসেছিল এই পৃথিবীতে আমাদের টিনটিন বাবু। গতকাল ছিল সেপ্টেম্বর ২৬ তারিখ। তাইতো বাংলা ব্লগ পরিবারের মাঝে কাল উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করেছিল।
কষ্ট যেন ওকে কখনই স্পর্শ করতে না পারে।
টিনটিন বেড়ে উঠুক একজন সৎ মানুষ হিসেবে, একজন পরোপকারী বন্ধু হিসেবে।
হ্যাপি বার্থডে টিনটিন।
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

গত কালকে আপনি এত সুন্দর কেক কেটেছেন সেটা তো বুঝতে পারি নাই। যদি আগে জানতাম তাহলে তো এক টুকরো খাওয়ার জন্য চলে যেতাম হা হা হা। গত কালকে অনেক মজা হয়েছে ভাইয়া। সবাই অনেক আনন্দ করেছে। গত কালকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি জুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Hello friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
প্রথমেই টিনটিন বাবুর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এই দিনটি টিনটিন বাবুর জীবনে বারবার ফিরে আসুক এই দোয়া করি। আসলে আপনার এডমিনরা অনেক এক্সাইটেড ছিলেন। আপনারা যদি একই শহরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার একসাথে থাকেন। তারপরেও এই কেক কাটার ভিডিও আমাদের সাথে শেয়ার করার কারণে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ একসাথে দেখতে পেয়েছি এবং এক পিস করে আমাদের দিয়েছেন হাহাহা তবে এক পিস পাইনি আমি হাহা মজা করলাম। অনেক ভালোই লেগেছে ভাইয়া।
কাল আমরা সবাই খুব এক্সাইটেড ছিলাম।আর স্পেশাল হ্যাংআউট টা আসলেই অনেক স্পেশাল হয়েছিল।আমি তো টিউশন ছুটি দিয়ে হ্যাংআউটের অপেক্ষা করছিলাম।আপনাদের ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আয়োজন করা ও আমাদের সবাইকে তাতে শামিল করার জন্য।
সত্যি ভাই দারুণ কিছু মুহুর্ত উপভোগ করলাম গতকাল, সবাই মিলে যেন একটা পারিবারিক উৎসব করলাম। আসলেই আমার বাংলা ব্লগের এই মুহুর্তগুলো আমাদের জীবনে সেরা কিছু মুহুর্ত হয়ে থাকবে চিরকাল। ভালোবাসা থাকুক হৃদয় জুড়ে, স্বপ্নগুলো উড়ুক ডানা মেলে, টিনটিন তুমি থাকো সকলের সেরা হয়ে।
ঠিক বলেছেন ভাই। স্মৃতিতে রয়ে যাবে দিনগুলি।
দাদা গত কালকের হ্যাং আউটে আসলেই আমরা খুব মজা করলাম। টিন টিন সোনার জম্মদিনে আমরা গান, কবিতা আর কৌতুক শুনলাম। সেই আনন্দ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে আমরা আবার ভার্চুয়ালি কেক ও কাটলাম। আসলেই সব মিলিয়ে প্রোগ্রামটি অনেক ভাল লেগেছে আমার।
দাদা এই কেক বাবু খুবই পছন্দ করে। বাবু এই
কেক দেখেই আবদার করে আবার কেক কাটতে চাইছিলো। আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছি যে এত দূরে থেকেও এতটা সুন্দরভাবে বাবুর বার্থডে পালন করেছেন দেখে।আপনাদের সবার এত এত ভালোবাসা পেয়ে আমরা গর্বিত।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা
আমাদের সার্থকতা এখানেই। যুগে যুগে আমাদের পরিবারের এই বন্ধন অটুট থাকুক। 💝
কালকে দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করলাম। মনে হল যেন আমরা সরাসরি ওখানে উপস্থিত ছিলাম। সত্যিই দারুণ উপভোগ্য ছিল কালকে সন্ধ্যাটি।
সত্যি ভাই অনেক মজা করে কাটিয়েছি কালকে।
হবে না ভাইয়া,আমি আপনার এখান থেকে সত্যি সত্যি এক পিছ কেক চাই 😜😜।একা একা তো খেলেন দেখিয়েন পেটে কিছু হলে আমরা দায়ী নয়। হা হা।যাই হোক আসলেই গতকাল বেশ ভালোই মজা হয়েছে। বারবার এমন দিন ফিরে আসুক এই প্রত্যাশা করি।ধন্যবাদ