কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানোর মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৪ শে মে, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। প্রতিদিন নিত্যনতুন বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে অনেক ভালো লাগে। এখনতো কালবৈশাখীর সময়। তীব্র গরমে মানুষ যখন অতিষ্ঠ হয়ে যায় ঠিক তখনই জোরে ছুটে আসে কালবৈশাখীর হাওয়া। তখন যে কি ভালো লাগে বলে বোঝানোর বাহিরে। সবথেকে ভালো লাগে যখন কালবৈশাখী ঝড়ে আম পড়তে থাকে সবার সাথে আমগুলো কুড়াতে। ছোটবেলায় আম কুড়ি আনার মজা আমাদের সকলের স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। সেদিন হঠাৎ ঝরে সবার সাথে আম কুড়াতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্ত আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করব।
অনেকদিন পর সেদিন বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেসে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে বাড়িতে যাওয়া এটা হল আনন্দের অন্যতম কারণ। বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই সময় পেলেই বাড়িতে চলে যায়। এখন কালবৈশাখীর সময়। যখন তখন ঝড়ে দেখা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক। একদিন বাড়ি গিয়েছে এত মজা করতে পারবো আমি সেটা ভাবি নি। যেদিন রাতে সবাই মিলে ভুট্টা পুড়িয়ে খেয়েছিলাম এটা সেদিনের কথা।
সারাদিন ছিল তীব্র গরমের অসহ্য যন্ত্রণা। আবহাওয়াটা কেমন ঠান্ডা হয়ে গেল। আকাশে মেঘ জমে গেল। দেখতে দেখতে তীব্র বেগে হাওয়া ছুটে এলো। এইতো এসে গেছে কালবৈশাখী। তীব্র গরমের শেষে যখন কালবৈশাখী আসে তখন যেন শান্তিরা শেষ থাকে না। কালবৈশাখী হল এই তীব্র গরমের মধ্যে ঈশ্বরের দেওয়া অনন্য উপহার। তবে এর অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কালবৈশাখীর মধ্যে আম কুড়ানোর মজাটা সব থেকে বেশি স্মৃতিময়। ছোটবেলায় যখন কালবৈশাখী হতো সবাই মিলে আম কুড়ানোর স্মৃতিগুলো এখনো ভীষণভাবে মনে পড়ে।
সে যাই হোক, ঝড় আসতেই আমি ঘর থেকে বেরোলাম আম কুড়াতে যাব বলে। সেদিনই মামার ছেলেরা এসেছিল। তারপর আমি আমার বোন, মামার ছেলে, দিদা মিলে বেরিয়ে পোলা আম কুড়ানোর উদ্দেশ্যে। আমাদের আম গাছ নেই। নেই বললে ভুল হবে আছে হাতেগোনা এক থেকে দুইটা। আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম দিদাদের আম গাছে আম কুড়োতে। আমরা সবাই মিলে তো আমগুলোতে গিয়ে ভীষণ মজা পেলাম। আমি খুব একটা বেশি আমি পেয়েছিলাম না তবে আমার বোনেরা পেয়েছিল। আম খাওয়ার থেকে বেশি কুড়াতে বেশি মজা লাগে।
আমি আমকম পেলেও বোন এবং মামার ছেলে আম কুড়াতে দেখে কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। তাদের মত এই সময়টা আমরাও পার করে এসেছি। সে সময় আম কড়ানোর মতো সুখের আর কোন কিছুই ছিল না। সেসব স্মৃতি আজ মনের কোনে উকি দেয়। কিন্তু সেথায় যাওয়ার উপায় নাই। বেশ কিছুক্ষণ পরে একটু বৃষ্টি হলো। বৃষ্টির সময় আমরা সবাই ঘরে চলে আসলাম। খুব একটা বেশি বৃষ্টি হয়েছিল না। তবে ওই ঝড়েই সবকিছু ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। টা দারুন লাগছিল। সবাই মিলে বেশ অনেকটা আম পেয়েছিলাম। সেগুলো ছবি তুলে রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে আর তোলা হয়নি।
এরকম সুখের স্মৃতি জমাতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘুরে আসি স্মৃতির পাতা থেকে। সে যেন স্বর্গীয় সুখ। হারিয়ে যাওয়া সেই স্মৃতিগুলো ফিরে না পেলেও সে সুখগুলো মনের কোণে বারবার উঁকি দেয়। এই সুন্দর স্মৃতি গুলো সারা জীবন যেন থেকে যায়।
সবাই মিলে আম কুড়ানোর চমৎকার মুহূর্ত আপনাদের কেমন লেগেছে জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার লেখাটা পড়ে যেন হঠাৎ করে হারিয়ে গেলাম নিজের শৈশবে। কালবৈশাখীর ঝড়, গরমের পর শান্তির হাওয়া, আর আম কুড়ানোর সে আনন্দ সবকিছু যেন মনকে ছুঁয়ে গেল। এই সময়টাতে গ্রামের সেই দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। সত্যিই, এমন মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনের আসল রত্ন। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তোমার সুন্দর লেখাগুলো পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আম কুড়ানোর মুহূর্ত অনেক সুন্দরভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছো পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো ভীষণ মনে পড়ে। কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে আম কুড়াতে গেলে মা-বাবা অনেক রাগ করত তারপরও যখন অনেকগুলো আম কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসতাম তখন আর কিছু বলত না। শৈশবের সেই স্মৃতিময় মুহূর্ত ভীষণ মনে পড়ে স্মৃতির পাতায় গেঁথে রয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1926701969789342114?t=hjjf5kMayX2Nv5hkF_YnNA&s=19