অনেকদিন পর লালনের মাজারে কিছু সময়।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৭ ই এপ্রিল ,বৃহস্পতিবার,২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজ হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগেও আপনাদের সাথে লালন শাহের মাজার সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছি। বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত। বাউল সম্রাট লালন শাহের কবরস্থান কে কেন্দ্র করে এই মাজার তৈরি করা হয়। বর্তমানে এই মাজারে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর দেখা পাওয়া যায়। আমি আমার বন্ধু মিলেও সেদিন সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এর আগেও অবশ্য অনেকবার এখানে যাওয়া হয়েছে। তবে জায়গাটা বেশ ভালো লাগে। সেখানে গিয়ে কি কি করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
অনেকদিন পর বাড়ি থেকে এসে রুমের মধ্যে একদম ভালো লাগছিল না। তাই ভাবছিলাম একটু বাইরে যাব। আমার মেস থেকে লালনের মাজার খুব বেশি দূরে নয়। রিকশায় গেলে ৩০ টাকা ভাড়া লাগে আর অটোতে গেলে একটু এগিয়ে গেলেই দশ টাকায় চলে যাওয়া যায়। আর লালন শাহের মাজারে মেলা ব্যতীত অন্য সময় বেশ ফাঁকা এবং ভালো পরিবেশ থাকে। কিছুক্ষণের জন্য খোলা মাঠে একটু হাঁটা যায়। সেখানকার ফুচকা এবং ঝালমুড়ি আমার খুব পছন্দ। সেজন্যই যাওয়া হয়।
আমার বন্ধুকে বলি চল একটু ঘুরতে যাই। সেও রাজি হয়ে যায়। তারপর দুপুর তিনটা নাগাত আমরা লালন শাহের মাজারে গিয়েছিলাম। একটু তাড়াতাড়ি গিয়েছিলাম যাতে তাড়াতাড়ি আমরা সেখান থেকে চলে আসতে পারি। সেখানে গিয়ে আমরা প্রথমে গেট দিয়ে মাজারের মধ্যে প্রবেশ করি। সেদিন খুব বেশি মানুষ ছিল না। বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল জায়গাটা। অন্য সময় দেখা যায় এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। সেদিন দর্শনার্থী ছিল কিন্তু খুব একটা ভিড় ছিল না। আমরা হাঁটতে হাঁটতে লালন শাহের মাজারের কাছে প্রবেশ করি। সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করিনি। আমি নিজেও কিছু ছবি তুলে নি।
তারপর আমার চোখ পড়ে একটি জামরুল গাছের দিকে। জামরুল গাছের পাতার ফাঁকা দিয়ে সূর্যের আলো দেখতে দারুণ লাগছিল। আমিও সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিলাম। তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে অডিটোরিয়ামের দিকে গেলাম। সেদিন লোক না থাকার কারণে খুব একটা ভালো লাগছিল না। লালনে গিয়ে শুধু হাটাহাটি করা ছাড়া কিছুই করার নেই। তবে জায়গাটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে দুই সাইড দিয়ে সবুজ গাছগুলো দেখতে বেশি সুন্দর লাগে।
তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে মাজারে সামনে চলে যায়। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম। আর সেখানে এসে অনেকেই মাজারের মধ্যে প্রবেশ করে কিছু একটা করছিল। সেগুলো দেখতে থাকে। এভাবে চারিদিক দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে থাকি। জায়গাটা অনেক পরিচিত। আগে অনেকবার আসা হয়েছে। সেজন্যই বেশি ভালো লাগে। তারপর আমরা অডিটরিয়ামের দিকে যাই। অডিটোরিয়ামের দিকে যেতে দেখি বেশ কিছু লোক সেখানে গান বাজনা করছে। এরামুলত লালন শাহের সাধক। আমি তো এটাই জানি। তারার লালন শাহের গাওয়া বিভিন্ন ধরনের গান আমাদেরকে গেয়ে শোনাছিল। আমরা বলতে সেখানে অনেক জন দর্শনার্থী ভিড় করেছিল তাদের গান শোনার জন্য।
তাদের গান শোনা শেষ করে আমরা হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকে চলে যায়। লালনের মাজারের এই বড়মাঠটা দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। এই মাঠে বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের খাবার দাবার। এই মাঠ থেকে অনেক কিছুই খাওয়া হয়েছে তবে আমার সব থেকে বেশি পছন্দ ফুচকা এবং ঝাল মুড়ি। প্রথমে আমরা মাঠের চারপাশটা একটু হাঁটাহা্টি করলাম। অনেকদিন পর বাইরে বের হয়ে বেশ ভালো লাগছিল। তারপর আমরা ঝাল মুড়ির দোকানে গেলাম সেখান থেকে দুজন দুটি ঝালমুড়ি অর্ডার করলাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঝাল মুড়ি খেলাম আর গল্প করলাম। তারপর আমরা সেখান থেকে উঠে আবার একটু হাটাহাটি করলাম।
সেদিন মূলত লালনে গিয়েছিলাম হাটাঁহাটিঁ করার জন্য। হাটাহাটি করতে অনেক ভালো লাগছিল। তারপর আমার বন্ধু বললো ফুচকা খাবি নাকি? আমিও সঙ্গে সঙ্গে রাজি। ফুচকা হলে আর কি চাই?তারপর আমরা ফুচকার দোকানে চলে যায় সেখান থেকে এক প্লেট ফুচকা অর্ডার করে। আমার বন্ধু খুব একটা ফুচকা খেতে পছন্দ করেনা। তারপর আমি ফুচকা খেয়ে সেখান থেকে উঠি। তারপর আমরা আরেকটু হাটাহাটি করি। প্রায় সন্ধ্যে লাগার আগ মুহূর্তে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেই। মাঝে মাঝে এরকম হাটাঁহাটিঁ করতে বের হলে বেশ ভালো লাগে। সবমিলিয়ে অনেকদিন পর বেশ ভালো লাগছিল।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আজকে আপনি লালনের বাজার থেকে ধারণ করা ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। অনেকদিন পর লালনের মাজার দেখতে পারলাম। অনেকদিন আগে সেখানে গিয়েছিলাম।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912920062698405949?t=1k4ZqOTODuny8Yp-yKttMQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912920819308904805?t=u3huOkZn5BhmVsFIOtSJkQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912921333270483257?t=V-tx3sRQrjCzkPhweKpN4w&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912921780840513898?t=LR1m7_5C4aXnt12EvcD2jg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912922171288289494?t=xK46N_ScSngPYkZOpmAJxA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912922912719515975?t=5M2_pBR6G0VPv_MGY0S8eA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912923423678119945?t=Ar0Qpljr7FP0vNja5wsLnQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912923852210151486?t=M0WBG2NwS2oOV8ADaYnGAw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912924335460999307?t=4rbK3GxmzDYkiRCGy5FJBQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1912924835958935831?t=TQqvK5VKBrPZiePoYtWDfA&s=19
এরকম বন্ধু বা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। সবার ভাগ্যে তো আর জোটে না। লালন সাঁইজির মাজারে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছ জেনে ভালো লাগলো। আসলেই ফুচকা হলে আর কিছুই চায় না শুধু ফুচকা চাই। খুব হাসি পাচ্ছে।