মাটি আর শ্রমের এক সরল জীবন

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একজন কুমোরে জীবন কাহিনি নিয়ে তো বন্ধুরা চলুন শুরু করি,

ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।


pottery-7773694_1280.jpg

source

এরা হলো কুমোর, মানে যারা মাটি দিয়ে জিনিসপত্র বানায়। ওদের জীবনটা দেখলে মনে হয় যেন সবটাই খুব সাদামাটা, কিন্তু কাজটা আসলে ভীষণ কঠিন। ভোর না হতেই এদের দিন শুরু হয়ে যায়। প্রথম কাজ হলো মাটি জোগাড় করা—নদীর ধারে বা পুকুর পাড় থেকে। সেই মাটি কাঁধে করে নিয়ে আসা, তারপর সেটা ছেঁকে, জল দিয়ে মেখে নরম মণ্ড তৈরি করা। এই পুরোটাতেই অনেক সময় আর শক্তি লাগে।

​এরপর আসে আসল খেলাটা: চাকা ঘোরানো। একটা কাঠের বা পাথরের চাকা, সেটাকে ঘুরিয়ে তার মাঝখানে মাটির তালটা বসানো হয়। দেখতে সহজ মনে হলেও, আঙুলের সামান্য একটু ভুলে সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খুব মনোযোগ দিয়ে আর আলতো করে চাপ দিতে হয়। কুমোরদের হাত যেন জাদু জানে। একটু পরেই একটা গোল মাটির তাল থেকে সুন্দর হাঁড়ি, কলসি বা প্রদীপ তৈরি হয়ে যায়। যখন চাকা ঘুরতে থাকে, তখন ওদের চোখে-মুখে একটা শান্তি দেখা যায়—মনে হয় যেন ওরা শুধু জিনিস নয়, নিজের স্বপ্ন বানাচ্ছে।

​আসলে, এই জীবনটা এখন আর আগের মতো সহজ নেই। বাজারে এখন সস্তা প্লাস্টিক আর স্টিলের ভিড়। মাটির জিনিস কম বিক্রি হয়। তবুও এই মানুষগুলো তাদের কাজ ছাড়তে পারেনি। এটা শুধু কাজ নয়, এটা ওদের রক্তের টান, ওদের পরিবারের ঐতিহ্য। যখন দুর্গাপূজা বা কালীপূজা আসে, যখন লোকে প্রদীপ বা সরা খোঁজে, তখনই ওদের একটু বেশি কাজ হয়। এইভাবেই মাটি আর পরিশ্রমের সঙ্গে লড়াই করে, নিজেদের শিল্পটা বাঁচিয়ে রেখেছে এই সহজ-সরল মানুষগুলো। এদের জীবনটাই যেন মাটির মতো—নরম, কিন্তু আগুনে পোড়ানোর পর খুব শক্ত আর খাঁটি।আসলেই এদের জীবনটা অনেক কষ্টে হয়।আমি সর্বশেষে একটা কথাই বলতে চাই। আসলেই কোন কাজকে ছোট চোখে দেখা উচিত নয়।


বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।



1708707161421-01.jpg

আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।

ফটোগ্রাফির বিবরণ

📱 ডিভাইসের নাম📍অবস্থানকভার ডিজাইন
Redmi note 10 pro maxJamalpur/BDpixabay
---


ধন্যবাদ



@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin

আমার পোস্টটি দেখার জন্য



শুভেচ্ছান্তে
@alimtutorial

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Posted using SteemX

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

🎉 Congratulations!

Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀

SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.

🔗 Visit us: www.steemx.org

✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5

banner.jpg