প্রত্যেক গার্ডিয়ানের বন্ধুসুলভ হওয়া জরুরি তাদের বাচ্চাদের প্রতি|
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকের লেখার বিষয়টি এতক্ষণে নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছেন বন্ধুরা।বর্তমান আমরা আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি।এই সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া আমাদের উপকারের বদলে অপকারও কিছু সময় ডেকে আনছে।সোশ্যাল মিডিয়া ,টিভি,নাটক,মুভি এগুলোর কমন বিষয় এখন সম্পর্ক।এজন্য স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে কিশোর কিশোরীরা তাদের জীবনে ঘটিয়ে ফেলছে নানা দুর্ঘটনা।এর মধ্যে গার্ডিয়ান পক্ষের কিছু ভুল রয়েছে যেটা তাদের সন্তানদেরকে বিপদের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক বন্ধুরা আজকের লেখার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।গতকাল একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে আমার পরিচিত একটি ছোট ভাইয়ের বোনের সাথে।মেয়েটি দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো।বর্তমান সময়ে কিশোর কিশোরীরা প্রেম নামক আবেগে জড়িয়ে নানা ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হচ্ছেনা।এমনকি তারা তাদের জীবনের মায়াও করছেনা।মেয়েটি সবে যেহেতু দশম শ্রেণীতে তাই খুবই অল্প বয়স বলা যায়।তার ব্যাচ মেট একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকেরা জেনে গিয়ে মেয়েটিকে শাসন করেন।কিন্তু শাসন করে কোনো লাভ হয়না।অতঃপর মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মারা যায় ।
এখানে গার্ডিয়ান পক্ষের যেটা ভুল আমার মনে হয়েছে আগেই এতো শাসন না করে তাকে বুঝানো উচিত ছিল।যেহেতু অল্প বয়স তাই আবেগে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে যেটা স্বাভাবিক একটি ব্যাপার ।মানুষ মারা গেলে আর তাকে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়,এখন হয়তো তারা বুঝতে পারছে বিষয়টি।মেয়েটি তার বাবা মায়ের একটি মেয়েই ছিল।
বর্তমান সময়ে এধরনের ঘটনা গুলো খুবই কমন ।তাই গার্ডিয়ান পক্ষের উচিত অবশ্যই তাদের বাচ্চাদের সাথে ফ্রি হওয়া।যদি বাচ্চাদের অতিরিক্ত শাসন করা হয় তাদের সাথে ফ্রি না হওয়া যায় তাহলে তারা যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় নিজেকে খুব সহজেই জড়িয়ে ফেলবে।এজন্যে আমার মনে হয় প্রতিটি পরিবারে যিনি মা রয়েছেন ।তাকে আগে বন্ধু হতে হবে তার সন্তানদের সাথে এতে করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সে একবার অন্তত তার মায়ের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করবে।
একজন গার্ডিয়ান যদি তার সন্তানের সাথে ফ্রি না হয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানেরা বাইরের মানুষের সাহায্য নিবেন যেটা কিনা আরো বিপজ্জনক।কেননা বাইরের মানুষ সবসময়ই এধরনের ভুল পথে পা বাড়াতে উৎসাহিত করবে সৎ পরামর্শ দেওয়ার বদলে।উক্ত ঘটনায় আমার এমনটি মনে হয়েছে প্রত্যেক গার্ডিয়ানের বন্ধুসুলভ হওয়া জরুরি তাদের সন্তানদের প্রতি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 22nd February,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন হ্যাঁ গার্ডিয়ান যদি বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে তাহলে তার মনের কথাগুলো আর বাইরের মানুষের সাথে শেয়ার পারবে না। যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ করবে।
জি একদম,ধন্যবাদ আপনাকে।
এখানে একটা বিষয় হচ্ছে আপু যদি শাসন করতে হয় তাহলে শুরু থেকে করতে হয়। যদি বাচ্চাদেরকে চাপ দিতে হয় তাহলে শুরু থেকে দিতে হয়। একটা বাচ্চাকে এত আহ্লাদী করে বড় করে যখন নির্দিষ্ট বয়সে এসে অনেক বেশি চাপ দেবেন সে সহ্য করতে পারবেনা। যার কারণে সেই এমন একটি আবেগী কাজ করলো দশম শ্রেণীর স্টুডেন্ট। গার্ডিয়ানেরা তাকে অতিরিক্ত ফ্রেশার দিয়েছে হয়তো। যা সেই তার ফেলে আসা জীবনে এই ধরনের কোন বিষয় আগে অনুভব করেনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি দেখেছি এই ধরনের সন্তানেরাই বেশি আবেগী হয়। সবকিছু হচ্ছে মা-বাবাদের ভুল। সন্তানদেরকে যেমন আদর যত্নে বড় করতে হয়। তেমনি একটু শাসনের মধ্যেও রাখা উচিত। এমন একটি পর্যায়ে এসে শাসন করলে যা সন্তানের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় এমন না করাই উচিত।
জি আগে থেকেই ব্যাবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল,ধন্যবাদ আপু পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
ভার্চুয়াল জগতে আসলে আমরা অনেক বেশি এক্টিভ কিন্তু বাস্তব জীবনে আমরা বা ইয়াং জেনারেশন প্রচন্ড একা। যাইহোক, এইখানের এই ঘটনাটি অনেক দুঃখজনক ছিল। তবে আমার মনে হয় যে, মেয়েটিকে পরিবারের লোকজনদের বোঝানো উচিত ছিল বন্ধুসুলভ আচরণ করে। তাহলে হয়তো এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটতো না। তাছাড়া সত্যি কথা বলতে আমারও মনে হয় যে, প্রত্যেকটা বাবা-মায়েরই উচিত তার সন্তানের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা।
জি ভাইয়া বন্ধুসুলভ হওয়া জরুরি সব গার্ডিয়ান কেই।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।