পোষ্য কুকুরের সাথে কাটানো মূহুর্ত ও তাদের মৃত্যু শেষ পর্ব 🥲
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো
পোষ্য কুকুরের সাথে কাটানো মূহুর্ত ও তাদের মৃত্যুর শেষ পর্ব।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক কি আছে আজকের পর্বে।
সাগরকে মূলত পাশের বাড়ির একটি ছেলে পোষার জন্য এনেছিল খুব ছোট্ট একটি কুকুর ছানাকে এবং ওর নাম দিয়েছিল সাগর। তো ছেলেটির সাথপ খেলতাম আমরা তখন কুকুর ছানা সাগরকে নিয়ে আসতো আর আমাদের সাথে পরিচিত হয়ে গেছে কুকুর ছানা সাগরের। ভাই ও আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেতে দিতাম।এরকম চলতে চলতে সাগর আমাদের বাড়ি থেকে আর যেতে চাইতো না।জোর করে নিয়ে গেলেও একটু পর এসে হাজির হতো।আমাদের বাড়িতে খেতো ঘুমাতো।পরে ছেলেটি কুকুর টির আশা ছেরে দিয়েছে।
আমার বাড়িতে থাকতো আস্তে আস্তে বড়ো হতে লাগলো সাগর। এখন সাগরের জন্য অপরিচিত কেউ বাড়িতে আসতে পারতো না আসলেই কামড়ে দিতো।শুধু মাত্র গ্রামের কাউকে কামড়াতো না। আমাদের পুকুরের মাছ,লাউ কুমড়া, আদা চুরি করতো চোর সাগরের জন্য আর চুরি করতে পারে না।সাগর ছিলো বিশাল বড়ো এবং খুব শক্তিশালী কুকুর। চোর সাগরকেও ডনের মতো সুচ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু ভাগ্য ক্রমে সুচটি দাঁতে আটকে গিয়েছিল ভাই সেটাকে বের করে দিয়েছিলো। সাগর এতোটাই চালাক যে সেদিনের পর থেকে আর বাইরের কেউ কিছু খেতে দিলে খেতো না।
কাউকে আক্রমন করতে চাইলে আমরা বাড়ির কেউ যদি বলতাম সাগর চুপ কর তাহলে সে চুপ হয়ে যেতো।সাগরের এতোটাই রাগ ছিলো যে সে অপরিচিত যাকেই পায় তাকেই কামড়ে দেয়।পাশের গ্রামের কেউ আসলেই কামড় বসিয়ে দিতো সুযোগ পেলে।পাশের গ্রামের মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে বেশ কয়েকদিন মারতে এসেছিল সাগরকে।আমরা সাগরকে বাড়িতে আটকিয়ে রেখেছিলাম।এরপর একদিন গ্রামে এক বিয়ে ছিলো।আর সাগর গিয়েছিল রাস্তায়। বন্যার জল ছিলো চারদিকে। সাগরকে রাস্তায় পেয়ে কিছু ছেলে সাগরকে চারদিকে থেকে ঘিরে ফেলে এবং লোহার রড ও কেটা দিয়ে নির্মম ভাবে আঘাত করে করে মেরে ফেলে।সেদিনও আবার খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। বন্যার জলের জন্য সাগর পালাতে পারেনি 😭।খুব সহজেই সাগরকে মারতে পেরেছিলো।
মানুষ কিভাবে এতো নিষ্ঠুর হতে পারে এরকম ঘটনার সমূখীন না হলে বুঝতে পারতাম না।
দিদু ভাইকে বলেছিলো যে আর কুকুর পুষতে হবে না।ঠিক তখন থেকে আর কুকুর পুষি নি আমরা। পোস্ট টি লিখতে সাগরের ডনের ও টমের স্মৃতি গুলো আবারও উকি দিলো।কষ্ট হচ্ছে অনেক।ডন,টম, সাগর ভালো আছে পরপারে 😪 এটাই বিশ্বাস। বাড়িতে এখন অনেক কুকুর তবে কাউকে পোষা হয় না।আসে খায় চলে যায়।খাওয়ার সময় আসে খেয়ে চলে যায়।
যতোদিন বাঁচবো ততদিন মনের কোন এক স্থানে ডন,টম,ও সাগর বেঁচে থাকবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে নতুন কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
পোষ্য প্রাণী মারা গেলে তখন খুব কষ্ট লাগে। যেহেতু সাগর আশেপাশের গ্রামের লোকজনকে কামড়াতো সেজন্য স্বাভাবিকভাবেই লোকজন মেরে ফেলার চেষ্টা করবে। কিন্তু সাগর চালাক হওয়ার কারনে ডনের মত সূচ খেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয় নি। কিন্তু শেষ মেষ তাকে মানুষের হিংস্রতার কাছে পরাজিত হতেই হলো। ভালো করেছেন আপু পরবর্তীতে আর কোন কুকুর পুষে।
হ্যাঁ আপু সাগর ভীষণ চালাক ছিলো।অনেক দিন মারার চেষ্টা করেছিল পারে নি কোন না কোন ভাবে পালিয়ে আসতো।খাওয়াতে পারতো না জন্য পিটিয়ে মেরেছে 😭।
আপু আপনার এই পোস্টটি পরে আমার অনেক খারাপ লাগলো কুকুরটির জন্য। আপনার আর আমার এই ঘটনাটি মিল আছে। আমি একটি কুকুর পালতাম সেম আপনার কুকুরের মত। আমাদের বাড়িতে কেউ আসতে পারতো না। দূর থেকে কোন মানুষ আমাদের বাসায় দেখলেই ও রেগে যেত । ওর একবার পা ভেঙে গিয়েছিল আমি পায়ে মালিশ করে পা ঠিক করে দিয়েছি। ও মারা গেছে তবে ওকে কেউ আঘাত করে মারেনি। অসুস্থ হয়েছিল। আপনার মত বন্যার পানি ছিল আমাদের বাসার চারিদিকে। আর আমাদের একটি নৌকা ছিল সেই নৌকার মধ্যে মারা গেছে। আমি খুব কান্না করেছিলাম । ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার আমার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
আসলে গৃহপালিত পশুদের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা জন্ম নেয়।আপনার কুকুর টি সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আসলে দিদি এখানে তো মানুষের একটা নিষ্ঠুরতার পরিচয় পাওয়া গেছে। কারণ একটা জীব বা অবলা প্রাণী, সে হয়তো কোন কিছু না বুঝেই করেছে বা নিজের পছন্দের মানুষগুলোকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্য এগুলো করেছে। কিন্তু তাকে এভাবে মেরে ফেলা উচিত হয়নি। আর হয়তো পাশের গ্রামের লোকদের রাগ ছিল যেহেতু কামড়াচ্ছিল তাদের ,তাই হয়তো মেরে ফেলেছে সুযোগ পেয়ে। তবে আমি এটাকে কোনভাবেই সাপোর্ট করিনা, তারা অবশ্যই অন্যায় করেছে।
হ্যাঁ দাদা অবশ্যই অন্যায় করেছে।এমন নিষ্ঠুরতা মেনে নেয়া যায় না।আমার মনে হয় যারা এভাবে পিটিয়ে প্রাণী হত্যা করতে পারে তারাই মানুষ খুন করতে পারে।
যে মানুষগুলোর মধ্যে মনুষত্ব জিনিসটা নেই, সেই মানুষগুলো যা খুশি তাই করতেই পারে। তারা যে অন্যায়টা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য অন্যায়।
নিজের পোষা প্রাণীর ক্ষতি হয়ে গেলে নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। আসলে অবোলা প্রাণীকে মারা ঠিক না। যদি এদের দ্বারা অনেকের অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে। তারপর এদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঠিক হয়নি। বিষয়টি পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে।
একে একে তিনটি পোষা কুকুরকে আপনি হারিয়ে ফেলেছেন প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব পড়েছিলাম তৃতীয় পর্বটি পড়ে আরো বেশি খারাপ লাগলো সত্যি মানুষ একটা নিরীহ প্রাণের উপর কিভাবে এত চড়াও হতে পারে। কষ্ট পাবেন না আপু তারা হয়তো উপরে বেশ ভালোই আছে।
হ্যাঁ তিনটি কুকুর কে মেরেছে শুধু তাই নয় পাশের বাড়ির পোষা কুকুর কেও মেরে ফেলেছে ফাঁসি দিয়ে অন্য কোনদিন শেয়ার করবো সেই নিষ্ঠুরতম কাহিনি।