গিফট দেওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
গিফট দেওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে।আজ দুইদিন ধরে সারাদিন বৃষ্টি। আর কথায় আছে না অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ। আসলে বেশি বৃষ্টির জন্য কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আর ঘন বৃষ্টিতে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যায় । আসলে অনুভূতি মূলক পোস্ট করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে গিফট দেওয়া ও পাওয়ার মাঝে আনন্দ থাকে অনেক। আসলে এখন বড় হয়ে গিয়েছি তাই তেমন গিফট পায়না। আসলে সবাই শুধু বাচ্চাদের গিফট দেয়। যাইহোক সব সময় সব কিছু পাওয়া যায় না এটাই স্বাভাবিক। এবার বাচ্চাদের সাথে গিয়েছিলাম একটা গিফট কেনার জন্য। আসলে তাদের ম্যাডামের বিদায় অনুষ্ঠান তাই তারা গিফট দেবে।আর সাথে আরো কিছু কিনেছিলাম। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে বাচ্চারা বেশ কিছু টাকা তুলেছে তাদের ম্যাডামকে গিফট কিনে দেওয়ার জন্য। তাই সাথে আমি ও একটা গিফট কিনে দিলাম।যদিও তেমন কোন কিছু গিফট দিতে পারিনি।তবে এই ছোট জিনিস গুলোর মূল্য অনেক। যাইহোক আমরা সবাই মিলে চলে গিয়েছিলাম ম্যাডামের জন্য জায়নামাজ কেনার জন্য। তারপর আমরা সবাই চলে গিয়েছিলাম জায়নামাজ এর ঘরে।আসলে আমরা একটু ভালোর মধ্যে বলতে মোটা জায়নামাজ গুলো দেখতেছিলাম। এগুলো আগে ও কয়েকটি আমি গিফট পেয়েছি।তারপর আমার ঘরের জায়নামাজ এর মতো দুটি জায়নামাজ কিনলাম, সাথে একটা তজবি ও কেনা হলো।আবার একটা কাপ সেট কেনা হলো। আর আমার ছোট মেয়ে একটা ডায়েরি ও বড় মেয়ে একটা মগ কিনেছে আলাদা করে দেবে বলে।
তারপর বাচ্চারা যখন ম্যাডামকে জায়নামাজ উপহার দিল তখন ম্যাডাম অনেক খুশি হয়েছে। আসলে এই হেড ম্যাডাম আমাদের এই স্কুলে দীর্ঘ ৩২ বছর চাকরি করেছে।তার চাকরির জীবনের ৩৫ এর মধ্যে ৩২ বছর এখানে কাটিয়েছে। আর এতো বছর আমাদের পরিবারের সাথে থেকেছে।তার বিদায় নিতে কতটা কষ্টকর যারা দেবে তারাই শুধু বুঝে।যাইহোক সব বিদায় অনেক কষ্টকর,তারপরেও আমাদের বিদায় বেলা বিদায় দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপর আমরা সবাই মিলে ম্যাডামকে গিফট দিয়ে চলে আসলাম। আসলে আরো অনেকে অনেক কিছু গিফট দিয়েছে। আর গিফট দেওয়ার অনুভূতি সত্যি অন্য রকম। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1928467750176858486?t=YfZKH45dPizQeStYa3txcA&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1928396663690871039?t=_A5SrLIJrFHlAFFe5a_a6g&s=19
4
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি সুন্দর ও হৃদয় ছোঁয়া একটি অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। সত্যি, গিফট দেওয়ার মাঝে যে আনন্দ আছে, সেটা শুধু উপহারের দাম দিয়ে নয়।বরং ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর আবেগ দিয়ে মাপা যায়। বিশেষ করে দীর্ঘ ৩২ বছরের অবদানের পর একজন শিক্ষিকাকে এভাবে সম্মান জানানো।এটা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আপনার লেখা পড়ে যেন মনে হলো, আমি নিজেও সেই বিদায় অনুষ্ঠানে ছিলাম। ছবিগুলোও মন ছুঁয়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।