দানের জন্য বিখ্যাত বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
Image Source-https://pixabay.com/vectors/chest-coins-gold-lock-money-1293748/
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খুবই আলোচিত একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করবো। যারা অনলাইনে বা অফলাইনে পত্রপত্রিকা পড়েন তারা হয়তো বিষয়টি জানেন। সেটা আর কিছু নয়, ময়মনসিংহ বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাগলা মসজিদের বিষয়। যেই মসজিদকে বলা হয় টাকার খনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন নিয়তে এই মসজিদে এসে মানুষ দান করে। লোক মুখে শুনেছি যারা সহীহ নিয়তে এখানে দান করে, তাদের দানের উসিলায় অনেকেরই মনের আশা সৃষ্টিকর্তা পুরন করে দেন। সেই আশায় প্রতিদিন শত শত মানুষ মসজিদে দান করে থাকে।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক ও ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এটি কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে নয় বরং সকল ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র একটি স্থান হিসাবে পরিচিত। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো এই মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত। প্রচলিত আছে যে, এক অধ্যাতিক সুফী সাধক নরসুন্দা নদীর তীরে মাদুর পেতে ইবাদত করতেন। তার মৃত্যুর পর সেই স্থানে একটি মসজিদ স্থাপন করা হয়। যা কালক্রমে পাগলা মসজিদ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদটি একটি সু উচ্চ মিনার সহ প্রায় 3.88 একর জমির উপর নির্মিত। পাগলা মসজিদ তার বিপুল পরিমান দানের জন্য বিখ্যাত। মসজিদে এগারোটি লোহার দানবাক্স সহ কয়েকটি ট্রাঙ্ক রয়েছে। যা প্রতি তিনচার মাস পর পর একবার করে খুলা হয়। দান বাক্সে টাকা পয়সা ছাড়াও, স্বর্ণরুপা অলংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
এই মসজিদের দান বাক্স থেকে প্রাপ্ত অর্থ প্রতিবারই নতুন রের্কড তৈরী করে। চার মাস ১২ দিন পর ১২ই এপ্রিল রোজ শনিবার সকাল ৭টায় মসজিদের ১১ টি দান বাক্স সহ একটি ট্রাংক খোলা হয়। এই বার দানবাক্স গুলো থেকে মোট ২৮ বস্তা টাকা সহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। গণনার কাজে প্রায় ৪০০ জনের একটি দল অংশগ্রহণ করেছে। যাদের মধ্যে ছিল মাদ্রাসার ছাত্র, ব্যাংক কর্মর্কতা ও মসজিদ কমিটির সকল সদ্যরা। গতকাল গণনা করে মোট ৮ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান র্বতমানে পাগলা মসজিদের একাউন্টে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা জমা রয়েছে।
২০২৪ সালের ৩০শে নভেম্বর পাওয়া গেছে- ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা।
২০২৪ সালের ১৭ই আগস্ট পাওয়া গেছে- ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা।
২০২৪ সালের ২০শে এপ্রিল পাওয়া গেছে- ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৭ টাকা।
২০২৪ সালের তিন বারের সর্বমোট অর্থের পরিমান ছিল- ২৩ কোটি ২২ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৭ টাকা।
মসজিদের দানবাক্সে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পাগলা মসজিদ পরিচালনা সহ আশে পাশের অন্যান্য মসজিদ মাদ্রাসা, এতিম খানায় অনুদান, অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সহয়তা সহ জনকল্যান মূলক কাজে ব্যায় করা হয়। পাগলা মসজিদ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে জানা যায় পাগলা মসজিদটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তুলার মহা-পরিকল্পনা রয়েছে। যার প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা। কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হবে। সৃষ্টিকর্তা যেন সবার দানকে কবুল করেন। সেই কামনা রইল।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
এই পাগলা মসজিদের খবর টিভিতে দেখলাম এবং দানবক্সে এত পরিমান দানের টাকা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। এখানে নাকি সব ধর্মের মানুষ যায় এবং তাদের মনের আশা পূর্ণ হয় এবং দান করে থাকেন। ভালো লাগলো জেনে যে বাংলাদেশে এত সুন্দর একটি মসজিদ রয়েছে।
জী এই মসজিদটি দানের জন্য বিখ্যাত।
https://x.com/RamimHa74448648/status/1911477530693124323?t=ULNEmYdDaiLav_JEvBp8vg&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1911479111207248279?t=hCoEP7GJ4BKUfcgP3tUUSQ&s=19