রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - জানালার ওপাশে (দ্বিতীয় পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

জানালার ওপাশে (দ্বিতীয় পর্ব )

home-5229382_1280.jpg

image source

প্রথম পর্বের পর

এভাবে কেটে গেলে আরো তিনদিন। কথা গুলো পরিবারের অন্যদের সাথে শেয়ার করলে বিষয়টিকে সবাই হাসিয়ে উড়িয়ে দেয়। কারণ সেই রুমে আমি একাই থাকতাম আর অন্যরা সবাই পাশের রুমে। আর এই জানালাটি ছিল আমার রুমে। তবে বাবা আমার এই কথাটিকে গুরুত্ব দেয় ও এলাকার একজন সাহসী ব্যাক্তিকে সেখানে গিয়ে দেখতে বলে যে রাত হলে সেখান থেকে কিসের শব্দ পাওয়া যায়।

অনেক সময় নিয়ে কবরস্থান ও জঙ্গল পার হয়ে আমার জানালার ঠিক পিছন দিয়ে আসে ও এখানে এসে লোকটি যা দেখে তা বলার কোনো ভাষা হয়তো কারো নেই। এ যেন এক মৃত মানুষের কঙ্কালের জায়গা। অনেক গুলো কঙ্কাল এই জানালার নিচে। যার হাত,পা, মাথা ও শরীর সবকিছু চিন্ন-বিন্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। লোকটি সেখান থেকে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে আসে ও বাবাকে এই কথা বলে।

বাবা তখন সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেয় আর সেখানে পুলিশ এসে সকল খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। একটা পর্যায়ে খবর পাওয়া যায় আমাদের আগে এখানে একজন সরকারি কর্মচারী থাকতেন। যার ছিলোনা কোনো পরিবার, ছিলোনা তার বাবা-মা, কিংবা সন্তান-সন্তানাদি। একা একাই এই বিশাল বাংলো বাড়ির মধ্যে থাকতেন। তবে এলাকার ,মানুষের মুখ থেকে শুনা গেলো প্রায় দিন তিনি মেয়ে মানুষ নিয়ে এই বাড়িতে প্রবেশ করতেন। একেক দিন একেকটি মেয়ে মানুষ, কিন্তু কখনো কেউ এই বাড়ি থেকে কোনো মেয়ে মানুষকে বের হতে দেখেননি।

এই লোকটি ছিল একরকম মানুষ নামের জানোয়ার কিংবা হিংস্র প্রাণীও বলা যেতে পারে। লোকটির বয়স ছিল ৫০ + , সে যখন অফিস থেকে বাসায় ফিরত তখন তার টার্গেট খুঁজতে থাকতো। সে এমন একজনকে টার্গেট করতো যার সাথে কেউ নেই , একা ট্রাভেল করছে ও সুন্দরী। টার্গেটের কাছে যেত ও অসুস্থতার অভিনয় করে টার্গেটের সামনে মাথা ঘুরানোর অভিনয় করে পড়ে যেত। আর সেখানেই ঘটতো তার আসল ঘটনা। সাথে সাথে টার্গেট করা মেয়েটি এসে বাবার বয়সী মানুষটিকে আংকেল সম্মোদন করে মাথাটিকে তার হাতে তুলে নিতো ও চোখে মুখে পানি দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করতো আর তখনি সে মেয়েটিকে মা বলে ও অসুস্থতার কথা বলে বাসায় পোঁছে দিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাতো।

টার্গেট করা মেয়েটি সহজ সরল মনে বাবার বয়সী মানুষটিকে বাসায় পোঁছে দিয়ে আসতে রাজি হয় আর এখানেই মেয়েটি তার অজান্তেই এক মরণ ফাঁদে পা দেয়। তারপর মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে আসার পর হিংস্র প্রাণীর মতো অত্যাচার নির্যাতন করে ও শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে মেরে সেই জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। সে খুব ভালো করে জানতো এই জানালার আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত কেউ থাকেনা। আর সে যখন লাশটিকে জানালা দিয়ে ফেলতো তখন থাকতো মাঝরাত, আর সেই মাঝ রাতে জানালার ওপর পাশে অপেক্ষা করতে থাকতো একদল হিস্র শিয়াল। যেগুলো লাশটিকে সাথে সাথে ছিড়ে খেয়ে ফেলত আর শরীরের হাড্ডি গুলো এখানেই ফেলে দিয়ে যেত। আর এভাবেই চলতে থাকে প্রতিনিয়ত তার টার্গেট খুজা।

পরবর্তীতে কি হয়েছিল লোকটির সাথে জানতে হলে শেষ পর্বটি পড়তে হবে।..

চলবে.......

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

পর্বগুলো বেশ ভয়ংকর। কিন্তু লোকটি মেয়েদেরকে মেরে জালানা দিয়ে ফেলে দিতো এসব দেখেও কেউ প্রতিবাদ করে নি।সে একা এত কিছু কিভাবে করতো বেশ রহস্য ঘেরা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

গল্পটির প্রথম পর্ব পড়ে ভীষণ আগ্রহ জেগে ছিল পরের পর্ব পড়ার জন্য ।আজ পরের পর্বটি পড়ে সত্যিই অবাক হয়েছি কি ভয়ঙ্কর লোক ছিল। মানুষকে টার্গেট করে বাড়িতে এনে নির্যাতন করে আবার মেরে ফেলত। মেয়েরা বাবার বয়সী ভেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত আর তাদেরকে হত্যা করত। সত্যি ভিষণ ভয়ংকর ঘটনা পরবর্তী পর্বে কি হয় পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

ভাবতেই অবাক লাগছে, লোকটা কতোটা বাজে। কতো অভিনয় করে মেয়েদেরকে বাসায় নিয়ে যেতো এবং পরবর্তীতে মেরে লাশ ফেলে দিতো। তবে পুলিশ নিয়ে যাওয়াতে খুব ভালো হয়েছে। এতদিন তো জানালার পিছনে কেউ যায়নি ভয়ে, তাই কেউ কঙ্কাল গুলো দেখেনি। কিন্তু পুলিশ এখন সেই লোকটাকে অবশ্যই খুঁজে বের করবে এবং সেই লোকটার অবশ্যই বিচার হবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

ভাবতেই অবাক লাগছে, লোকটা কতোটা বাজে। কতো অভিনয় করে মেয়েদেরকে বাসায় নিয়ে যেতো এবং পরবর্তীতে মেরে লাশ ফেলে দিতো। তবে পুলিশ নিয়ে যাওয়াতে খুব ভালো হয়েছে। এতদিন তো জানালার পিছনে কেউ যায়নি ভয়ে, তাই কেউ কঙ্কাল গুলো দেখেনি। কিন্তু পুলিশ এখন সেই লোকটাকে অবশ্যই খুঁজে বের করবে এবং সেই লোকটার অবশ্যই বিচার হবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

সেই রহস্যময় জানালার কথা গুলো শুনে সবাই হাসিয়ে উড়িয়ে দিলেও বাবা গুরুত্বে পুলিশের মাধ্যমে অনেক কথা ই বেরিয়ে এসেছে ৷ একজন বস্কস মানুষ হয়েও কিভাবে এমন ভয়ানক কাজ করতে পারতো? ওই মানুষটার কথা কল্পনায় ভাবতেই তো ভয় লেগে যাচ্ছে ৷ যাই হোক , গল্পটা পড়ে বেশ ভালোই লাগছে ৷ তবে গল্পের ভয়ানক কাহিনী গুলো ভয়ও দিচ্ছে ৷ যাই হোক , পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু ৷ ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago (edited)

প্রথম পর্বটি পড়ে দ্বিতীয় পর্বটির জন্য একদম উৎসুক হয়েছিলাম যে কখন দ্বিতীয় পর্বটি আসবে। আমাদের সমাজে মানুষ চেনা আসলেই খুব দুষ্কর, কোন মানুষের ভিতরে কোন মনুষ্যত্ব লুকিয়ে আছে এটা বোঝা অনেকটাই কঠিন। ঠিক সেটাই প্রকাশিত হলো আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে। একজন বাবার বয়সী লোক কিভাবে তার মেয়ের বয়সের মেয়ের সাথে এরকমটা করতে পারে। তও আবার শেষ পর্যন্ত মৃত্যু দিয়ে দেয়।আপু "রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - জানালার ওপাশে"এই গল্পটার পরের পর্বটি শেষ পর্ব না হয়ে যদি আরো বেশ কয়েকটি পর্ব নিয়ে আসেন তাহলে আরো বেশি ভালো লাগবে আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

গল্পের এই পর্বটা পড়ে মনে হচ্ছে, অনেকটা সিরিয়াল কিলিং এর মত ঘটনা। একজন ব্যক্তি কতটা পশু হলে এভাবে মেয়েদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে একের পর এক হত্যা করে, সেই লাশ আবার শিয়ালদের খাওয়ার জন্য জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়, সেটাই ভাবছি! তবে আমি মনে করি, গল্পের পরবর্তী পর্বগুলো আরো বেশি ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে । গল্পটির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।