রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - রক্তাত্ব লাল চোঁখ
রহস্যে ঘেরা ভৌতিক গল্প - রক্তাত্ব লাল চোঁখ
মাঝে মাঝে নিজের কল্পনা শক্তি দিয়ে গল্প সাজাতে ভালো লাগে। আর সেই গল্পের মধ্যে যদি থাকে রহস্য তাহলে পড়তে কিংবা শুনতে আরো বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি এমনি একটি ভৌতিক গল্প লিখেছি ও আপনাদের সাথে আমার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছি।
পরিবার নিয়ে কোনো এক আপন আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে আগে আর কখনো যাওয়া হয়নি। তাই চারপাশে যা দেখছি সবকিছুই যেন সুন্দর লাগছে ও ভালো লাগছে। সারাদিন জার্নি করে সেখানে গেলেও তেমন ক্লান্তি অনুভব করছিনা। কারণ নতুন প্রকৃতি দেখার ম্যধেও এক অন্য রকম আনন্দ কাজ করে মনের ভিতর। যাইহোক, সবাই রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুমের ঘরে রাত ধীরে ধীরে গভীর থেকে আরো গভীরে যাচ্ছে। রাত যখন মধ্যরাতে গিয়ে পৌঁছালো ঠিক তখন আমি ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলে বাইরে চলে আসি। আর হাটতে থাকি নিজের অজান্তেই অজানা গন্তব্যের দিকে। অনেক লম্বা পথ পারি দেয়ার পর আমি এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছি যেখানে পুরোপুরি জনমানব শুন্য একটি জায়গা। চারদিকে ঘন গাছপালা আর উঁচু উঁচু টিলা। আর টিলার উপরে রয়েছে ছোট একটি ঘর।
ঠিক সেই মুহূর্তে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর আমি বুঝতে পারি আমি আমার নিজের ঘরে নেই। মানে এতক্ষন আমি যা করেছি কিংবা যেখানে এসেছি সেটা নিজের ইচ্ছা থেকে না, সম্পূর্ণ ঘুমের ঘরে থেকে। আর ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে আমি যখন বুঝতে পারি যে আমি এক অজানা অচেনা জায়গায় এসে পড়েছি তখন ভয়ে আমার লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো, গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিলো, আর গলা দিয়ে কোনো কোথায় যেন বের হচ্ছিলোনা।
আর ঠিক সেই সময় দেখতে পাই টিলার উপর থাকা ঘরটা থেকে আগুনের মতো লাল হয়ে থাকা দুইটা চোখ আমার দিকে এগিয়ে আসছে। এটি একটি অবয়ব, যার পুরো শরীর অন্ধকারে ঢাকা, শুধু মাত্র দুইটা চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা। তাই বিষয়টি আরো বেশি ভয়ংকর লাগছিলো। আমি প্রাণপোনে নিজেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়াতে থাকি। কিন্তু আমি জানিনা কোন দিকে দৌড়াচ্ছি, কোন দিকে গেলে আমি বেঁচে যাবো।
কিছুটা দূরে যাওয়ার পর আমি দেখি আর যাওয়ার মতো কোনো রাস্তা নেই। কারণ ওদের পুরো দল আমার চারদিক থেকে আমাকে ঘিরে ফেলেছে। আমি এখন নিশ্চিত যে এখন আমার মৃত অনিবার্য। হায়নার মতো হিংস্র শত শত রক্তাত্ব লাল চোখ আমার দিকে এগিয়ে আসছে। ঠিক তখন এত জোরে একটা চিৎকার করি যে চিৎকারে শুধু ঘরের মানুষ না পাশের ঘরের মানুষও ঘুম থেকে উঠে চলে এসেছে। কারণ এটা একটা খারাপ স্বপ্ন ছিল।
মাঝে মাঝে কিছু স্বপ্ন মনে হয় পুরোপুরি বাস্তব। যা স্বপ্নের ঘরেই আমরা বলে থাকি এটা আমি স্বপ্নে দেখছিনাতো ? তখন নিজেই নিজেকে উত্তর দেয় না, এটা স্বপ্ন না এটা বাস্তব।
সমাপ্ত.......
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

আমিও মাঝেমধ্যে এমন কিছু স্বপ্ন দেখি যে,মনে হয় একেবারে বাস্তব। আবার স্বপ্নের মধ্যে আমি নিজেই নিজেকে বুঝাচ্ছি যে এটা করা ঠিক হবে, সেটা করা ঠিক হবে না 😂। যাইহোক ভৌতিক গল্প পড়তে এবং শুনতে দারুণ লাগে। গল্পটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগলো আপু। এটা যদি বাস্তবে ঘটতো আপনার সাথে, তাহলে কি হতো? যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি কিছু স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবের মতো।
আসলে ঘুমের মাঝে আমরা এরকম অনেক স্বপ্ন দেখি, এই স্বপ্নগুলো একদম বাস্তব মনে হয়। আর এই স্বপ্নগুলো দেখে যেন অনেক ভয় পাই। স্বপ্নের মাঝেই অনেক ভয় পাই। আপনারা ঠিক তাই হয়েছিল আর এই স্বপ্নগুলো যখন ভেঙ্গে যায় তখন গলা একদম শুকিয়ে যায়। যাই হোক এই ভূত বা ভয়ানক গল্প গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগে এবং এই গল্পগুলো শুনতে ইচ্ছা করে।
আমারও একই অবস্থা হয়েছে ।
আপু গল্পটা শুরু থেকে পড়ে তো মনে হচ্ছিল শেষে দারুন একটি ধামাকা অপেক্ষা করছে। গল্পের মধ্যে মনে হচ্ছিল যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম আমিও। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন গল্পের মধ্যে যদি রহস্য থাকে তাহলে সেটি পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এরকম ভয়ংকর চোখ যদি হঠাৎ সামনে আসে ঘন বন্ধ করে এমনিতেই প্রাণ বেরিয়ে যাবে। স্বপ্ন যেহেতু দেখেছিলেন প্রার্থনা করি এরকম যেন শুধু স্বপ্নতেই থাকে বাস্তবে যেন তার ঘটিত না হয়।
ঠিকই বলেছেন।
ঘুমের ঘরে এরকম স্বপ্ন আমিও অনেক দেখেছি আপু, ঠিক যেমনটা আপনি বর্ণনা করলেন। আমারও মাঝে মধ্যে এরকম ঘুমের ঘরে মনে হতো যে, আমার দিকে কেউ লাল লাল চোখ করে তাকিয়ে রয়েছে এবং শুধুমাত্র তার চোখগুলোই দেখা যাচ্ছে, বাকি শরীর দেখা যাচ্ছে না। তারপর আমি একটা ফাঁকা রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছি এবং আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেছে। এরকম অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর স্বপ্ন আমরা সকলেই কমবেশি দেখি। ভালো লাগলো আপু আপনার গল্পটা পড়ে।
গল্পটা ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম ভাইয়া , ধন্যবাদ আপনাকে।