জেনারেল রাইটিংঃসিন্ডিকেট

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৩০শে মাঘ,শীতকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। শীত কালের শেষ দিন। আগামীকাল ১ লা ফাল্গুন।ঋতুরজ বসন্তনের শুরু। সবাইকে আগাম আগুন ঝরা ফাগুনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।

s1.jpg

source

শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমার আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয়। হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিকেই ধরেছেন, আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় সিন্ডিকেট। বর্তমান শুধু নয় সবসময় আলোচিত একটি শব্দ সিন্ডিকেট। বিশেষ করে কোন জিনিসের দর উঠা নামা করলেই ব্যাপক আলোচনায় চলে আসে সিন্ডিকেট। মানুষের মুখে মুখে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারছে না! সাধারণ মানুষ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি।

সিন্ডিকেট আসলে কি? সিন্ডিকেট অর্থ একজোট বা সংঘ। সেই জোট সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থার সাথে শব্দটি জড়িয়ে আছে। শব্দটি নেতিবাচক অর্থেই ব্যবহার হয় বেশি। কিন্তু সিন্ডিকেট শুধু নেতিবাচক নয় ইতিবাচকও বটে। ইতিবাচক নিয়ে পরে আসছি। আগে বর্তমান সিন্ডিকেট নিয়েই এগিয়ে যাই। গত কিছুদিন ধরে সয়াবিন তেলের সংকট দেশে। দোকানে দোকানে ঘুরেও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছিল না। বাজার থেকে সয়াবিন তেল আউট। কারা তৈরি করলো সয়াবিন তেলের সংকট? সয়াবিন তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তেলের দাম বাড়বে জানতে পেরেই অধিক মুনাফার লোভে তারা এই কাজটি করেছে! ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছে কিন্তু ক্রেতার পকেট ফাঁকা হচ্ছে । এক্ষেত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণকারিও সংস্থাও কিছু করতে পারে না। আমাদের সবার অভিজ্ঞতা তাই বলে। এভাবে প্রতিটি জিনিসের বাজার উঠানামার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট কাজ করে। যেমন ধরুন বর্তমানে গ্রামে শাক সবজির দাম অনেক কম। কিন্তু ঢাকা শহরে তার কয়েক গুণ বেশি দামে আমরা কিনে খাচ্ছি। শুধু সিন্ডিকেটের কারসাজিতে! সামনে রমজান মাস আসছে। সিন্ডিকেট গুলো তৎপর হয়ে উঠছে অধিক মুনাফার আশায়!

তাহলে সিন্ডিকেট ভাংতে হবে? কে ভাঙবে? এক কথায় উত্তর সিন্ডিকেট ভাঙলে সরকার ভাঙবে। কিন্তু তাতে লাভ হবে কি? লাভ হবে না। সরকার আরো বিপদে পড়বে। যেমন ধরুন, বর্তমান আলুর উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের সরকারের সেই সামর্থ নেই কৃষকের কাছ থেকে সব আলু কেনার। আলু ব্যবসায়ীরাই কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনে থাকে। ব্যবসায়ীরা আলু না কিনলে কৃষককে আলু নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হবে। তাই সিন্ডিকেট না ভেঙে কিভাবে সিন্ডিকেটকে জনমুখী করা যায় সে বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।


শুধু ব্যবসা বানিজ্য নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেটের প্রভাব লক্ষণীয়। সেটা অফিস আদালত-শিক্ষা-চিকিৎসা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রেই। দেশের এমন কোন সেক্টর নেই, যেখানে সিন্ডিকেটের নেতিবাচক প্রভাব নেই। একটি উদাহরণ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করবো। গত কয়েকদিন আগে বাসা থেকে বের হয়ে সিএনজি নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়েছি। ফিরেছিও সিএনজিতে। কিন্তু যাওয়ার সময় ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা। ফেরার সময় ৫০০ টাকা। কারন ফেরার সময় সব সিএনজি এক জায়গায় ছিল। চালকরা সংঘবদ্ধ ছিল। ৫০০ টাকার নীচে কেউ আসবে না!! এভাবেই আমরা সিন্ডিকেটের শিকার হই এবং হচ্ছি। সিন্ডিকেটের এই নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ইমেজে ফেরাতে সরকারকে কাজ করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।

আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন-নিরাপদে থাকুন। শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 4 months ago 

Daily task

dt1.png

dt2.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রেই সিন্ডিকেট চলছে। সত্যিই এই সিন্ডিকেট কে ভাঙবে এটাই ভাবার বিষয় বা ভাঙ্গা আদৌ যাবে কিনা সেটাও আমরা কেউ জানিনা। অনেক সুন্দর একটি টপিক নিয়ে কথা বলেছেন আপু বেশ ভালো লাগলো পড়ে।

 3 months ago 

কেউ চায় না সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে। সবাই কেবল লাভ করে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।