জেনারেল রাইটিংঃ বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি।আজ ১৭ই আশ্বিন, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২রা অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি একটি জেনারেল পোস্ট নিয়ে।আজ হচ্ছে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ। আর আজ আমি তাই শিশু অধিকার নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করবো। এবারের শিশু অধিকার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’। প্রতিবারের ন্যায় এবারও সারা দেশে শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। সরকারের শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে দিবসিটি পালন করছে।
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের উপরই নির্ভর করেে একটি দেশের ভবিষ্যত।তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি দেশ তাদের দেশের প্রেক্ষপটে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে থাকে, শিশুর বিকাশের কথা চিন্তা করে। কিন্তু প্রতিটি দেশ শিশুর জন্য কি কি কাজ করবে তার একটি নির্দিস্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে জাতিসংঘ।শিশুদের কিছু অধিকারের কথা লিখা আছে একটি দলিলে যা শিশু অধিকার সনদ নামে পরিচিত।
সাধারনত শিশু বলা হয় সেই সকল মানব সন্তানকে যাদের বয়স ০-১৮ বছর। আমাদের দেশেও শিশুর বয়স একই নির্ধারন করা আছে। কেন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল মানব সন্তানকে শিশু বলা হয়, তার কারন হলো এর পুর্বে তাদের মানষিক ও শারীরিক গঠন পরিপূর্ণ হয় না। তাই তাদের জন্য জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ তৈরি করেছে। যা পৃথিবীর প্রায় ১৯২ দেশ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশও প্রথম সারির স্বাক্ষর করা দেশের মধ্যে অন্যতম।
এই সনদে শিশুদের বিভিন্ন অধিকারের কথা উল্লেখ আছে। যা দেশ তাদের শিশুদের দিতে বাধ্য। শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য,বিকাশ ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা। আর কিছু অধিকার তার পরিবার দিতে বাধ্য। পরিবার তার শিশুর জন্য একটি সুস্থ্য পারিবারিক পরিবেশ দিতে বাধ্য। এবং শিশু যাতে তার পরিবারে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করা পরিবারের সদস্যদের । তা না হলে রাস্ট্র সেই পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে।
শিশুর অধিকার রক্ষায় তাই রাস্ট্র স্কুল ,কলেজ পার্ক তৈরি করে। এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন টিকা দান কর্মসুচি গ্রহন করে থাকে। শিশু যদি কোন অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পরে তাবে সেই শিশুকে শিশু আইনে শাস্তি দিয়ে থাকে । এবং সংশোধোনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আর সরকার এ সকল কিছু করতে বাধ্য থাকে শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষর করার জন্য।
সবার উপর শিশু। শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে পরিবার,রাষ্ট্র,সমাজ সর্বপরি সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। শিশুদের অধিকার সব শিশুর ক্ষেত্রে সমভাবে যাতে প্রযোজ্য হয় সে দিকে রাষ্ট্রকে নজর দিতে বাধ্য করতে হবে। আমাদের দেশে সবশিশু সম অধিকার পায়? পায় না। পেয়ে থাকলে পথশিশু বা ছিন্নমূল শিশু চোখে পড়তো না। শিশু অপরাধি সংখ্যা বাড়তো না।শিশু শ্রম বৃদ্ধি পেত না। শিশু-কিশোর গ্যাং তৈরি হতো না। আর এসবের জন্য পরিবারের পাশাপাশি দায় আছে রাষ্ট্রর। রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে প্রতিটি শিশুর নিরাপদে বেড়ে উঠার,স্বাস্থের,শিক্ষার,পুষ্টির ও বিনোদোনের। কোন শিশুই যেন অকালে ঝরে না যায় নজর দিতে হবে সেদিকে। প্রতিটি শিশুর শৈশব হবে আনন্দময় ও বৈষম্যহীন। আসুন শিশুর জন্য হা বলি। পরিবারে-সমাজে- রাষ্ট্রে শিশুবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলি। শিশুর প্রতি সকল বৈষম্য রোধ ও নির্যাতন বন্ধে সবাই হাতে হাত রেখে শপথ নেই। শিশু বান্ধব পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র-পৃথিবী গঠনে আমরা অঙ্গীকার বদ্ধ।
<br<
সবার উপর শিশু-শিশুবান্ধব পৃথিবী আমার অঙ্গীকার। আপনার-আমার ভালোবাসাই হোক শিশুর প্রথম অধিকার।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২ অক্টোবর, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব ভালো লিখেছেন আপু। আজকের শিশুরাই আগামীর সম্বল। তারা যদি সঠিক পরিবেশে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে, তবে দেশের আগামীই ভালো হবে। কেননা ভবিষ্যতে তারাই তো বিভিন্ন ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমাদের সকল শিশুর প্রতি যত্ন নিতে হবে। তবেই দেশ উন্নত হবে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি বিভিন্ন দিবস নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেন, এটা ভীষণ ভালো লাগে আমার।আপনি শিশু দিবস নিয়ে চমৎকার লিখেছেন। শিশুর অধিকার নিয়ে লিখলেন।আসলে আজকের ধিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
আমার লিখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু।