জেনারেল রাইটিং : নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর। পর্ব-১
সবাইকে শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সং্খ্যা বেশি। কি অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ৫০.৫২% নারী। একটি দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে সর্বক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে। কারণ গুলো আপনার আমার অজানা নয়। কারন গুলো সম্পর্কে বিশদ আলোচনা আজকে নয়,আজকে আমার আর্টিকেলের বিষয় নারীর প্রতি সহিংসতা। আপনার আমার চারপাশেই প্রতিদিন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা। গত একবছরে যেকোন সময়ের তুলতায় নারীর প্রতি সহিংসতা বেরড়ে গেছে। প্রতিদিন ২/৪টা সহিংসতার খবর আমরা পাই! কিন্তু আমাদের জানার বাইরেও অনেক সহিংসতার ঘটনা আছে, যে গুলো বিভিন্ন কারণে প্রচার পায়না,ধামাচাপা পড়ে যায়।
নারীর প্রতি সহিংসতা একটি অমানবিক কাজ। সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন প্রতিদিন কোন না কোন নারী। তাছাড়া শারীরিক, মানসিক,অর্থনৈতিক, যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন অনেক নারী। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইন আছে,সরকারি -বেসরকারি সংস্থা নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে কাজ করছেন। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসন তো দুরের কথা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহিংসতার শিকার নারীর আর্তচিৎকারে দেশের বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন অনেক এলাকায়। নারীর আর্তচিৎকার থামছে না বরং প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে!
আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার এখন অনেক বেশি। দিন দিন হার বাড়ছে। ডিজিটালিও মানুষ এখন সমৃদ্ধ হচ্ছেন। সে হিসেবে আগের তুলনায় পুরুষ মানুষ বেশি মানবিক ও সভ্য হওয়ার কথা! কিন্তু চারপাশে নারীর আর্তচিৎকার দেখে মনে হয় অধিকাংশ পুরুষ মানুষ নারীর বিষয়ে মধ্যযুগীয় চিন্তাধারা থেকে বের হতে পারেনি। নারীরা দূর্বল, অকাজের, ঘরের শোভাবর্ধনকারী, সন্তানের লালনপালন, রান্নাবান্নাই তাদের কাজ, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী,সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নারীর জন্য নয়, অধিকাংশ পুরুষ তাই মনে করে।বিশেষ করে পরিবার ও সমাজে সর্বক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার নারী।এছাড়া ধর্মীয় গোড়ামী ও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টি ভঙ্গি নারীর প্রতি সহিংসতার অন্যতম কারন। (ক্রমশ)
ধন্যবাদ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।