জেনারেল রাইটিং : অযাচিত হস্তক্ষেপ।

সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রচণ্ড গরম পড়েছে। সিজনের শেষ গরম। গরমে সুস্থ্য থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এই গরমে বিশেষ নজর রাখা দরকার। একে গরম তার উপর সর্দিকাশি -জ্বর।অনেকেই জ্বরে আক্রন্ত হচ্ছে। এবার ডেঙ্গু জ্বরের পাশাপাশি চিকনগুনিয়া জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এডিস মশার প্রকোপ কোন ভাবেই কমছে না। এডিস মশার বিষয়ে মানুষ সচেতন হচ্ছে ঠিক, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা কিছুতেই। প্রতিদিনের হাসপাতাল গুলোর রিপোর্ট দেখলে, ডেঙ্গু র ভয়াবহতা বুঝা যায়। তাই যেভাবেই হোক এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের জন্য আজ একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় অযাচিত হস্তক্ষেপ।

(pexels-n-voitkevich-5982093.jpg

Source

অযাচিত হস্তক্ষেপ সবাই কমবেশি করে থাকে, কেউ বুঝতে পারে কেউ বুঝতে পারেনা। অযাচিত হস্তক্ষেপ যে ভালো নয়, এটি অনেকেই বুঝেনা। না বুঝেই করে। অনেকে বুঝে করে। না বুঝে যারা করে সেটি মানা গেলেও, যারা বুঝে করে তাদেরটি কি মেনে নেওয়া যায়! অযাচিত হস্তক্ষেপ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব করে।। স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যেকোনো কাজ জটিল করে তুলে। আগ বাড়িয়ে, অন্য কারো জন্য কোন কিছু করা ঠিক নয়। সে যদি আপনজনও হয়। তাতে বুমেরাং হয়। অযাচিত হস্তক্ষেপ যারা করে, তারা আপন মনেই করে, কিন্তু তারা বিষয়টি ভালো ভাবে নিচ্ছে কিনা সেটি হচ্ছে বিষয় । তারা কি ভাবে নিচ্ছে তা বুঝতে হবে। অন্যের ব্যাপারে অযাচিত হস্তক্ষেপ বা নাক না গলানোই বুদ্ধিমানের কাজ। বুদ্ধিমানেরা অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে দশ হাত দূরে থাকে।

যারা অযাচিত হস্তক্ষেপ করে, তারা মনে করে, তিনি উপকার করছেন। আসলে কি তাই? যতক্ষণ পর্যন্ত কোন মানুষ তার প্রয়োজনে অন্য কারো সাহায্য বা হস্তক্ষেপ না চাচ্ছে, ততক্ষণে পর্যন্ত চুপ থাকাই ভালো। অনেকেই মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এটি একেবারে অনুচিত। শুধু ব্যক্তিগত বিষয় কেন? যেকোন বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ নয়। যতক্ষণ না কেউ হস্তক্ষেপ করার অনুমতি দিচ্ছে। মানুষ তার আচার আচরণ ও কর্মের দ্বারা নিজেকে তুলে ধরে। অন্যকে আলোকিত করে। অন্যের অনুসরণীয় ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠে। অযাচিত হস্তক্ষেপ না করে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে অন্যরা এমনিতেই আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করবেন।

তাই আসুন,পরিচিত, অপরিচিত ও আপনজন কারো কাজেই অযাচিত হস্তক্ষেপ না করি।

ধন্যবাদ।
ঢাকা-বাংলাদেশ।