হ্যা_{^{লো আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।}}

বর্তমান সময়ের ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে শহরে অবস্থানরত প্রত্যেকটা মানুষই অবগত। সেই সাথে এই ট্রাফিক জ্যাম জিনিসটা কতটা ভোগান্তির কারণ তার সাথে শহরে অবস্থানরত প্রত্যেকটা মানুষ ওতপ্রেতভাবে পরিচিত। ১০ মিনিটের রাস্তা যখন আধা ঘন্টা ধরেও শেষ হয় না তখন কি পরিমানের অস্বস্তি বোধ হয় কেবলমাত্র তার প্রত্যক্ষদর্শীরাই বলতে পারবে। সেই সাথে সময় যদি হাতে খুবই কম থাকে তাহলে আরো কতটা পরিমাণের টেনশন এবং বিরক্তিবোধ কাজ করে সেটা অনুভব করতে পারবেন না। নিজের রাগকে কন্ট্রোল করাই যেনো ভীষণ রকম মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

ট্র্যাফিক জ্যাম বর্তমান সময়ে শহরের মধ্যে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। যা শহরের প্রত্যেকটা মানুষকেই ভোগান্তির অন্তিম জায়গা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। বিশেষ করে যারা দু-কদমও হাটতে চান না তাদের জন্য আরো ভোগান্তির বিষয়। আর এই ট্রাফিক জ্যাম বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের মিছিল মিটিং এবং আন্দোলনের জন্য সবথেকে বেশি ট্রাফিক জ্যাম হয়ে থাকে। কেননা তখন পুরো রাস্তা অবরোধ করে রেলি বের হয়। আর তখনই ট্রাফিক জ্যামের সব থেকে বড় আকার ধারণ করে। ভোগান্তি বহন করতে হয় পথচারী সকল মানুষকে।

আমি যে পিকচারগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি এগুলো ধারণ করেছিলাম গাবতলী থেকে শ্যামলী যাওয়ার পথে। সাধারণত এ রাস্তায় বরাবর ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে কিন্তু আমি যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন একটি বড় আকারের আন্দোলন বের হয়েছিলো। তার কারণ শ্যামলীর ওখানে একটি শিশু মেলাতে অচেনা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হাতাহাতিতে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। সেই প্রেক্ষিতে আহত হওয়া ব্যক্তির ওয়ারিশগণ সঠিক বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বসে। যার ফলে সব গাড়ি চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

পুরো তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অবরোধ করে রেখেছিলো রাস্তা। যখন এই আন্দোলনের সূচনা হয় তখন ড্রাইভার সবাইকে বলে দেয় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই অবরোধ থাকবে আপনারা নিজ নিজ জায়গায় নিজের সুবিধা মত চলে যান। তখনো আমার শ্যামলীতে পৌঁছাতে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বাকি ছিলো। এই পুরো রাস্তাটা আমি পায়ে হেঁটে গিয়েছিলাম। কী পরিমাণের যে পা ব্যথা হয়েছিলো সেটা কেবল আমি জানি। সত্যি বলতে ট্রাফিক জ্যাম শহরে থাকা পাবলিকদের জন্য যে কী দুর্বিষয়ের কারণ তা বলে প্রকাশ করার মতো নয়।