প্রতিটি দিনে লুকিয়ে থাকা একেকটি গল্পের অনুভূতি

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে প্রতিটি দিনে লুকিয়ে থাকা একেকটি গল্পের অনুভূতি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

জীবনের প্রতিটি দিন যেন একেকটা গল্প, প্রতিটি সকাল যেন নতুন একটা অধ্যায়ের সূচনা। খুব সাধারণভাবে শুরু হওয়া কোনো দিনই কখন যে বিশেষ হয়ে ওঠে, তা আমরা অনেক সময় টেরই পাই না। কখনো সেটা হয় কোনো অপরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, কখনো আকাশে হঠাৎ দেখা এক টুকরো রামধনু, কখনোবা শুধুই প্রিয় কারো হাসিমাখা মুখ, যা সমস্ত ক্লান্তিকে মুহূর্তেই ধুয়ে দেয়। আমাদের চারপাশে প্রতিদিন যে ছোট ছোট ঘটনা ঘটে ।সেগুলোর অনেকগুলিই আমাদের মন, মনোভাব, এমনকি ভবিষ্যৎ দিনগুলোকেও বদলে দিতে পারে।

শহরের কোলাহলে ডুবে থাকা মানুষ হয়তো বুঝতেই পারে না কত রঙে রাঙানো প্রতিটি সকাল। অথচ গ্রামের কোনো এক কোণায়, একটা শিশিরভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া বালকের চোখে সেই সকালটাই হয়ে ওঠে বিস্ময়ের। আমি নিজেও বহুবার অনুভব করেছি এমন সব মুহূর্ত, যেগুলোর শুরু হয়েছিল খুব সাধারণভাবে, কিন্তু মনে দাগ কেটে গেছে অনেক গভীরে। যেমন ,একটা ভোরবেলা ছাদে উঠে দেখি, আকাশটা মেঘে ঢাকা, কিন্তু সেই মেঘের ফাঁক দিয়ে ঠিকরে পড়ছে সূর্যের আলো। চারদিক কুয়াশায় ঢাকা, পাখির ডাকে চারপাশ মুখর। মুহূর্তেই মন শান্ত হয়ে গেল। কী আশ্চর্য, শুধু একটি আকাশই বদলে দিল একদিনের মানসিক দৃশ্যপট।

এইসব ছোট ছোট জিনিসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলাম একবার এক দীর্ঘ অসুস্থতার পর। তখন প্রতিটি দিনই একঘেয়ে আর ক্লান্তিকর মনে হতো। কিন্তু একদিন হঠাৎ জানালার ফাঁক গলে কিছু আলো এসে পড়ল বিছানায়। দেখলাম, গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে, বাতাসে মৃদু একটা গন্ধ, আর পাখির কিচিরমিচির এক অপূর্ব সমবেত সুর। সেই মুহূর্তে উপলব্ধি করলাম, জীবনের প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণেই লুকিয়ে আছে বাঁচার কারণ। শুধু আমরা সেটাকে দেখতে ভুলে যাই।

আমরা প্রায়শই ভবিষ্যতের চিন্তায়, কিংবা অতীতের আফসোসে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে "এই মুহূর্ত"-টার সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করি। অথচ এই মুহূর্তটাই তো একদিন হয়ে উঠবে স্মৃতি। আজ যে হাসিটা কারো মুখে ফুটল, সেই হাসিটাই হয়তো বছরখানেক পর মনে পড়ে চোখ ভিজিয়ে দেবে। কিংবা আজ যে রাস্তা দিয়ে হেঁটেছি, একদিন সেটা শুধুই স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাই প্রতিটি দিন, প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি শব্দ ,সব কিছুই ধারণ করার মতো, ভালোবাসার মতো।

আমরা সবাই জীবনের বড় সাফল্যের খোঁজে ছুটি, কিন্তু মাঝেমধ্যে থেমে যদি পেছনে তাকাই, তাহলে দেখি জীবনের আসল রত্নগুলো আমাদের চোখের সামনেই ছড়িয়ে ছিল।একটা শীতের বিকেল, এক কাপ চা, এক জোড়া হাত, একটুকরো হাসি, কিংবা নিঃশব্দে বসে থাকা কোনো প্রিয়জনের পাশে। এইসব সাধারণ কিন্তু গভীর অনুভূতিগুলোই আমাদের জীবনের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী অধ্যায় গঠন করে।

শেষমেশ বলা যায়, প্রতিটি দিনই যেন একেকটা উপহার।আমরা যেটা খোলে দেখি বা না-ই দেখি, সেটার মধ্যে লুকিয়ে থাকে সৌন্দর্য, শিক্ষার অভিজ্ঞতা কিংবা নিঃশব্দ এক উপলব্ধি। আমরা যদি একটু মন দিয়ে তাকাই, একটু মন খুলে অনুভব করি।তাহলে দেখব, প্রতিটি দিনই নিজস্ব গল্প লিখে যাচ্ছে আমাদের জীবনে, প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের জীবনচিত্রে একটি রঙিন তুলির আঁচড়।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।