মায়ের ভালোবাসা
হ্যালো বন্ধুরা!
সবাই কেমন আছেন আশা করি সকলেই যে যেখানে থাকুন না কেন ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন? লেখা শুরুতে সবাইকে শুভ সকাল জানিয়ে আমি আমার আজকের ব্লগিং শুরু করতেছি। আজকে একটু ব্যস্ততা আছে তাই ভাবলাম সকাল সকাল পোস্টটা করে নিলে ভালো হয়। কারণ কখন ফ্রি হয় সেটা আমি নিজেও জানিনা কারণ আজকে আমি মায়ের কাছে যাব গ্রামের বাড়িতে। তো বন্ধুরা আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় আল্লাহর অসীম রহমতে বেশ ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত হতে বেশ ভালো লাগে। ব্লগিং এখন আমার নেশা এবং পেশায় পরিণত হয়ে গেছে। নিত্য দিনের ধারাবাহিক কাজের মধ্যে লেখালেখি কিংবা ব্লগিং করা আমার অন্যতম কাজ।
Image Source Link
তো বন্ধুরা ভালো-মন্দ শেয়ার করতে আবারও উপস্থিত হয়ে গেছি। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লাগবে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করি। আজকেও তার ব্যতিক্রম হবে না আশা করি। আমি আজকেও ভিন্ন একটি টপিক্স নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তাহলে শুরু করা যাক বন্ধুরা-
মায়ের ভালোবাসাঃ-
মা! তুমি কেমন আছো মা? তুমি ভালো আছো তো? আচ্ছা মা ওষুধ খেয়েছো তো? তো খাওয়া দাওয়া কি দিয়ে করলে মা আজকে? আচ্ছা বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা কেমন আছে? হ্যাঁ আমিও ভালো আছি মা। বাচ্চারাও সবাই ভালো আছে। আসবো মা সময় করে কোন একদিন। আসলে বাচ্চার পরীক্ষা তো সময় হচ্ছে না তাই। এই হচ্ছে আমার প্রতিদিনের মায়ের সাথে সকাল সন্ধ্যার আলাপ আলোচনা। যদিও সাংসারিক কারণে দূরে থাকি কিন্তু মনটা সব সময় মায়ের কাছে যেয়ে পড়ে থাকে। কেন জানিনা যখন পাশে ছিলাম যখন বাড়িতে ছিলাম তখন এমন একটি অনুভূতি অনুভব হতো না। যখন বিয়ে হয়ে যায় তখন প্রিয় মানুষের সাথে থাকতাম ভালবাসার মানুষের সাথে থাকতাম প্রথম প্রথম তেমন অনুভব করতাম না। কিন্তু দিন দিন মায়ের অভাবের ব্যাথাটা মনের ভিতর জমতে থাকে আস্তে আস্তে। যখন বাচ্চা হয় আস্তে আস্তে বাচ্চারা বড় হয়ে যায় তখন দিন দিন মায়ের অভাবটা মনের মধ্যে অনেক বেশি জমে গেছে।
যখন বাচ্চাদেরকে সেবা যত্ন করি খাওয়া দাওয়া করাই তখন মাকে খুব বেশি অনুভব করি।
যখন ভালো মন্দ কিছু খাওয়া দাওয়া করি তখন মায়ের কথা খুব বেশি মনে পড়ে। কেন জানিনা আমি মেয়ে বলে? নাকি আমি একজন মা বলে? সেটা আমি বলতে পারব না বাবা কিন্তু আমি প্রতি সেকেন্ডে কিংবা মিনিটে মিনিটে আমি আমার মাকে অনুভব করি। যখন কোন কষ্ট পায় মনের মধ্যে তখন মাকে অনেক বেশি মনে পড়ে। আবার যখন বেশি খুশিতে থাকি তখনও মনে হয় যে এই খুশি টুকু যদি মায়ের সাথে ভাগ করে নিতে পারতাম তাহলে আমার খুশি আরো দিগুন বেড়ে যেত। এই পৃথিবীতে মা এমন এক জিনিস যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন সন্তানের ক্ষেত্রে নিখুঁত ভালোবাসার নাম মা।
মাঝে মধ্যে যদি ব্যস্ততার কারণে একদিন ফোন দিতে ভুলে যায় তাহলে মায়ের অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। তখন আমিও বেশ বুঝতে পারি। মাঝে মধ্যে মায়ের কাছ থেকে ফোন আসে অনেক টেনশন করে মা। শুনি সারারাত ঘুমাইনি মা মেয়ে কেন আমাকে ফোন দিল না কি হলো আজ এই হলো মায়ের এমন অবস্থা। তো আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি প্রতিদিন সকাল বিকাল অন্তত দুইবার হলেও মায়ের সাথে যোগাযোগ করার। আসলে কিছু কিছু সন্তান আছে মায়েরা তাদের প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল কিংবা আত্ম বিশ্বাসের জায়গাটা অনেক বেশি থাকে মায়েদের। যদিও প্রত্যেক সন্তান মায়েদের জন্য সমান। কিন্তু অনেকের প্রতি একটু দুর্বলতার হার বেশি। তবে কেন তা অবশ্যই আপনারা সকলেই বুঝতে পারবেন। তো আমি আজ মায়ের কাছে যাচ্ছি তাই মায়ের অনুভূতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আমি জানি সবার কাছে সে সুন্দর অনুভূতিটা আছে। তবুও প্রকাশ করলাম নিজের মনে জমে থাকা আবেগ গুলো। আশা করি সবাই মায়ের প্রতি যত্নশীল হবেন। যারা আপনারা আছেন সংসারের ব্যস্ততার কারণে তারপরও চেষ্টা করবেন দিনে অন্তত একবার হলেও মায়ের সাথে একটু যোগাযোগ করতে। এই পৃথিবীতে মায়ের কোন তুলনা হয় না। মা আমাদেরকে এই পৃথিবীটা দেখিয়েছেন। তাছাড়া ছোটকাল থেকে অনেক যত্ন করে লালন পালন করে বড় করেছেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়ে আজকে এত সুন্দর একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। সবকিছুর মূলে কিন্তু মায়ের অবদান অপরিসীম। তো বন্ধুরা সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আজকে এই পর্যন্ত। আশা করি আবারো নতুন কোন ব্লগিং নিয়ে আপনাদের সাথে আগামী দিনে উপস্থিত হব এই প্রত্যাশা করি।

লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিকটিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
রাইটিং ক্রিয়েটিভিটি | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/tgusv
পৃথিবীতে মায়ের ভালোবাসা হচ্ছে সবচেয়ে মধুর ভালবাসা। সবাই ধরে ঠেলে দিল মা কখনো তার সন্তানকে দূরে ঠেলে দিতে পারে না। মা আমাদেরকে এত ভালবাসে তাইতো সারা দিনের কাজের ফাঁকেও আমাদের মায়ের কথা মনে পড়ে। যাইহোক আপু বুঝতে পারছি আপনি আপনার মাকে ভীষণ মিস করছেন । বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হলে অবশ্যই মায়ের কাছ থেকে একটু ঘুরে আসবেন।
কথাগুলো আপনি যথার্থ বলেছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দূরে থাকলে মায়ের প্রতি ভালোবাসার যে টান সেই টান কখনো কমেনি। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিয়ে থাকেন সত্যিই আপনার লেখা মায়ের ভালোবাসা আর অনুভূতি পড়ে আমি শিহরিত। প্রতিটা মা তার সন্তানকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে এই ভালোবাসা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা যেটা সবাই জানে।
অনেক বেশি মনে পড়ে ভাইয়া মায়ের সেই ছোটকালে স্মৃতির কথা বলবো।
আসলে আপু পৃথিবীতে মায়ের বিকল্প কিছু নেই তাই প্রতিটা ক্ষেত্রেই মায়ের এই ভালোবাসার কথা মুহুর্ত গুলো মনে পড়ে। সুন্দর টপিক নিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। তবে সবশেষে আমিও সেই একই কথা বলতে চাই যে ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা মা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনি আমার লেখা টপিক্স আপনি পড়েছেন এবং খুব সুন্দর মতামত দিয়ে একটি মন্তব্য করলেন।
মায়ের মত আপন কেউ হয় না। দূরে থাকলেও প্রতিটি মুহূর্তে মায়ের কথা মনে পড়ে। মাঝেমধ্যে সন্তান মায়ের কথা ভুলে গেলেও মা কখনো সন্তানের কথা ভুলে যায় না। ফোনে সন্তান দূরে থাকলে মা যদি খবর পেতে একটু দেরি হয় তখন খুব অস্থির হয়ে যায়। মায়ের ভালোবাসাই হচ্ছে সবচেয়ে মধুর ভালবাসা। এবং একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।
একদম ঠিক বলেছেন সন্তানকে মা কখনো ভুলে যেতে পারে না যদিও সন্তান মাঝে মধ্যে ভুলে যায়।
Twitter Share Link