//জেনারেল রাইটিং//পরিপক্বতা//

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

সব সময় একই ধরনের পোস্ট করতে ভালো লাগে না ।তাই মাঝে মধ্যে পোস্টের একটু ভ্যারিয়েশন আনার চেষ্টা করি। বেশ কিছুদিন হলো, জেনারেল রাইটিং লেখা হয় না। তাই আপনাদের মাঝে আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের কাছে খারাপ লাগবে না।

IMG-20230614-WA0014.jpg

সোর্স


"পরিপক্কতা"এই শব্দটির সাথে আমরা অতি পরিচিত। প্রায় প্রতিনিয়তই এই শব্দটির ব্যবহার আমরা শুনে থাকি। এক একজনের মত অনুসারে ,এই পরিপক্কতা এক এক রকমের। কিন্তু আসলেই এই পরিপক্কতা কী? "খুব সহজ কথায় বলা যায়, পরিপক্কতা হল বয়স বৃদ্ধির ঘটনা। যা দিয়ে আমরা আমাদের সমগ্র জীবন কাল ধরে , যে পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে তা পর্যালোচনা করতে পারি। "

এবার বলি , বৃদ্ধি হল শুধুমাত্র শারীরিক পরিবর্তন আর বিকাশ হল শারীরিক এবং মানসিক উভয় প্রকার পরিবর্তন। আর পরিপক্কতা হলো এই দুটো বিষয়ে মিলিত আলোচনা। এটি একটি বহু দিকীয় সক্রিয় প্রক্রিয়া। যেমন শিশুর মধ্যে মানসিক ,শারীরিক ,সংবেদনশীল , সোমাটিক, এমনকি জেনেটিক যে সকল পরিবর্তন ঘটে থাকে, পরিপক্কতা তা বিচার করে।

IMG-20230614-WA0015.jpg

সোর্স


এই পরিপক্কতাকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- শারীরিক পরিপক্কতা, জ্ঞানের পরিপক্কতা, শিখনের পরিপক্কতা। প্রথমেই আসি শারীরিক পরিপক্কতায়,একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকেই প্রত্যেকটা মানুষের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে থাকে সেটা আমরা সকলেই জানি। তাই এক কথায়, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যে ধরনের শারীরিক বিকাশ ঘটে থাকে, তাকেই বলা হয় শারীরিক পরিপক্কতা।

এবার আসি জ্ঞানের পরিপক্কতায়, এটি মূলত একটি শিশুর জন্ম থেকে প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত জ্ঞানীয় বিকাশকে নির্দেশ করে। যেমন ধরুন, একটি শিশুর জ্ঞানের বিকাশ ঘটা শুরু হয় ,শৈশব কাল থেকেই। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সেটা আরও বেশি পরিপক্ক হতে থাকে। একটি শিশু তার চারপাশের পরিবেশ থেকে ধীরে ধীরে বয়সের সাথে সাথে অনেক কিছুই উপলব্ধি করতে পারে, যেমন - ভাষার বিকাশ ,যুক্তি ,দক্ষতা বুদ্ধি প্রভৃতি। এটাতো আমরা সকলেই জানি ,একটি ১০ বছরের শিশুর জ্ঞান, আরেকটি ৩০ বছরের পরিপক্ক মানুষের জ্ঞান একই হবে না। তাই বলা যায় ,বয়সের সাথে সাথে একটি শিশু ধীরে ধীরে তার জ্ঞানের বিকাশ ঘটিয়ে , জ্ঞানীয় পরিপক্কতা লাভ করে।

IMG-20230614-WA0016.jpg

সোর্স


সর্বশেষ বিষয়টি হলো শিখনের পরিপক্কতা, এটি আমাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ শারীরিক পরিপক্কতা বয়সের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে, আবার জ্ঞানীয় পরিপক্কতা পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিকভাবেই আমরা শিশুর মধ্যে চলে আসে। কিন্তু শিখন এর পরিপক্কতা পুরোটাই একটি শিশুর অধ্যয়নের ফল। এটি তার নিজস্ব অর্জনের ফলেই লাভ হয়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরেও সকলের মধ্যে এই শিখন এর পরিপক্কতা নাও আসতে পারে, তখন সেই ব্যক্তির আচরণকে আমরা শিশুসুলভ বলে আখ্যা দেই। প্রচুর পরিমাণে অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে এবং জ্ঞানের বিকাশ ঘটিয়ে, এই শিখন এর পরিপক্কতা লাভ করতে হয়। শিখনের এই পরিপক্কতা লাভ করতে পারলেই, সঠিক জায়গায় ,সঠিক দায়িত্বশীল আচরণ করার ক্ষমতা ,আমাদের মধ্যে চলে আসে। অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে , এর অনুশীলন শুরু করা উচিত।

পোস্ট বিবরণজেনারেল রাইটিং

আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

Sort:  
 2 years ago 

আমাদের বয়সের সাথে সাথে যেমন শারীরিক পরিবর্তন ঘটে তেমনি মানসিকভাবেও পরিবর্তন ঘটে। পরিপক্কতা যখন এসে যায় তখন চিন্তা ধারার মাঝেও পরিবর্তন ঘটে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন ।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমার লেখাটি পড়ে , আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে, অনেক খুশি হলাম আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।

বেশ ভালো কিছু টপিক্স নিয়ে আলোচনা করেছো। এরকম ব্যাপার গুলো আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশি জানা উচিত। আমার কাছে সব থেকে ইম্পরট্যান্ট মনে হয় জ্ঞানের পরিপক্কতা, যেটা একটা মানুষকে সঠিকভাবে চিনতে এবং সঠিক রাস্তায় চলতে নিবিড় ভাবে সহযোগিতা করে।

 2 years ago 

আমার আজকের আলোচিত টপিক্সটি তোমার ভালো লেগেছে জেনে ,আমার খুব ভালো লাগলো। আমারও তাই মনে হয় , জ্ঞানের পরিপক্কতা অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।