আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম

Photography device: Infinix Hot 11s-50mp
বর্তমান সময়ে ছেলে মানুষের পাশাপাশি মেয়ে মানুষেরাউ মোটরসাইকেল চালাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে। কারণ মোটরসাইকেল এমন একটি যানবাহন যার মাধ্যমে খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় উপস্থিত হওয়া যায়। আর বর্তমান সময়ে মানুষের চাহিদার শেষ নেই। যার জন্য যত যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত হচ্ছে তত প্রয়োজনীয় যানবাহনের ডিমান্ড বেড়ে চলেছে। এমন একটা সময় ছিল মোটরসাইকেল খুব কম সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করত। একটি গ্রাম খুঁজলে খুব জোর ১০ টা মোটরসাইকেল দেখা যেত। কিন্তু এখন এমন একটা সময় এসে গেছে প্রায় বাড়িতে মোটরসাইকেল রয়েছে। আবার এমন কিছু বাড়ি রয়েছে, যে বাড়িতে একাধিক মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। আর শহরের রাস্তাগুলোতে প্রায় মহিলাদের মোটরসাইকেল চালাতে লক্ষ্য করা যায়। আর এভাবেই ছেলে ও মেয়ে মানুষের মোটরসাইকেল চালানোর আগ্রহ বেড়ে চলেছে অতিমাত্রায়।
তবে এ মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে দেশে বেশ সুন্দর আইনশৃঙ্খলা রয়েছে। যেমন একটি মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন লাইসেন্স রয়েছে। রাস্তায় ড্রাইভ করার সময় অনেকগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়। একদিকে যিনি গাড়ি ড্রাইভ করছেন তার অবশ্যই মাথায় হেলমেট থাকতে হবে, একি মোটরসাইকেলে দুয়ের বেশি মানুষ না নেওয়া উচিত। দ্বিতীয় জনের মাথায় হেলমেট দিতে হবে, যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য। পায়ে জুতা দিতে হবে। আরো নিজের প্রটেকশনের জন্য হ্যান্ড গ্লাস থেকে শুরু করে নিজের মত করে রেডি থাকতে পারে। এগুলা নিজের ভালো রাখার জন্য ভালোভাবে ড্রাইভ করার জন্য, বেকায়দা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য।

আবার একটি গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই ট্রাফিক রুলস মেনে চলানো প্রয়োজন রয়েছে। গাড়িটা যখন যেভাবে রান করা হবে,যেই দিকে যেতে হবে তার সিগন্যাল মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ একটি মোটরসাইকেল চালানোর পিছনে অনেক নিয়ম শৃঙ্খলা রয়েছে। আর এই নিয়ম শৃঙ্খলা গুলো যিনি গাড়ি চালাবেন তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে দুর্ভাগ্যর বিষয় হচ্ছে ১০০% মোটরসাইকেল চালকের মধ্যে এমন রুলস মানে খুব জোর কুড়ি থেকে ত্রিশ পার্সেন্ট মানুষ। আর বাকি মানুষেরা রুলস মানতে চায় না। প্রতিনিয়ত পুলিশে এই সমস্ত বিষয়ে মানুষদের সজাগ করছেন, তারপরেও যেন মানুষ আরো অবহেলায় এড়িয়ে চলেন। এজন্য দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। টিভি নিউজের দিকে তাকালে এমন ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়, পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করতে গেলে এমন বিষয়ে বেশি শুনতে পাওয়া যায়।
আমি এমন অনেক ঘটনা শুনেছি, যে সমস্ত মানুষগুলো রোড এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে। আবার অনেকে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে অন্যের দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেশিরভাগ মানুষ রুলস না মেনে চলেছে। দুই মাস আগে আমাদের গাংনী শহরে একটি রোড এক্সিডেন্ট হয়েছিল। মোটরসাইকেল চালক এত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিল তার কোন নিয়ম শৃঙ্খলা ছিল না। ছিল না মাথায় হেলমেট, না ছিল মোটরসাইকেলের লাইসেন্স, না ছিল নিয়ম শৃঙ্খলা। রাস্তার এক অটোরিকশার সাথে এসে ধাক্কা মারে। অটো রিক্সার মধ্যে বসে থাকা যাত্রী সাথে সাথে মারা যায়। আর অটো রিক্সাচালক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে থাকে, কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষেরা তাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। এদিকে মোটরসাইকেল চালকের অবস্থা ও খারাপ। ঠিক এমনই ঘটনা প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে সম্পূর্ণটা মোটরসাইকেল বেপরোয়া চলাচলের কারণে। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলের আরো সজাগ হতে হবে এবং আমাদের আপনজনদের বলতে হবে তারা যখন মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে তার আগে যেন সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার চেষ্টা করে। এতে হয়তো আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক থাকবে। একজনার মাধ্যমে আরও দশজন সঠিক পথে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলবে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারে অনেক প্রাণ।


পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।


আসলেই আপনি সঠিক বলেছেন এই মোটরসাইকেল বর্তমান জেনারেশনে অনেক বেশি প্রিয় একটি যানবাহন। কেননা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব দ্রুত যাতায়াত করা যায়। মেয়েছেলে বর্তমান সবাই মোটরসাইকেলে আসক্ত বলাই চলে। তবে আপনার কথার মধ্যে যুক্তি আছে একশোর মধ্যে খুব বেশি হলে ৩০% মানুষ ট্রাফিক আইন মেনে মোটরসাইকেল চালায়। আমাদের সবারই উচিত ট্রাফিক আইন মেনে মোটরসাইকেল চালানো না হলে আপনার পোস্ট এর মত মোটরসাইকেল এবং রিকশাওয়ালার এক্সিডেন্ট হওয়ার মত অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা ঘটে যাবে। আমাদের সকলের এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোটরসাইকেল নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। নারী পুরুষ নয়, মানুষের প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহন হয়ে দাড়িয়েছে মোটরবাইক। দিন দিন মোটর বাইকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আপনার লেখায় মোটরসাইকেলের বিভিন্ন বিষয় সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আপনি ঠিকেই বলেছেন আপু, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে মোটরবাইক চালাতে হবে। বেপরোয়া বাইক চালানো মানেই মৃত্যকে ডেকে আনা। একটি বাইক এক্সিডেন্ট মানেই একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। প্রয়োজনীয় পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে তো।
আসলে মোটরসাইকেল চালায় অনেকেই। আবার মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম আছে অনেক। কিন্তু সেই নিয়ম কয়জনই বা মানে। আর এই নিয়ম না মানার কারণে ঘটে যায় অনেক দুর্ঘটনা। কিছু মাস আগেই তো মোটরসাইক দুর্ঘটনার কারণে একটি ছেলে পায়ের অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। তার পায়ে এখনো রিং পরানো আছে। বেশ খারাপ অবস্থা। যদিও বা আমার এখন নিজস্ব কোনো মোটরসাইকেল নেই তবে জানিনা মোটরসাইকেল হলে কতটুকু নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চালাতে পারো। তবে চেষ্টায় থাকবো নিয়ম মেনেই গাড়ি চালানোর জন্য। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোষ্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই তবে আমাদের মেনে চলা উচিত
মোটরসাইকেল আমাদের সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন৷ এখন প্রতিনিয়তই যেভাবে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জ্যাম হচ্ছে এর ফলে অনেকেই নিজেদের যানবাহন হিসেবে বাইক বেছে নিচ্ছে৷ যদি এই বাইক নিয়ম অনুযায়ী চালানো হয় তাহলে এক্সিডেন্টের সম্ভাবনা একেবারে কম থাকে৷ যদি বেপরোয়া গতিতে চালানো হয় তাহলে তো আর কিছুই বলার নেই। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এখনকার যুগের যুবকব ছেলেরা মোটরসাইকেল এর প্রতি অনেক বেশি আসক্ত। বেশিরভাগই এক্সিডেন্ট মোটরসাইকেলের কারণে হয়ে থাকে। অসাবধানতার সাথে যে কোন কাজ করলে বিপদ আসবে এটা স্বাভাবিক তাই মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আমাদেরকে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহন করা দরকার আর সাবধানতার সাথে গাড়ি চালানো উচিত।
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মন্তব্য পড়ে।
ধন্যবাদ আপু।